ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সহিংসতা হ্রাস নিয়ে আলোচনায় উভয়পক্ষ

ফের আফগান শান্তি আলোচনা

প্রকাশিত: ০১:১১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ফের আফগান শান্তি আলোচনা

যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে সহিংসতা বৃদ্ধির মধ্যেই মঙ্গলবার থেকে দোহায় তালেবান ও দেশটির সরকারী প্রতিনিধিদের মধ্যে ফের শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। গত কয়েক মাস এ আলোচনা বন্ধ ছিল। এবারের আলোচনার মূল উপজীব্য আফগানিস্তানে চলমান সহিংসতা হ্রাস এবং উভয় পক্ষের যুদ্ধরিতির শর্ত মেনে চলা। খবর এপি, আলজাজিরা ও ডন অনলাইনের। সোমবার রাতে তালেবান মুখপাত্র ডক্টর মুহাম্মাদ নাঈম বলেন, কাতারে আমরা ফের আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছি। উল্লেখ্য, কাতারের দোহায় তালেবানের একটি রাজনৈতিক অফিস রয়েছে। মুহাম্মাদ নাঈম বলেন, উভয় পক্ষ আন্তরিকতার সঙ্গে ও একটি ফলপ্রসূ সিন্ধান্তে উপনীত হতে খোলাখুলি আলোচনা করবে। মঙ্গলবার আফগানিস্তানে এক সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা তালেবানের অপর একটি পক্ষ জানায়, আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। তবে কার্যকরী সিদ্ধান্তে আসতে আরও সময় প্রয়োজন। চলতি মাসের জানুয়ারিতে আলোচনার টেবিল থেকে উভয় পক্ষ সরে গিয়েছিল। এরপর থেকে দেশটিতে সহিংসতা চলে আসছে। শান্তি আলোচনা শুরু হলেও সহসাই কোন সমাধান নাও আসতে পারে। কারণ আফগান সরকার দেশটিতে ন্যাটো সৈন্য রাখার পক্ষে। অপরদিকে তালেবান কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি যুদ্ধবিরতি কার্যকরে আফগানিস্তানের মাটিতে কোন বিদেশী সৈন্য রাখার পক্ষে নয়। আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা বিষয়ক মার্কিন দূত জালমে খলিলজাদ বরাবর শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে। তবে এবারের আলোচনায় কোন কার্যকরী সমাধান আসবে কিনা-তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন এ মার্কিন কূটনীতিক। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আফগানিস্তান থেকে এখনই সেনা প্রত্যাহার করবে না মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। জোটের মিলিটারি এ্যালায়েন্সের সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টোলটেনবার্গ বলেন, দেশটি থেকে যৌথ বাহিনীর সেনা সরানোর কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র-তালেবানের মধ্যে হওয়া শান্তিচুক্তি অনুসারে আগামী ১ মের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ন্যাটোর সব সেনা সরিয়ে নেয়ার কথা। কিন্তু ন্যাটো বলছে, তালেবান সেই চুক্তির সব শর্ত মানেনি। এ কারণে সেনা প্রত্যাহারের মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়নি। ক্ষমতার একেবারে শেষপ্রান্তে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সব সেনা সরিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও ট্রাম্পের ওই ঘোষণার সঙ্গে কখনই একমত ছিল না ন্যাটো। তারা জানিয়েছিল, যৌথ বাহিনীতে সবচেয়ে বেশি সেনা যুক্তরাষ্ট্রের। তারা সরে গেলে এতদিনের মিশন ব্যর্থ হবে। বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর অবশ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। এর মধ্যেই ইউরোপের একাধিক দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এখনই সেনা প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্তে পৌঁছেন ন্যাটো প্রধান। এর আগে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানায় তালেবান।
×