ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করিমগঞ্জে নববধূ হত্যার দায়ে ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১৫:৪৭, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

করিমগঞ্জে নববধূ হত্যার দায়ে ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ ॥ জেলার করিমগঞ্জে নববধূ রুবা আক্তার (১৮) হত্যার দায়ে দুই চাচা শ্বশুর ও শ্বাশুড়িসহ মামলার ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। এছাড়া রায়ে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদ- প্রদান করা হয়েছে। সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলো-করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া মোড়লপাড়া গ্রামের মোঃ তাহেরের মেয়ে লুৎফা (৩০), মৃত মীর হোসেনের ছেলে মোঃ সোরাব (৪৫), তার স্ত্রী মোছাঃ জোসনা (৪০) ও ছেলে মোঃ শরীফ (২২), মৃত হালু মিয়ার ছেলে মুসলিম (৫৫) ও তার স্ত্রী নূর নাহার বেগম (৪০)। মামলার বিবরণে জানা যায়, ভাটিয়া মোড়লপাড়া গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে নিহত রুবা আক্তারের সঙ্গে ২০১১ সালের ১৯ মে তারই চাচাতো ভাই মৃত আব্দুছ কুদ্দুছের ছেলে শামীমের (২২) পারিবারিভাবে বিয়ে হয়। উভয়ের দাদা-দাদী মৃত্যুর আগে ওছিয়ত মোতাবেক দু’জনের মধ্যে বিয়েটি হয়েছিল। কিন্তু এ বিয়ে শামীম ও তার চাচা-চাচীসহ পরিবারের অন্যরা মেনে নিতে পারেনি। এর জেরে আসামিরা আক্রোশে পরস্পর যোগসাজশে একই উদ্দেশ্যে নববধূ রুবা আক্তারকে ২০১১ সালের ৩ জুন দিবাগত রাতে বসতঘরে বা বাহিরে নিয়ে গলাটিপে হত্যা করে লাশ বাড়ির পেছনে ডোবায় ফেলে রাখে। এ ঘটনায় পরদিন ৪ জুন নিহতের বড় ভাই মোঃ আল আমিন বাদী হয়ে শামীমসহ সাতজনের নামাল্লেখ করে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা (নং-০৩) দায়ের করেন। পরে তদন্তকালে নিহতের স্বামী শামীমকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) খোন্দকার শওকত জাহান ২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। সাক্ষ্য-জেরায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বিচারক সোমবার জনাকীর্ণ আদালতে উপরোক্ত রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহজাহান এবং আসামিপক্ষে এ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।
×