ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাগরের ভাঙ্গন রোধে কুয়াকাটা সৈকত প্রতিরক্ষার কাজ শুরু

প্রকাশিত: ১৫:০৯, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সাগরের ভাঙ্গন রোধে কুয়াকাটা সৈকত প্রতিরক্ষার কাজ শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ কুয়াকাটা সৈকত প্রতিরক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে দুই দিকে দেড় কিলোমিটার এলাকায় জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ দিয়ে প্রতিরক্ষার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০০ মিটার এলাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী দফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ তারিকুর রহমান তুহিন জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিজে জিও টেক্সটাইল লিমিটেড এন্ড আবুল কালাম আযাদ যৌথভাবে এ কাজটি করছে। এ কাজের জন্য প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে তিন কোটি ৬৪ লাখ টাকা। কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টের পশ্চিম দিকে ৩০০ মিটার এবং পূর্ব দিকে ১২ শ’ মিটার দীর্ঘ এই প্রটেকশন দেয়া হবে। দেড় কিমি সৈকত প্রতিরক্ষায় ৩৫ হাজার ২৫০ কেজি জিও ব্যাগ দরকার হবে। ফলে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের ঝাপটা থেকে রক্ষা পাবে সৈকতের কিনারসহ বেলাভূমি। পরীক্ষামূলক এই প্রকল্প বাস্তবে টেকসই হলে গোটা সৈকতে পর্যায়ক্রমে এভাবে প্রটেকশন দেয়া হবে। তবে এ কাজের জন্য এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে। কারণ এই টিউব ও জিও ব্যাগের ওপর দিয়ে জেলেরা প্রতিনিয়ত মাছ ধরার ইঞ্জিনচালিত নৌকা ওঠা-নামানোর কাজ করায় বালু বোঝাই জিও টিউব ও ব্যাগ ছিড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যেখান পর্যন্ত জিও টিউব ও জিও ব্যাগ দেয়া হবে ওই এলাকায় নৌকা ওঠা-নামা করানো স্থায়ীভাবে বন্ধ করা প্রয়োজন। কারণ কুয়াকাটা সৈকতের ভাঙ্গনরোধ এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যা করা না হলে কুয়াকাটার সৈকতসহ বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ, দোকানপাট, বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা সাগরের বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই সচেতনমহলের দাবি জিও টিউব কিংবা ব্যাগ সেটিংএর পরে ওই দেড় কিলোমিটার এলাকা থেকে জেলে নৌকা ওঠা-নামা করানো বন্ধ করতে হবে। নৌকা ছাড়াও মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন প্রকৌশলী সৈয়দ তারিকুর রহমান তুহিন। কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। কারণ কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় যে পদক্ষেপ নেয়ার তা নেওয়া হবে।
×