ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রোগে শোকে মানুষের মৃত্যু ও আমাদের উপায়

প্রকাশিত: ২০:১২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

রোগে শোকে মানুষের মৃত্যু ও আমাদের উপায়

আমরা জানি দুই ধরনের অসুখে সাধারণত মানুষ ভুগে ও মানুষের মৃত্যু হয়, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে অসংক্রামক রোগের কারণে পৃথিবীতে ৪১ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়, যা মোট মৃত্যুর শতকরা ৭১ ভাগ। এর মধ্যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে অসংক্রামক রোগে মারা যাওয়া ১৫ মিলিয়ন মানুষের বয়স ৩০ থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে, যে বয়সে মৃত্যু অনাকাক্সিক্ষত। বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা আরও বলছে, অসংক্রামক রোগের মধ্যে মৃত্যুহারে হৃদরোগের সংখ্যাই বেশি (১৭.৯ মিলিয়ন), দ্বিতীয় স্থানে আছে ক্যান্সার (৯ মিলিয়ন), তৃতীয় শ্বাসযন্ত্রের অসুখ (৩.৯ মিলিয়ন) ও চতুর্থ ডায়াবেটিস (১.৬ মিলিয়ন)। এ সকল মৃত্যুর শতকরা ৮০ ভাগই অকাল মৃত্যু। দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে কোন অসুখের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু না থাকায় এ সকল রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আমরা জানতে ও জানাতে পারি না। প্রায় দুই যুগ গেছে আমাদের সংক্রামক ব্যাধি নিয়ে কাজের মধ্যে। গত এক বছর দুনিয়ার আর সব দেশের মতো আমরাও ব্যস্ত কোভিড নিয়ন্ত্রণে, এই জাতি অসংক্রামক রোগ নিয়ে ভাবার বেশি একটা সময় পায়নি। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ছিল বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। জাতীয়ভাবে তেমন কোন উদ্যোগ না থাকলেও কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন আয়োজন ও গণমাধ্যমে লেখালেখি থেকে দেশের মানুষ সচেতন হবার জ্ঞান অর্জন করেছে বটে, কিন্তু আমাদের আরও বিস্তৃত চিন্তা করে এগোনো দরকার। পৃথিবীর কোন দেশে জটিল রোগের চিকিৎসা সরকার আগে করে না, বেসরকারী উদ্যোগে শুরু হয়, পরে সরকার তার বিকাশে অংশ নেয়। ব্রিটিশ ভারতে স্যার দোরাবজী টাটা ট্রাস্টের উদ্যোগে মুম্বাইতে (তৎকালীন বোম্বাই) ‘টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল’ কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১ সালে। এই হাসপাতালের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ভারতের জনগণের জন্য নিবেদিত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা। ১৯৫২ সালে ক্যান্সার নিয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য এরাই প্রতিষ্ঠা করে ‘ইন্ডিয়ান ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার’, যা পরে ‘ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ নামকরণ করা হয়। ক্যান্সার নির্ণয়, চিকিৎসা ও গবেষণায় এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ১৯৫৭ সালে ভারত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই হাসপাতালের দায়িত্ব নেয় ও ১৯৬২ সালে সরকারের সহায়তায় টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সকল প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয় ভারতের আণবিক শক্তি কমিশনের কাছে। ১৯৬৬ সালে ‘টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল’ ও ‘ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ একীভূত করে নামকরণ করা হয় ‘টাটা মেমোরিয়াল সেন্টার’, যা টিএমসি নামে এই উপমহাদেশের অন্যতম একটি সফল চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ব্যক্তিগত দান ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত মানবপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ হয়েছে এই ক্যান্সার চিকিৎসা পরিষেবা। শিক্ষা ও গবেষণার জন্য সরকারের সহায়তা দিয়ে উৎসাহ দেবার এমন মহৎ উদ্যোগ, যা এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও অনুসরণীয় মডেল। বাংলাদেশে প্রথম ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৫৩ সালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামের কুমুদিনী হাসপাতালে, যার প্রতিষ্ঠাতা দানবীর নামে খ্যাত রায় বাহাদুর রণদা প্রসাদ সাহা। ১৯৪৩ সালে তিনি তাঁর ঠাকুরমা শ্রীমতি শোভাসুন্দরীর নামে একটি বহির্বিভাগ চালু করেন ও ১৯৪৪ সালে মা কুমুদিনীর নামে ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল সেবাব্যবস্থা চালু করেন, যা উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন বাংলার গবর্নর লর্ড কেসী। এই হাসপাতাল ক্রমান্বয়ে বৃহৎ পরিসরে আত্মপ্রকাশ করে, যেখানে ১৯৫৩ সালে ডীপ এক্স-রে দিয়ে ক্যান্সার চিকিৎসা চালু করা হয়। বাংলাদেশে প্রথম রেডিওথেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সার চিকিৎসা এই কুমুদিনী হাসপাতালেই শুরু হয়েছিল। এরও অনেক পরে ১৯৮২ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের একটি টিনশেড ভবনে ক্যান্সার সেবা চালু হলেও পরবর্তীতে রোটারির সঙ্গে চুক্তি করে মহাখালীতে একটি ক্যান্সার ডিটেকশন সেন্টার চালু হয়, যা বর্তমানে ক্যান্সার চিকিৎসা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেবায় নিয়োজিত একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান। আমরা সবাই জানি প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার ধরা পড়লে অধিকাংশ রোগী ভাল হয়। আমাদের দেশে পুরুষের ফুসফুস ক্যান্সার বেশি হয় সাধারণত ধূমপানের জন্য। নারীদের ক্ষেত্রে স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সার বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, ২০৩০ সালে বিশ্বে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা হবে দ্বিগুণ। এর অধিকাংশ ক্যান্সারই হবে তৃতীয় বিশ্বের মানুষের। আর তা ঠিকমতো মোকাবেলা করতে না পারলে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। তাই আমাদের এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। কিন্তু ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতির জন্য যে পরিকল্পনা থাকা দরকার তা খুবই বিচ্ছিন্ন। একে ভাবা দরকার অন্যান্য অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের কর্মসূচীর সঙ্গে মিলিয়ে, যা আমরা করছি না। বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা আরও সতর্ক করছে যে, অসংক্রামক রোগের কারণে অকালে, অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর শতকরা ৮৫ ভাগই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয়। এ থেকে উৎপাদনক্ষম বয়সের মানুষদের বাঁচিয়ে রাখতে দেশগুলোর এখনই উদ্যোগী হতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে রোগে-শোকে মৃত্যুর হার কমাতে প্রচুর স্মার্ট পদ্ধতি চিকিৎসা সেবায় যুক্ত হয়ে গেছে। আমরা সেসব মানিয়ে নিতে পিছিয়ে থাকব কেন? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে- নির্ণয়, বাছাই ও চিকিৎসা এই তিন কাজই হলো অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কাজের জরুরী অংশ, যেগুলোতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রায় সব দেশেই কাজ চলছে। আরও একটি জরুরী সেবা প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্রশমন যত্নের জন্যও এখন মোবাইল ফোনের এ্যাপের মাধ্যমে লক্ষণ বা উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা সেবা দেয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন যে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে বা পড়তে যাচ্ছে তা হলো কেমন করে সে তার সকল উন্নয়নের সাফল্য বিশেষ করে গত এক দশকের অর্জন ধরে রাখতে পারে, যাতে এই অসংক্রামক রোগের কারণে দেশের মানুষ তাদের সার্বিক উন্নতির অবস্থান থেকে বিচ্যুত না হয়ে পড়ে। গত সপ্তাহে আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক দেশের স্বনামধন্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক এক আলাপচারিতায় এই উদ্বেগে আমার সঙ্গে একমত হলেন ও তার অভিজ্ঞতালব্ধ কিছু পরামর্শ শেয়ার করলেন। ডা. দীন মোহাম্মদ মনে করেন, আমাদের অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞ সেবায় যথেষ্ট সক্ষমতা আছে, কিন্তু কিছু অভ্যন্তরীণ ও সমাধানযোগ্য স্থানীয় দুর্বলতা বেশি করে সামনে চলে আসে। কারণ, চিকিৎসা সেবায় মানুষের আকাক্সক্ষার মাত্রা অন্যান্য পরিষেবার চেয়ে অনেক বেশি সংবেদনশীল। তাঁর মতে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় তাই পাঁচটি বিষয় এখন গুরুত্বপূর্ণ- ১। আমাদের হাসপাতাল বা চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রগুলোয় সমন্বিত কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতি সারাতে ঢাকার ওপর নির্ভর না থাকতে হয়। এ জন্য প্রতি কেন্দ্রে রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট থাকা দরকার ২। আমাদের সেবাকেন্দ্রগুলোয় অভ্যন্তরীণ ক্লিনিং ইউনিট থাকা দরকার, যা পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করবে ৩। প্রতিটি কেন্দ্রে নিজস্ব লিনেন সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা দরকার, যাতে উপযুক্ত সেবায় তা নিশ্চিত থাকে ৪। হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা বিশেষ করে, সলিড, লিকুইড ও অর্গানিক বর্জ্যরে ব্যবস্থাপনা কেমন হবে তা আধুনিক ব্যবস্থাপনায় সুনির্দিষ্ট গাইডলাইনভুক্ত থাকা দরকার, যেন সবাই তা অনুসরণ করে এবং ৫। মানব সম্পদের ব্যবস্থাপনায় নিচের দিকের কর্মীদের প্রতি আরও একটু মনোযোগী হওয়া, যাতে তাদের মধ্যে বৈষম্যের আক্ষেপ না থাকে। ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক এই আলাপের এক পর্যায়ে জানান যে, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি ইতোমধ্যে চক্ষু চিকিৎসায় একটি উদ্ভাবনী কাজে হাত দিয়েছেন, যার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে চক্ষু নিরীক্ষা কেন্দ্র চালু হতে যাচ্ছে। এই কেন্দ্রগুলো স্থানীয় পর্যায়ে চক্ষু নিরীক্ষণ করে ভিডিওর মাধ্যমে দূরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ পেতে সাহায্য করবে। তিনি মনে করেন বঙ্গবন্ধু যে গ্রামভিত্তিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী সে লক্ষ্য পূরণেই কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা বাস্তবায়নের কাজে হাত দিয়েছিলেন। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সে পরিকল্পনা এখন বাংলাদেশে দৃশ্যমান হয়েছে। সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন ও পরিচালনার নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী যার হাতে তুলে দিয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোদাচ্ছের আলীর সঙ্গেও আমি এই নিয়ে সম্প্রতি মতবিনিময় করি। ডা. মোদাচ্ছের আলী একজন নিবেদিতপ্রাণ চক্ষু চিকিৎসক, যিনি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি আমাকে অত্যন্ত দৃঢ়চিত্তে জানালেন, প্রধানমন্ত্রীর একটিই কথা, এই দেশের কোন মানুষ যেন চিকিৎসা সেবার বাইরে না থাকে। সকলের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার অধিকার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সে লক্ষ্যে গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমার ধারণা, এইসব বিশেষজ্ঞের মতামত গুরুত্ব দিয়ে আমাদের স্বাস্থ্য সেবার গুণগতমান নিশ্চিত করার সময় হয়েছে। কেবল গতানুগতিক চিকিৎসা সেবা দেয়া, রোগ নির্ণয়ে কারণে-অকারণে সেবা প্রত্যাশীকে ডায়াগনস্টিক কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়া, মানুষের প্রত্যাশাকে বিসর্জন দিয়ে তাদের আর্থিক দুর্গতির মধ্যে ফেলে রাখা আর আমাদের উচিত হবে না। গত পঞ্চাশ বছর আমরা যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি, বলতে দ্বিধা নেই এর বেশিরভাগই ওপরের দিকের মানুষের কথা বিবেচনা করে। ১৯৭৮ সালে আলমাআতা ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হলে আমরা তা নিয়ে প্রচুর কাজ করেছি বটে, কিন্তু প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারিনি, যা শুরু হয়েছিল ’৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে, যখন তিনি কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণার প্রবর্তন করলেন। এখন সে ধারণা অনেকদূর এগিয়েছে। এখন তাই আমাদের মনোযোগ দিতে হবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে তৃণমূলে প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজনে পৌঁছে দিতে। কমিউনিটি ক্লিনিকই হতে পারে আমাদের স্বাস্থ্য চাহিদা নিরূপণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আমাদের প্রচুর তথ্য-উপাত্ত দরকার যাতে গ্রামের সর্বশেষ প্রান্তে চিকিৎসা সেবার যথার্থ চাহিদা বুঝতে পারা যায়। দেশে এত পরিমাণ চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নেই যে, তাদের গ্রামে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়ে আমরা উচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে পারব। কিন্তু গ্রামে গ্রামে তরুণদের সম্পৃক্ত করে স্বাস্থ্য চাহিদা যদি জানা যায়, যেমন উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় মানুষ উচ্চ রক্তচাপে বেশি ভুগছে বা যেসব অঞ্চলে আঞ্চলিক রোগের প্রাদুর্ভাব, সেখানে নিশ্চয়ই সেমতেই সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে তথ্য-প্রযুক্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশে এর চেয়ে বড় সুযোগ আর কী আছে? আমাদের তাই বাড়াতে হবে স্বাস্থ্য গবেষণার সুযোগ। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেই আমরা প্রকৃত স্বাস্থ্য সেবার উপায় বের করে নিতে পারি। আমাদের যে কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকিও তখন মোকাবেলা করা সহজ হবে, তা সংক্রামক বা অসংক্রামক যে রোগই হোক। লেখক : পরিচালক, আমাদের গ্রাম গবেষণা প্রকল্প [email protected]
×