ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আন্দামান সাগরে ভাসছে এক দল রোহিঙ্গা

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আন্দামান সাগরে ভাসছে এক দল রোহিঙ্গা

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ রোহিঙ্গাদের একটি দল আন্দামান সাগরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইঞ্জিনবোটে অজ্ঞাত সংখ্যক রোহিঙ্গার এই দলটি গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে খাদ্য ও পানিবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এতে তারা শারীরিকভাবে খুবই সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। ইউএনএইচসিআরকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বলেছে, এ দলটি বাংলাদেশের কক্সবাজারে টেকনাফ এলাকা থেকে সাগরপথে যাত্রা করে। কিন্তু কক্সবাজারে নিয়োজিত বিজিবি, কোস্টগার্ড এবং পুলিশের কোন সূত্র ইউএনএইচসিআরের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়নি। সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইউএনএইচসিআর সাগরে ভাসমান থাকা এসব রোহিঙ্গাদের বিষয়ে এত তথ্য গ্রহণ করেছে অথচ এদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, কতজন রোহিঙ্গা ওই ইঞ্জিনবোটে রয়েছে, তাও নিশ্চিত করতে পারেনি। এছাড়া তারা কীভাবে নিশ্চিত করল যে এরা কক্সবাজারে টেকনাফ থেকে সাগরপথে যাত্রা করল। অপরদিকে ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে আন্দামানে ওই এলাকায় ইঞ্জিনবোটটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে এটি সাগরে ঢেউয়ের সঙ্গে ভাসছে। ভাসমান এসব শরণার্থীদের জরুরী ভিত্তিতে সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন। আন্দামানে এ এলাকায় পরিচালিত সকল নৌ কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়টি ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে জানিয়ে তাদের জরুরী ভিত্তিতে উদ্ধারের আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিকে এসব রোহিঙ্গাদের যাতে কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশ গ্রহণ না করে সে বিষয়ে সতর্কাবস্থানে থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ সূত্রে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। কেননা আগেও এ ধরনের ভাসমান রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশকে গছিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে যে রোহিঙ্গারা আন্দামান সাগরে ভাসছে এরা রাখাইন রাজ্য থেকে সাগরপথে যাত্রা করার তথ্যও দিচ্ছে বিভিন্ন সূত্র। পক্ষান্তরে ইউএনএইচসিআর এদের টেকনাফ থেকে যাত্রার যে তথ্য দিয়েছে এর সপক্ষে কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। বরাবরই এদের আহ্বানের তীর বাংলাদেশের দিকে থাকে। যদিও বাংলাদেশ প্রথমে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে। কিন্তু পরবর্তীতে বিশে^র শক্তিধর রাষ্ট্র ও সংস্থাসমূহের চাপের মুখে এবং মানবিকতার ব্যানারে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করে নেয়। সোমবার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার সাইদুর মোরসালিন জনকণ্ঠকে জানান, ১০/১২ দিন আগে বা পরে কোন রোহিঙ্গা বোঝাই ইঞ্জিন বোট টেকনাফ এলাকা থেকে সাগরপথে যাত্রা করেনি। এ কর্মকর্তা আরও জানান, কোস্টগার্ড সদস্যরা সাগরপথে মাদক ও মানবপাচারের বিপরীতে প্রতিনিয়ত টহল অব্যাহত রেখেছে। টহলের কোন ফাঁকে এদের যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। টেকনাফ পুলিশ সূত্রেও অনুরূপ তথ্য দেয়া হয়েছে, বলা হয়েছে তাদের কাছেও এ ধরনের কোন ঘটনার তথ্য নেই। বিজিবি সূত্রেও টেকনাফ থেকে রোহিঙ্গাদের সাগরপথে যাওয়ার কোন তথ্য নেই বলে জানানো হয়েছে।
×