ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘কোভিড-১৯ মহামারিতে উদ্ভাবনই সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে’

প্রকাশিত: ১৭:০৭, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

‘কোভিড-১৯ মহামারিতে উদ্ভাবনই সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) সাংহাই ২০২১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান কেন হু কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি বিভিন্ন দেশ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও মানুষের ওপর যে প্রভাব ফেলেছে তা নিয়ে কথা বলেছেন; একইসঙ্গে বৈশ্বিক মহামারির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় প্রযুক্তির ভূমিকার বিষয়েও আলোচনা করেন তিনি। কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি ডিজিটাল অবকাঠামোর জন্য অনেক নতুন চাহিদা সৃষ্টি করেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে, ১৭০টি দেশের তিনশ’রও বেশি নেটওয়ার্কে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন টেলিকম প্রতিষ্ঠানের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে হুয়াওয়ে। ইন্দোনেশিয়ায়, হুয়াওয়ে নতুন ডিজিটাল ডেলিভারি প্রযুক্তির মাধ্যমে ৫০ হাজার বেস স্টেশন তৈরি করেছে। অন্যদিকে, চীনের নিংজিয়ায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য হুয়াওয়ে ইন্টিগ্রেটেড রাউটার এনাবল মাল্টি-ক্লাউড সুবিধা নিয়ে এসেছে, যা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাশ্রয়ী দামে ক্লাউড সেবা নিশ্চিত করবে। হুয়াওয়ে পূর্বানুমান করছে, ২০২৫ সালের মধ্যে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ৯৭ শতাংশ এআই ব্যবহার করবে। অনেকে প্রত্যাশা করছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে চীনের জিডিপি’র ৫৫ শতাংশ অর্জিত হবে ডিজিটাল অর্থনীতির মাধ্যমে এবং বৈশ্বিক টেলিকম প্রতিষ্ঠানের ৬০ শতাংশ আয় আসবে ক্রেতাদের কাছ থেকে। হু বলেন, এই বিষয়গুলো অর্জনের জন্য সকল খাতকে তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে, ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হবে এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি সহযোগে ভ্যালু তৈরি করতে হবে।’ তথ্য ও যোগাযোগ অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সকল খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের গতিকে ত্বরান্বিত করতে ফাইভজি উদ্ভাবনের দিকে অধিক মনোনিবেশ করছে হুয়াওয়ে। অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের উদ্ভাবনের তিনটি খাতের ওপর জোর দেন হু। খাত তিনটি হলো: প্রযুক্তি, পণ্য ও অ্যাপ্লিকেশন। প্রযুক্তি খাতে, হুয়াওয়ের নতুন ফাইভজি সুপার আপলিংক সল্যুশন দ্রুতগতির আপলিংক স্পিড দিয়ে থাকে, যা শিল্পখাতের ইন্টারনেট প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক যোগ করেছে। পণ্যের ক্ষেত্রে, হুয়াওয়ের পুরোপুরি কনভারজড ফাইভজি এজ কম্পিউটিং পণ্য ১০ ফ্যাক্টরে এজ কম্পিউটিং সাইট তৈরির প্রক্রিয়াকে আরো দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে, বিস্তৃত পরিসরের ডোমেইনের মাধ্যমে অংশীদারদের সাথে ফাইভজি অ্যাপ্লিকেশনের বিকাশে কাজ করছে হুয়াওয়ের ওয়্যারলেস ল্যাবস। এই ডোমেইনগুলো হলো: ম্যানুফেকচারিং, হেলথকেয়ার, ফাইন্যান্স ও ট্রানপোরটেশন। এই অংশীদারদের সাথে কীভাবে ফাইভজি বিভিন্ন শিল্প খাতকে কার্যকরভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে সহায়তা করতে পারে তা উন্মোচনে কাজ করছে হুয়াওয়ে। এছাড়াও, হুয়াওয়ে ফাইজি-তে উদ্ভাবন আনার জন্য গ্রাহক এবং অংশীদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে নির্দিষ্ট কিছু খাতের চাহিদা মেটাতে তাদের উদ্দেশ্য সাধন করে এমন ডিভাইস বিকাশের লক্ষ্যে ইকোসিস্টেম অংশীদারদের সাথে কাজ করছে। হুয়াওয়ের লক্ষ্য তাদের গ্রাহকদের সাথে যৌথ উদ্ভাবন ও সুকৌশলী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ব্যবসায় ফাইভজি’র ব্যবহার ওয়ান টু এন পর্যন্ত প্রসারিত করা। ফাইজিটুবি ব্যবহার আরও দ্রুত বৃদ্ধি করতে প্রতিষ্ঠানটি ফাইভজি যোগাযোগ এবং শিল্পখাতের মানদণ্ড এই দুটো সমন্বয়ের পেছনে কাজ করছে। হু জানিয়েছেন যে, তাদের অংশীদার এবং আঞ্চলিক ক্যারিয়ারদের সহযোগিতায় হুয়াওয়ে ২০টিরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিতে ফাইভজি ব্যবহারের জন্য এক হাজারেরও অধিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মহামারি মোকাবিলার ব্যাপারে হু সতর্ক করে বলেছিলেন যে, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে আসার পর বিশ্ব কে-শেপড ইকোনোমি পুনরুদ্ধারের ঝুঁকির সম্মুখীন হবে। যারা ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করেন এবং যারা করেন না, এই দুই প্রকার সংস্থা ও মানুষের মাঝে ক্রমবর্ধমান বিভাজনের ব্যাপারে সাবধান করেছেন তিনি। ভারসাম্যহীন উন্নয়ন এড়াতে, ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির জন্য হু জোর দিয়ে বলেন যে, উদ্ভাবন সামাজিক মূল্যবোধ বৃদ্ধির দিকে ধাবিত হওয়া দরকার।
×