ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেয়ারবাজারে ধস ॥ সাত মাসের সর্বনিম্ন লেনদেন

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

শেয়ারবাজারে ধস ॥ সাত মাসের সর্বনিম্ন লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তিন দিনের ছুটির পর দেশের প্রধান শেয়ারবাজার উভয় শেয়ারাবাজারে লেনদেন চালু হতেই ধসের ঘটনা ঘটেছে। মৌলভিত্তি সম্পন্ন ও জাঙ্ক সব ধরনের কোম্পানির দর পতনে সূচক হারিয়েছে প্রায় দুই শতাংশ। এর মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকল শেয়ারবাজার। টানা দরপতনের পাশাপাশি সেখানে তারল্য সংকটও প্রকট আকার ধার করেছে। বিনিয়োগকারীরদের নিষ্ক্রিয় আচরণের কারণে লেনদেন কমতে কমতে ডিএসইতে সাত মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ লেনদেন হয়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ সব ধরনের বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ কমে যাওয়ার কারণে শেয়ারবাজারে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছিল। সোমবার শেয়ারবাজার খুলতেই বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক বাড়িয়ে শেয়ারের দর কমতে থাকে। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫০ পয়েন্টের ওপরে পড়ে যায়। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে পতনের মাত্রা। একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দরপতন ঘটতে থাকে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বেড়েছে মাত্র ২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। বিপরীতে পতনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ২১৯টি। আর ১০১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মঙ্গলবারে নতুন কোম্পানির লেনদেন শুরু উপলক্ষে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপ এবং বারাকা পতেঙ্গার আইপিও নিলামের কারণে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিল শেয়ারবাজার। মাত্র গুটিকয়েক কোম্পানির মধ্যে গত কয়েকদিনের লেনদেন হলেও আস্থা ধরে রাখতে না পারার কারণে সোমবারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় একদিনেই পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওপরে মূলধন হারায় ডিএসই। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬০ হাজার ৮০ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবস শেষে ছিল ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা। এ হিসেবে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। অপরদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৪৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৭ কোটি ৮ লাখ টাকা। গত বছরের ২৯ জুলাইয়ের পর ডিএসইতে এত কম লেনদেন হয়নি। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৫৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২২টির এবং ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
×