ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিক্ষোভে অচল হয়ে পড়েছে মিয়ানমার

প্রকাশিত: ১২:১০, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বিক্ষোভে অচল হয়ে পড়েছে মিয়ানমার

অনলাইন ডেস্ক ॥ মিয়ানমারে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় যখন মানুষের ঢল নামছে, তখন এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সহায়তায় কূটনৈতিক চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। তবে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত কূটনৈতিক সফর অনিশ্চয়তায় ঘুরপাক খাচ্ছে বলেই দেখা যাচ্ছে। বিক্ষোভে মিয়ানমার প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। পহেলা ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পর থেকেই এই বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে জেনারেলরা তাদের প্রতিশ্রুতিতে বহাল আছে কিনা; তা নিশ্চিত হতে পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারিকল্পনা করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সদস্য দেশগুলো। তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এখনো নতুন করে নির্বাচনের সময়সীমা বেঁধে দেয়নি। অভ্যত্থানের পরপরই এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করেছে। নির্বাচন হলে এই সময়ের পরেই হতে হবে। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো মারসুডি বর্তমানে থাইল্যান্ডে সফরে। তিনি মিয়ানমার সফরে যাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু সেই সফর বাতিল করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টেউকু ফাইজাশাহ জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি ও আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার ফল বিবেচনায় নিলে মিয়ানমার সফরের জন্য বর্তমান সময়টি উপযুক্ত বলে মনে হচ্ছে না। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নতুন নির্বাচনের বিরোধিতা করে ইয়াঙ্গুনে ইন্দোনেশীয় দূতাবাসের বাইরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জমায়েত হয়েছেন। তারা গত নভেম্বরের নির্বাচনের স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন। মিয়ানমারভিত্তিক অ্যাকটিভিস্টদের গ্রুপ ফিউচার নেশন অ্যালায়েন্স বলছে, এ সময়ে ইন্দোনেশীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফর সামরিক জান্তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার সামিল হবে। বিদেশি কূটনীতিকরা যাতে অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া আইনপ্রণেতাদের প্রতিনিধিত্বকারী কমিটির সদস্য এইচটিন লিন আংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন— সেই দাবি করেছে এই গ্রুপ। পররাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে একক দায়িত্বশীল হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদকারীরা রাস্তায় নেমে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন, কর্তৃপক্ষের এমন হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও চলতি সপ্তাহের সোমবার দেশটির জান্তা বিরোধীরা বিশাল সমাবেশ ও সাধারণ ধর্মঘট করেছে। তারা ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চি ও আটক অন্যান্যদের মুক্তি দাবি করেছে।
×