ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শুধু পাহারা দিয়ে অপরাধ প্রবণতা কমানো যাবে না : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ১৯:১২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

শুধু পাহারা দিয়ে অপরাধ প্রবণতা কমানো যাবে না : ডিএমপি কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, শুধু পাহারা দিয়ে অপরাধ প্রবণতা কমানো যাবে না। আমাদের মূল দায়িত্ব অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ডিএমপি জানুয়ারি মাসে অস্ত্র, মাদক, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির পুলিশ কর্মকর্তাদের নগদ অর্থ ও সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পুলিশ কমিশনার জানান, আমরা মহামারি করোনার মতো একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করছে। শুধু পাহারা দিয়ে অপরাধ প্রবণতা কমানো যাবে না। আমাদের মূল দায়িত্ব অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অপরাধের শিকার কারা হচ্ছে, কখন হচ্ছে এবং কি কারণে হচ্ছে তার সঠিক কারণ নির্ণয় করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন। ঢাকা শহরের অপরাধ প্রতিরোধে সবাইকে আরও নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। জানুয়ারি মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির ৮টি অপরাধ বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে মিরপুর বিভাগ। ডিএমপির অপরাধ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন লালবাগ বিভাগের চকবাজার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ ইলিয়াছ হোসেন। ডিএমপির সব থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়েছে বংশাল থানা। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন বংশাল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মীর রেজাউল ইসলাম। পুলিশ পরিদর্শক অপারেশনদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আয়ান মাহমুদ। শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মোঃ শরীফুল হাসান ও মোহাম্মপুর থানার এসআই লব চৌহান। শ্রেষ্ঠ এএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মতিঝিল থানার এএসআই হেলাল উদ্দিন ও পল্লবী থানার এএসআই মোঃ ফেরদৌস রহমান। ৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসূদন দাস, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়িচুরি প্রতিরোধ টিম, ডিবি-লালবাগ। চোরাই গাড়ি উদ্ধারেও শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন মধুসূদন দাস। মাদকদ্রব্য উদ্ধারেও শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন মধুসূদন দাস। অজ্ঞান/মলমপার্টি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন ধানমন্ডি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তরিকুর রহমান। ৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার লালবাগ ট্রাফিক জোনের মনতোষ বিশ্বাস। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বাড্ডা ট্রাফিক জোনের মো. সাজ্জাদ হোসেন। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট যৌথভাবে সার্জেন্ট মেহেদী হাসান ও সার্জেন্ট মোঃ আমিনুর রসুল। এছাড়াও ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৯ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার। বিশেষ ক্যাটাগরিতে অর্থ বিভাগ, এস্টেট বিভাগ, ওয়ান স্টপ সার্ভিস শাখা, আইএডি বিভাগ, উপ-পুলিশ কমিশনার (স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপ) ও উপ-পুলিশ কমিশনারদেরকে (ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও বিট পুলিশিং কার্যক্রম সংক্রান্ত পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার। এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×