ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আক্রোশে মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকা থেকে বাদ দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ২১:৫০, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আক্রোশে মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকা থেকে বাদ দেয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ ব্যক্তিগত আক্রোশ ও বিরোধের জের ধরে যাচাই-বাছাই কমিটি এক বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়ে ও প্রতিকার প্রার্থনা করে সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করে লিখিত অভিযোগ তুলে ধরেছেন জেলার শ্যামনগর উপজেলার চিংড়িখালী গ্রামের মৃত বক্স মল্লিকের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুন্নতআলি মল্লিক। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা সুন্নত আলি মল্লিকের মুক্তিযোদ্ধা সনদ নং-ম-১১৬৮২৩, গেজেট নং-১৫৬৩, লাল বার্তা নং-০৪০৪০৪০১৩৬ এবং ভারতীয় পরিচয়পত্র নং-১২৪। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাষনে উদ্বুদ্ধ হয়ে জন্মভূমিকে রক্ষা করতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে ভারতের পিফা ক্যাম্পে ১৭ দিন ধরে থ্রি নট থ্রি রাইফেলের ট্রেনিং শেষ করেন তিনি। সেখান থেকে ভারতের টাকিতে মেজর জলিল, ক্যাপ্টেন নূরুল হুদা এবং মাহফুজ আলম বেগের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান। ওই সময় তিনি শ্যামনগরের অধ্যক্ষ আব্দুল হক, চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ, সাবেক এমপি ফজুলল হক, সাতক্ষীরার কাশেমপুরের সাকাত আলী, খুলনার মোস্তফা, ক্যাম্প কমান্ডার এমসিএএমএ বারী একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং নেন। তিনি ২০১০ সালের ১ মার্চ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়ে আসছেন। উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনে যাচাই-বাছাই কমিটির সামনে হাজির হন তিনি। কিন্তু যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্যরা তার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক কাগজপত্র, প্রমাণ পত্র কিছুই না দেখে তাকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত অভিযোগ, শ্যামনগর থানার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবীরঞ্জনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থাকায় পরিকল্পিতভাবে তাকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইতোপূর্বে টাকার বিনিময় অবৈধ পন্থায় সাতক্ষীরা-৪ আসনের জামায়াতের সাবেক এমপি গাজী নজরুলসহ একাধিক ভুয়া ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ভুক্ত করলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বরাবর ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর দেবীরঞ্জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। সেই আক্রোশে থানার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবীরঞ্জন মণ্ডল যাচাই-বাছাই কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে অবৈধ যোগসাজশে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। তিনি সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
×