ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এ বছরের মধ্যেই পিলখানা হত্যাকান্ডের রায় কার্যকর করার দাবি মেজর হাফিজের

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

এ বছরের মধ্যেই পিলখানা হত্যাকান্ডের রায় কার্যকর করার দাবি মেজর হাফিজের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় দোষীদের চূড়ান্ত বিচারের রায় এ বছরের মধ্যেই কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ । বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টায় বনানী সেনা কবরস্থানে পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বিএনপির পক্ষে এ দাবি করেন। হাফিজ উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিডিআরে বিদ্রোহ দেখা দেয়। সে বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে বিদ্রোহী জওয়ানদের হাতে মারা যান ৫৭ সেনা কর্মকর্তা। রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহে বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান। পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় ততকালীন কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লে. জেনারেল জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সেনা কর্তৃপক্ষের কোর্ট অব ইনকোয়ারির প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানান মেজর হাফিজ। হাফিজ বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ড জাতীয় জীবনে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। তাই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার কামনা করি। তিনি বলেন, এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে দেশের সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করার জন্য। এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষভাবে যারা জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, তবে সবাইকে আনা হয়নি। আমরা সরকারকে অনুরোধ করবো হত্যাকান্ডের যারা পরিকল্পনাকারী তাদেরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হোক। হাফিজ বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডে নিহত ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে একজন সুবেদার মেজর যিনি সেনা কর্মকর্তাদের রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করেছেন তাকেও হত্যা করা হয়েছিলো। কিন্তু তার পরিবার এখন পর্যন্ত কোনো সুযোগ-সুবিধা পায়নি। আমি এ ব্যাপারে সরকারের আশু দৃষ্টি আকর্ষন করছি। তিনি বলেন, দেশে আমরা সুশাসন কামনা করি। এদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন অতি অল্প সময়ের মধ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে এই কামনা করি। মেজর হাফিজ বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডের ১২টি বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই হত্যাকান্ডের চূড়ান্ত ফয়সালা করা সম্বব হয়নি। বিচরের দীর্ঘ সূত্রিতা আমাদের হতাশ করেছে। এ বছরের মধ্যে লিফ টু আপীল এবং আপীলের কার্যক্রম শুরু হবে বলে কোনো লক্ষন আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তাই এই হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জন্যে বিচার বিভাগের প্রতি আমরা আবেদন জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর, কর্ণেল (অব.) মো. ইসহাক, কর্ণেল (অব.) মনিষ দেওয়ান, কর্ণেল (অব.) কামরুজ্জামান, মেজর (অব.) মো. হানিফ, মেজর (অব.) সারোয়ার হোসেন, মেজর (অব.) সাঈদুল ইসলাম, মেজর (অব.) মো. হাসান প্রমুখ।
×