ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চসিকের আর্থিক অবস্থা বর্তমানে ভাল না ॥ মেয়র রেজাউল

প্রকাশিত: ২৩:০৩, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

চসিকের আর্থিক অবস্থা বর্তমানে ভাল না ॥ মেয়র রেজাউল

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) আর্থিক অবস্থা বর্তমানে খুব একটা ভাল না। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেই কাজ করতে হবে। আমি বুঝে শুনে ধীরে সুস্থে পরিকল্পিত উপায়ে এগোতে চাই। পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে প্রয়োজনে পাইলট প্রকল্প নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে দুইটি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন কাজ আউট সোর্সিংয়ে দেয়া যায় কিনা দেখব। যদি সুফল মিলে তবে ধারাবাহিকভাবে সবগুলো ওয়ার্ডকে একই ধারণায় নিয়ে আসা হবে। বুধবার সকালে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে কথাগুলো বলেন চসিকের নতুন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তাদের মধ্যে নতুন নগর ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রাস্তাঘাটের মেরামত কাজকে আরও কিভাবে গতিশীল, বর্ধিঞ্চু জনসংখ্যার চাপের সঙ্গে ভাসমান হকারদের কিভাবে পুনর্বাসন করে নগরীকে জঞ্জালমুক্ত করে চলাচলের উপযোগী করা যায় তা নিয়ে আলাপ হয়। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে আত্মনির্ভরশীল করতে আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করতে মেয়রকে পরামর্শ দেন। তিনি নিম্ন আয়ের ও শহরের বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনে কমমূল্যে কোন আবাসনের প্রকল্প গ্রহণ করা যায় কিনা তা ভাবতে বলেন। আলাপকালে তিনি নতুন নগর ভবনের কাজ কর্পোরেশনের নিজস্ব উদ্যোগে করার পরামর্শ দেন। সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, নতুন নগর ভবন নির্মাণের প্রকল্পটি বর্তমানে প্রি-একনেকে পর্যবেক্ষণের পর্যায়ে আছে। মোট ২২ তলা ফাউন্ডেশনের প্রস্তাবিত এই নগর ভবন প্রকল্পে আছে ২টি বেজমেন্ট। চসিক অফিসের পাশাপাশি থাকবে কমার্শিয়াল স্পেস, ব্যাংক বীমার অফিস। দীর্ঘ আলাপকালে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের দেশে কেউ আইন মানতে চায় না। সমস্যা তাই থেকে যায়। হকার মার্কেট আছে, কিন্তু ওখানে ব্যবসা যারা করছে তারা হকার না। সুউচ্চ ভবন নির্মিত হয়েছে কিন্তু মানা হয়নি বিল্ডিং কোড। বিল্ডিং কোডের বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও আন্তরিক নয় বলে মনে হয়। যে কোন ভবন ফুটপাথ থেকে ৫ ফুট দূরত্বে নির্মাণের আইন আছে। কিন্তু কেউ মানছে না। যে কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। তাই আইন মানার পাশাপাশি নগরবাসীকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করতে হবে। নাগরিক সুবিধা পেতে নিয়মিত পৌরকর দেয়া চাই। কর না দিলে কর্পোরেশন সেবা দেবে কিভাবে? এ শহর সকলের। তাই মিলেমিশে এ নগরকে সুন্দর করতে হবে। তিনি তার পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে কথা দেন। এ সময় রাজনীতিক এ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ শমসের, জসিম উদ্দিন শাহ, নুরুল আনোয়ার বাহার, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মোঃ আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, সুদীপ বসাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×