ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

কোভিড ভ্যাকসিন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ঋণ

প্রকাশিত: ২০:৫১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

কোভিড ভ্যাকসিন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ঋণ

বাংলাদেশে করোনা মহামারী মোকাবেলায় সরকারপ্রধান বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর বিশেষ উদ্যোগে করোনা ভ্যাকসিন দেশে আসা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় পঁচিশ লাখ লোক করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন। আশা করা যায়, ধীরে ধীরে যারা ১৮ বছরের উর্ধে শিক্ষার্থী এবং নানা পেশায় আছেন, তারাও করোনার টিকা পাবেন। করোনার টিকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেয়া গেলে তাদের সংক্রমিতের হার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। গতকাল সংবাদে দেখছিলাম স্কটল্যাণ্ডে যারা করোনার টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে সংক্রমণ হচ্ছে না। সাধুবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীকে- কেননা বিশ্বের অধিকাংশ দেশ যেখানে করোনার টিকা পায়নি সেখানে আমাদের দেশে টিকা আমদানির ব্যবস্থা করায়। একই সঙ্গে ভারতকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, বিশ লাখ করোনার টিকা উপহার দেয়ায়। সম্প্রতি জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল মন্তব্য করেছেন যে, বিশ্বের ১৩০টি দেশ এখন পর্যন্ত কোভিড ভ্যাকসিন পায়নি। সেক্রেটারি জেনারেল করোনা ভ্যাকসিনের বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে ‘একে অসমভাবে এবং অন্যায়ভাবে বন্য আচরণ’ আখ্যায়িত করে মন্তব্য করেছেন যে, ১০টি দেশ উৎপাদিত ভ্যাকসিন ৭৫% দখল করে রেখেছে। আসলে বৈশ্বিক অসাম্য আরও বেশি প্রকট হয়ে উঠেছে এ করোনা মহামারীর সময়ে। আমরা ভাগ্যবান যে, আমরা করোনা ভ্যাকসিন আমদানি করে দিতে পারছি। ক্রয়কৃত তিন কোটি ডোজের প্রাপ্তি শুরু হয়েছে এবং বিনা মূল্যে ২০ লাখ ডোজ পাওয়া গেছে। যদি ১৮ বছরের নিচে ধরে নেই, তবে প্রায় ১২ কোটির মতো লোক আছে বাংলাদেশে। দুটো করে ভ্যাকসিন দিতে হলে ২৪ কোটি ডোজের প্রয়োজন। বাংলাদেশ কোভ্যাক্সের আওতায় চলতি মাসের শেষদিকে ১.৩১ লাখ ফাইজারের ভ্যাক্সিন পাবে। তবে দেশের নিজস্ব যে ভ্যাকসিনটি উৎপাদন করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, তা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদন চেয়ে গ্লোব বায়োটেক ১৭ জানুয়ারি ২০২১ বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের কাছে আবেদন করলেও এক ধরনের লালফিতার দৌরাত্ম্যেতা আটকে আছে। মানবদেহে পরীক্ষার অনুমোদন এখনও দেয়া হয়নি। আসলে এ টিকার নামকরণটি করা হয়েছে ‘বঙ্গোভ্যাক্স’ যা জাতির জনকের নামের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। মুজিব শতবর্ষে এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর প্রাপ্তির সীমানায় দাঁড়িয়ে ‘বঙ্গোভ্যাক্স’ টিকাটি যদি মানবদেহে দক্ষতার সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মেনে সফলভাবে প্রয়োগের পরীক্ষা সমাপ্ত করা যায় এবং তারপর যদি দেশে-বিদেশে ‘বঙ্গোভ্যক্স’ টিকা দেয়া শুরু হয়, সেটি হবে বঙ্গবন্ধু প্রেমী হিসেবে গর্বের বিষয়। অযথা আবেদনটি ধরে রাখা হয়েছে কিনা সেটা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে খুঁজে বের করে সমস্যার সমাধান করা দরকার। সবকিছুতেই যদি আমাদের জনহিতৈষী প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেত্রের প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি যে বিশাল ফ্রন্টে দেশকে এগিয়ে নেয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাতে তার ওপর তো চাপ বেশি পড়ে যাচ্ছে। আসলে প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য সারথী দরকার, যারা নেত্রীর নির্দেশকে সততা, ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবেন। দেশে করোনা মহামারীর সময়েও যেভাবে বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জীবন ও জীবিকার মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অটুট রাখতে চেষ্টা করছেন। এটি সরকারের একটি সাফল্য। তবে প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো এ ব্যাপারে সরকারকে আরও সহায়তা করতে পারত। ১৮ বছরের ওপর সবাইকে ভ্যাক্সিন দেয়া শুরু হোক- প্রয়োজনে বেসরকারী খাতে। সিএমএমএসএমই (ঈগগঝগঊ) সেক্টরে ব্যাংকিং সেক্টরের নির্লিপ্ততার কথা বলতে চাচ্ছি। ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্টে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করছি। এছাড়াও মাস্টার্স ইন এন্ট্রিপ্রিনিউরশিপ ইকোনমিক্স এবং ব্যাচেলর অব এন্ট্রিপ্রিনিউয়ারিল ইকোনমিক্স প্রোগ্রাম চালু রেখেছি। আসলে বর্তমান যুগে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য মেয়াদী কোর্সের কোন বিকল্প নেই। শিক্ষার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার ইকোনমিক্স ইনকিউবেটর স্থাপন করা। এ জন্য অবশ্যই সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি যেহেতু সরকার উদ্যোক্তা তৈরি করতে চায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ইচ্ছা করলে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্টে মানব সম্পদ নমিনেশন দিতে পারে। এমনকি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানও নমিনেশন দিতে পারে। দক্ষ মানব সম্পদ ছাড়া ক্যাপাসিটি বিল্ড আপ করা যায় না। বাংলাদেশের উপযোগী করে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির কথা বার বার প্রধানমন্ত্রী বলেন। কিন্তু যারা বাস্তবায়ন করবেন তাদের অন্তরিক হতে হবে। একই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রেও বিচক্ষণতার সঙ্গে যাতে কাজ করতে পারে সেটি দেখা দরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের যে সর্বশেষ সিএমএমএসএমই-এর সংজ্ঞা শিল্প উদ্যোগের ধরন হিসেবে তা হচ্ছে নিম্নরূপ- কুটির শিল্পকে উৎপাদনশীল খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জমি এবং ভবন ব্যতীত প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মোট স্থায়ী সম্পদের মূল্য ১০ লাখ টাকার নিচে নির্ধারণ করা হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত/কর্মরত জনবলের সংখ্যা পারিবারিক সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে, তবে তাদের সংখ্যা ১৫ জনের অধিক নয়। মাইক্রো শিল্পকেও উৎপাদনশীল শিল্প খাত হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে ১০ লাখ থেকে পঁচাত্তর লাখ টাকার নিচে জমি এবং ভবন ব্যতীত প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মোট স্থায়ী সম্পদের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এতে ১৬ থেকে ৩০ জন বা তার চেয়ে কম শিল্প কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকবেন। উৎপাদনশীল শিল্প হিসেবে ক্ষুদ্র শিল্পকে আখ্যায়িত করা হয়েছে যে ক্ষেত্রে ৭৫ লাখ থেকে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে এবং লোকবলের সংখ্যা ৩১ থেকে ১২০ জন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে সেবা শিল্প খাত, যেখানে ১০ লাখ থেকে ২ কোটি টাকার নিচে এবং লোকবল ১৬ থেকে ৫০ জন। এদিকে উৎপাদনশীল শিল্পে ১৫ কোটি টাকার অধিক কিন্তু ৫০ কোটি টাকার বেশি নয়। এক্ষেত্রে লোকবল ১২১ থেকে ৩০০ জন। কিন্তু তৈরি পোশাক শিল্প, শ্রমঘন শিল্পের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যা ১০০০ জন। অন্যদিকে সেবা শিল্পে ২ কোটি থেকে ৩০ কোটি টাকা এবং লোকবল ৫১ জন থেকে ১২০ জন। এদিকে শিল্প উদ্যোগের ধরনের সংজ্ঞার পাশাপাশি ব্যবসা উদ্যোগের ধরনের পৃথক সংজ্ঞা রয়েছে। আসলে দুটো মিলিয়ে একটি সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করলে ভাল হতো। ব্যবসার ধরন হিসেবে ক্ষুদ্র শিল্পকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে মাইক্রোর ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকার নিচে জমি ও ভবন ব্যতীয় প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মোট স্থায়ী সম্পদের মূল্য এবং লোকবল সর্বোচ্চ ১৫ জন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টার্নওভার বার্ষিক সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা। অন্যদিকে ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে ১০ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা এবং কর্মরতের সংখ্যা ১৬ থেকে ৫০ জন এবং বার্ষিক টার্নওভার ২ কোটি টাকার অধিক, কিন্তু ২০ কোটি টাকার বেশি নয়। আসলে শিল্পের ধরন এবং ব্যবসার ধরন হিসেবে পৃথক সংজ্ঞা না দিয়ে সহজবদ্ধভাবে সংজ্ঞায়িত করা উচিত ছিল। গত বছর প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা প্যাকেজ দেন ২০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বেসরকারী ব্যাংক এবং সরকারী ব্যাংক ও বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহ সব মিলিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা মাত্র বিতরণ করেছিল। অথচ এ খাতে সবচেয়ে বেশি মানুষ জীবনজীবিকার জন্য সম্পৃক্ত। প্রায় পাঁচ কোটি লোকের ভরণপোষণ চলে সিএমএম-এসএমই খাত থেকে। দেশে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা চালু করা গেলে যারা সরকারপ্রধানের নির্দেশনার বিঘ্ন ঘটিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেত। আমরা দেখেছি অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কত সহজে উদ্যোক্তা তৈরি করে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো যায়। কিন্তু অন্তরায় হচ্ছে স্টার্ট আপ কস্টের জোগান কে দেবে? আবার অনেক সময়ে ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে কোল্যাটারাল চাওয়া হয়। যারা দরিদ্রশ্রেণী তারা কম ঋণখেলাপী হয়ে থাকে। আর ধুরন্ধর শ্রেণী জাল দলিলদস্তাবেজ বের করে মিথ্যা বেসাতি করে থাকেন। অতি সহজেই ঋণের টাকা ব্যাংক থেকে পাচার করেন। যেসব চেয়ারম্যান ও পরিচালক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বড় অঙ্কের ঋণ বের করে নিচ্ছেন বা সহায়তা করে যাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সরকারের কি সুন্দর নির্দেশ ছিল-প্রণোদনা প্যাকেজে গ্রাহক পর্যায়ে সহনীয় সুদ/মুনাফার হার কার্যকর করার লক্ষ্যে বর্তমান চলমান সুদ/ মুনাফার হার ৯% এর বিপরীতে সরকার ৫% সুদ ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করবে এবং গ্রাহক ৪% সুদ হিসেবে পরিশোধ করবে। এক্ষেত্রে কৃষকের জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিশেষভাবে উদ্যোক্তা তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করতে পারত; যাতে করে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যাদি, কৃষিশিল্প, কৃষি ও চাষাবাদযোগ্য যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং সংরক্ষণ ও পণ্য পরিবহন সুবিধাদির জন্য অনলাইন ব্যবসার সুবিধা পান কৃষক। কৃষকের মধ্যে সরাসরি প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের জন্য উঠোন বৈঠকেরও আয়োজন করা যেত। কৃষি খাতের প্রতি বাংলাদেশের একটি বিত্তবান শ্রেণীর জমি কিনে ভবিষ্যতে কৃষকের বদলে উৎপাদনে যাওয়ার আগ্রহ বাড়ছে। নিরাপদ খাদ্য কর্মসূচীর পাশাপাশি কৃষকের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা বাঞ্ছনীয়। বাংলাদেশ উন্নয়ন ব্যাংক ইউনিয়ন পর্যায়ে কুটির, মাইক্রো এবং ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। শিল্প স্থাপনের জন্য নতুন উদ্যোক্তাশ্রেণী সৃষ্টি এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, কলা-কৌশল ও লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহারকে অত্যাবশ্যক করে তোলা উচিত। বিদেশ থেকে যারা দেশে ফিরে আসছেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক তাদের তথ্য ভাণ্ডার সংরক্ষণ করতে পারে। তাদেরকে দেশে পুনর্বাসনের জন্য বিজ্ঞপ্তি আকারে কেবল জানালে চলবে না, বরং প্রবাস ফেরতদের কাছে গিয়ে তারা কি ধরনের দক্ষ সেই অনুপাতে নানামুখী ব্যবসায়িক প্রকল্পের অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ বাজারজাতকরণ ও বিপণনের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা করা দরকার। অন্যদিকে কর্মসংস্থান ব্যাংক শিক্ষিত-অশিক্ষিত বেকারদের তালিকা করে দক্ষতা, উদ্ভাবনী এবং সৃজনশীলতা অনুসারে অর্থায়ন করা দরকার, যাতে করে তারা দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে জানতে চাওয়া সিএমএমএসএমই খাতে তারা তাদের লোকবল দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে, অর্থায়ন করে এবং সর্বোপরি কোল্যাটারাল মুক্তভাবে অর্থায়ন করে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির স্বপ্ন বাস্তবায়নে কারিগর হিসেবে কাজ করবে কি? পণ্য উৎপাদিত হলেই হবে না, যাতে করে পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এমন কিছু পরিষেবা ব্যাংকিং খাতে উদ্ভাবন করা দরকার, যাতে সাধারণ ছোট ব্যবসার কর্মকৌশল যুগোপযোগী হয়। এক্ষেত্রে যারা ঋণ গ্রহণ করবেন তারাও যেন পণ্য উৎপাদনের আগে গ্রাহকদের চাহিদা সুস্পষ্টভাবে বোঝেন সে অনুপাতে ব্যবসাবাণিজ্য করতে পারেন। করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জসমূহ যখন বিদ্যমান তখন ছোট ব্যবসায়ীকে অবশ্যই তাদের উদ্যোক্তা, গ্রাহক, সাধারণ মানুষ ও সরবরাহকারীদের প্রয়োজন অনুপাতে দ্রুত ব্যবসার কাঠামো পরিবর্তন করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার প্রয়াসে কাজ করতে হবে। ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যবসার ক্ষেত্রে গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের সমর্থন করা, সরবরাহ চেন অব্যাহত রাখা, রাজস্ব প্রদানে স্থিতিশীলতা, তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডকে পরিবর্তনশীল কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং নতুন পন্থা অবলম্বন করে দেশের অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখতে হবে। লেখক : ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট এবং আইটি এক্সপার্ট [email protected]
×