ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পুরুষের তুলনায় নারীদের ঘুমের সমস্যা বেশি হওয়ার কারণ

প্রকাশিত: ১৩:০৯, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

পুরুষের তুলনায় নারীদের ঘুমের সমস্যা বেশি হওয়ার কারণ

অনলাইন ডেস্ক ॥ ক্লান্তিতে চোখ বুজে আসলেও ঘুমিয়ে পড়া সবার জন্য সহজ হয় না। অনেকেই সময়মত শুয়ে পড়ার পরও এপাশ-ওপাশ করেই মধ্যরাত হয়ে যায়, কিন্তু ঘুম আসেনা। এমনকি প্রচণ্ড ক্লান্তি থাকার পরও। আর যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্লিপ ফাউন্ডেশন’ গবেষণার ভিত্তিতে দাবি করেন, এমন পরিস্থিতি পুরুষের তুলনায় নারীদের জন্য বেশি তীব্র। ইনসমনিয়া বা অনিদ্রারোগ : ঘুমজনীত রোগ বা ‘স্লিপ ডিজঅর্ডার’য়ের একটি ধরন হল ‘ইনসমনিয়া’। এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির সহজে ঘুম আসে না আবার সামান্যতেই ঘুম ভেঙে যায়। স্বল্প বা দীর্ঘ মেয়াদি দুই রকম-ই ‘ইনসমনিয়া’। নারীদের জন্য অনিদ্রারোগ বা ‘ইনসমনিয়া’র ঝুঁকি কেনো বেশি সেটাই জানান হল স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে। হরমোনের দোষ: ঘুম চক্র আর হরমোনের মধ্যে নিবিঢ় সম্পর্ক আছে। বয়সন্ধিকাল পর্যন্ত ছেলে কিংবা মেয়ের ঘুম চক্রে কোনো তফাৎ থাকে না। তবে নারীর ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার পর থেকেই তার ঘুম চক্রে পরিবর্তন আসতে শুরু কবে। মাসিক চক্রের ওপর নির্ভর করে তাদের ঘুম চক্রের ভালোমন্দ। গর্ভধারণ আর রজঃবন্ধ-ও একজন নারীর শরীরে হরমোনজনীত পরিবর্তন আনে ব্যাপক হারে। তাই এই সময়গুলোতেও নারীদের ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মেজাজের ওঠা-নামা: মানসিক অবস্থার ঘন ঘন পরিবর্তন নারীদের ঘুমের সমস্যা বেশি হওয়ার আরেকটি বড় কারণ। আবেগ প্রবণতা নারীদের মাঝে বেশি দেখা যায়। যে কারণে দ্রুত তাদের মানসিক অবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে ঋতুস্রাব চলার সময়ে। এ কারণে নারীদের অনিদ্রায় আক্রান্ত হওয়া সম্ভাবনাও থাকে বেশি। কারণ হল মানসিক অবস্থায় আকস্মিক পরিবর্তন আনার পেছনে মস্তিষ্কের যে রাসায়নিক উপাদানগুলো কাজ করে, সেগুলোই ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যক্তিগত আর কর্মজীবনের টানাপোড়ন: সমাজে শিশু ও বৃদ্ধদের সেবা দেওয়া প্রসঙ্গে প্রথমসারিতে থাকেন নারীরা। কর্মজীবী নারীদের ক্ষেত্রে কাজ আর ঘর সামলানো দুই গুরুদায়িত্ব অনেকটাই নারীর ওপর পড়ে। দুই দায়িত্ব পালন করার যে মানসিক ধকল, সেটাও তাদের অনিদ্রার পেছনে গুরুতর ভূমিকা পালন করে। করণীয় : অনিদ্রা জীবনসঙ্গী হয়ে ওঠার আগেই তা সমাধানের ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যবস্থা আছে অনেক। তবে কোন ব্যবস্থা কার্যকর হবে তা নির্ভর করবে সমস্যার তীব্রতার ওপর। অনিদ্রাতে কম-বেশি সবাই ভোগেন, যার স্থায়িত্ব হয় এক কিংবা দুই রাত। তবে অনবরত চলতে থাকলেই বুঝতে হবে আপনার অনিদ্রা ‘ক্রনিক’ মাত্রা ধারণ করছে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পাশাপাশি রাতে ঘুমানোর আগে ভারী কিছু খাওয়া বন্ধ করতে হবে। ঘুমানোর আগে মদ্যপান কিংবা ‘ক্যাফেইন’যুক্ত পানীয় পান করা যাবে না। বৈদ্যুতিক পর্দা থেকে দূরে থাকতে হবে। সপ্তাহের সবদিন একই রুটিনে ঘুমাতে হবে।
×