ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিপিএল ফুটবলে শেখ জামালকে রুখে দিল পুলিশ

প্রকাশিত: ২৩:৩৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বিপিএল ফুটবলে শেখ জামালকে রুখে দিল পুলিশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমণ্ডি বনাম বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচটি দেখতে খুব বেশি দর্শক-ফুটবল অনুরাগী ছিলেন না। যদি থাকতেন তাহলে তারা নিঃসন্দেহে উপভোগ করতে পারতেন একটি জমজমাট, আক্রমণাত্মক হাফ ডজন গোলের ম্যাচ। ম্যাচটি ড্র হয় ৩-৩ গোলে। ম্যাচের প্রথমার্ধের স্কোরলাইন ছিল ২-২। পুলিশের আখমেদভ, ফ্রেডরিক পোদা ও জুয়েল এবং জামালের পা ওমর জোবে, ওতাবেক ও সলোমন কিং কানফর্ম একটি করে গোল করেন। ফেবারিট জামালকে বলা যায় রুখেই দিয়েছে পুলিশ। কেননা তারা ম্যাচে তিন-তিনবার পিছিয়ে পড়েও প্রতিবারই সমতায় ফিরেছিল। ফলে এই ড্র যেন পুলিশের জন্য জয়েরই সমতুল্য। এই ড্র’তে ৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানেই থাকল তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জামাল। এবারের ফেডারেশন কাপেও এই দুই দল একই গ্রুপে ছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছেÑ গ্রুপপর্বের সেই ম্যাচটিও ড্র হয়েছিল ২-২ গোলে। এ নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ ধরে জয়হীন আছে সার্ভিসেস সংস্থা পুলিশ। আর জামাল এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে ড্র করল। সোমবার খেলার শুরুতে দুই দল খেলে দুই রকম ফর্মেশনে। পুলিশ খেলে ৩-২-২-৩ এবং জামাল খেলে ৪-৩-৩ ফমের্শনে। সোমবার জামাল-পুলিশের ম্যাচটি ছিল দারুণ রোমাঞ্চকর। একবার গোল করে এগিয়ে গেছে জামাল, আবার গোল করে সমতায় ফিরেছে পুলিশ। তবে জামালের মতো শক্তিধর দলের বিপক্ষে বারবার পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফিরে এসে ১ পয়েন্ট ছিনিয়ে নেয়া ছিল পুলিশের জন্য কৃতিত্বের। ১০ মিনিটে গোল করে লিড নেয় জামাল। সতীর্থ সোলায়মান সিল্লার থ্রু পাসে বল নিয়ে পুলিশের বক্সে ঢুকে পড়েন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড পা ওমর জোবে। তাকে বাধা দিতে সামনে এগিয়ে এসেছিলেন পুলিশ গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল। কিন্তু কাজ হয়নি। তার মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোবে (১-০)। লীগে এটা তার ১১ নম্বর গোল যা সবারচেয়ে বেশি। ৩৩ মিনিটে বিশ্বমানের এক গোলে দারুণভাবে সমতায় ফেরে পুলিশ। জামালের বক্সের প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে দূরপাল্লার উড়ন্ত শট নেন পুলিশের কিরগিজ মিডফিল্ডার আখমেদভ। সেটি সরাসরি ঢুকে পড়ে জামালের জালে। কিছুই করতে পারেননি জামাল গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান জিয়া (১-১)। ৪০ মিনিটে সলোমন কিং ডানপ্রান্ত থেকে যে ক্রসটি করেন সেটি বক্সে থাকা পা ওমর জোবের চাপে পড়ে ঠিকমতো বিপদমুক্ত করতে পারেননি পুলিশের মিডফিল্ডার আরিফ খান জয়। বক্সের ভেতরে ওত পেতে থাকা উজবেক ফরোয়ার্ড ভ্যালিডজানভ ওটাবেক ডান পায়ে দারুণ ফিনিশিং দেন (২-১)। আবারও এগিয়ে যায় জামাল। প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময় (৪৫+১ মিনিটে) আবারও দারুণভাবে সমতায় ফেরে পুলিশ। বক্সের বাঁপ্রান্ত থেকে আইভরি কোস্ট মিডফিল্ডার ফ্রেডরিক পোদার শট ফেরাতে পারেননি জিয়া (২-২)। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই আবারও গোল করে এগিয়ে যায় শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যরা। ৪৯ মিনিটে সোলাযমান সিল্লাহর শট পুলিশের বারপোস্টে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বলে গোল করে জামাল অধিনায়ক-গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিং (৩-২)। ৬৯ মিনিটে আখমেদভের ফ্রি কিক বক্সে হেডে ক্লিয়ার করেন জামালের ডিফেন্ডার রেজা। কর্নার পায় পুলিশ। আখমেদভের কর্নার বক্সে পোস্টের খুব কাছ থেকে জটলা থেকে দারুণ হেডে জামালের জাল কাঁপান তরুণ ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ জুয়েল (৩-৩)। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ে দু’দল। ব্রাদার্স-মুক্তিযোদ্ধা ম্যাচ গোলশূন্য ড্র ॥ ব্রাদার্স ইউনিয়ন মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের। নিষ্প্রাণ ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। পয়েন্ট টেবিলে ৯ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা দশম এবং সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাদার্স আছে দ্বাদশ স্থানে।
×