ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত থেকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় চালান এসেছে

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ভারত থেকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় চালান এসেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারত থেকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় চালান ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। সোমবার রাতে একটি বিশেষ বিমানে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় চালান আসে। ভ্যাকসিনগুলো সংরক্ষণের জন্য রাতেই টঙ্গীতে বেক্সিমকোর কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগেই বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল ২২ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় চালান ঢাকায় আসছে। এই চালানে ত্রিশ লাখ ভ্যাকসিন আনা হবে বলে জানানো হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিমাসে সেরাম ইনস্টিটিউট এর প্রতি মাসে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন পাঠানোর কথা। তবে দেশে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সক্ষমতা বিবেচনা করে এই হার হেরফের করা হচ্ছে। সেরামের বাংলাদেশী বিশেষ পরিবেশক বেক্সিমকো ফার্মার একজন কর্মকর্তা জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে মুম্বাই থেকে ওই উড়োজাহাজ রওনা দেয়। রাত ১১টা ১০ মিনিটে ভ্যাকসিন পরিবহনকারী উড়োজাহাজটি ঢাকায় পৌঁছায়। সরকারী সূত্রগুলো বলছে ভ্যাকসিন আসার পর ভ্যাকসিন প্রয়োগ নীতিমালাতে পরিবর্তন আসতে পারে। সরকার সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের সঙ্গে ৪০ বছরের উর্ধের নাগরিকদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছে। সুরক্ষা এ্যাপে নিবন্ধন করতে গেলে সম্মুখ সারির যোদ্ধা না হলে ৪০ বছরের কম বয়সীদের নিবন্ধন করা সম্ভব হয় না। কিন্তু সরকার এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে। এছাড়া আগামী মে মাস থেকে বিশ^বিদ্যালয় খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ফলে বিশ^বিদ্যালয় খুলতে গেলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের ভ্যাকসিন দেয়া জরুরী হয়ে দাঁড়াবে। তবে বিকল্প পদ্ধতিটি কি হবে সরকারের তরফ থেকে এখনও সেই ঘোষনা আসেনি। সোমবার পর্যন্ত সারাদেশে ২৩ লাখ আট হাজার ১৫৭ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এরমধ্যে সোমবারই ভ্যাকসিন নিয়েছেন দুই লাখ ২৫ হাজার ২৮০ জন। ঢাকা মহানগীর ৪৭ কেন্দ্রে সোমবার পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন তিন লাখ ৬ হাজার ১৮৩ জন। এরমধ্যে সোমবার দিন ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২৯ হাজার ৪৪১ জন। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সরকারের কেনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালান ঢাকায় এসে পৌঁছায়। প্রথম চালানে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন পাঠায় সেরাম। এর আগে ২০ জানুয়ারি ভারতীয় জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে আরও ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাঠায় ভারত। সব মিলিয়ে এখন সরকারের হাতে ভ্যাকসিনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক কোটি। এই পরিমাণ ভ্যাকসিন দিয়ে ৫০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে। সরকারের পক্ষথেকে বলা হয়েছে নিয়মিতই ভ্যাকসিন আসতে থাকবে। সঙ্গত কারণে ভ্যাকসিনের কোন অভাব হবে না। সেরামের কাছ থেকে তিন কোটি ভ্যাকসিন আসার মধ্যেই কোভ্যাক্সের ভ্যাকসিন আসবে। এছাড়া সরকার অন্যান্য উৎস থেকেও ভ্যাকসিন কেনার চেষ্টা করছে। এজন্য ইতোমধ্যে ১৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
×