ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কর্মী হিসেবে বিদেশ যেতে নারীদের আগ্রহ কম

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

কর্মী হিসেবে বিদেশ যেতে নারীদের আগ্রহ কম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পুরুষের যতটা আগ্রহ রয়েছে সেই তুলনায় নারীদের আগ্রহ কম। পুরুষ কর্মীরা বিশ্বের ৪৮টি দেশে কাজ করার সুযোগ পেলেও নারী যেতে পেরেছেন মাত্র ২২টি দেশে। এর মধ্যে ১৪ শতাংশ নারী কর্মী বিনা খরচে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে অভিবাসন ও জেন্ডার: একটি অনিয়মিত দৃশ্যপট’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসনে নারী এবং পুরুষের অংশগ্রহণ এবং উভয়ের মধ্যকার বিশ্লেষণমূলক জরিপটি যৌথভাবে পরিচালনা করে দৃষ্টি রিসার্চ সেন্টার এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টারগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট- র‌্যাপিড। জপিরে উঠে আসে, পুরুষ কর্মীরা ৪৮টি দেশে কাজ করার সুযোগ পেলেও নারী যেতে পেরেছেন ২২টি দেশে। এর মধ্যে ১৪ শতাংশ নারী কর্মী বিনা খরচে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। বিদেশ যাওয়া নারীদের আর্থিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। তবে, এখনও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নারীদের কর্মী হিসেবে বিদেশ যাওয়ার অন্যতম বাধা হিসেবে কাজ করছে। দালালদের দৌরাত্ম্য, সরকার নির্ধারিত খরচের চেয়ে অতিরিক্ত খরচ, অদক্ষ শ্রমিক, নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা অভিবাসী শ্রমিকদের অন্যতম বাধা হিসেবে চিহ্নিত। সচিব বলেন, বিদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পুরুষের যতটা আগ্রহ রয়েছে সেই তুলনায় নারীদের আগ্রহ কম। একথা উল্লেখ করে অভিবাসনের ক্ষেত্রে নারীদের আগ্রহী করে তোলার আহ্বান জানান তিনি। আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসনে সরকারের পদক্ষেপ এবং অঙ্গীকারগুলো তুলে ধরেন ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। পাশাপাশি নারী অভিবাসনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টি জ্ঞাপনের অনুরোধ জানান তিনি। একইসঙ্গে দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের নেতিবাচক বিষয়গুলোর পাশাপাশি ইতিবাচক বিষয়গুলোও জনসাধারনের সামনে তুলে এনে অভিবাসনের ক্ষেত্রে নারীদের আগ্রহী করার আহ্বান জানান। ওয়েবিনারে বিষেশ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের (আইএলও) প্রতিনিধি ইগোর বসক, কি নোট প্রেজেন্টার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টারগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক এবং দৃষ্টি রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক তেরেসা ব্লাচেট। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টারগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‌্যাপিড) কার্যনীর্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আবু ইউসুফ। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি শারমীন রিনভী। ওয়েবিনারটির উপস্থাপনা করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।
×