ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘কার্বন নির্গমন কমাতে গিয়ে কৃষি উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না’

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

‘কার্বন নির্গমন কমাতে গিয়ে কৃষি উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধান সিদ্ধকরণ থেকে কার্বন নির্গমন কমাতে চায় বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংস্থা ইউএনএফসিসিসিতে একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। প্রতিবেদনে মোট তিনটি উপায়ে কার্বন কমানোর অতিরিক্ত প্রস্তাব দিয়েছে। কার্বন নির্গমন কমানোর অপর দুটি উপায় হলো, যে সকল গাছ অতিমাত্রায় কার্বন শোষণ করে তার প্রজাতি চিহ্নিত করে তা লাগানো এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি)। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ শামসুদ্দোহা বলেন, বর্ধিত পরিমাণে কার্বন নির্গমন কমানোর প্রতিশ্রুতির আওতায় বাংলাদেশ তিনটি উপায়ে গ্রীন হাউজ গ্যাস কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় জাতিসংঘের উদ্যোগে অবদান রাখতে চায়। এ ব্যাপারে ১৮ পৃষ্ঠার একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংস্থা ইউএনএফসিসিসিতে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে প্রথম প্রস্তাবটি হচ্ছে ধান সিদ্ধকরণ খাতে জ্বালানির কার্যকারিতা বৃদ্ধি। অর্থাৎ ধান সিদ্ধকরণ থেকে কার্বন নির্গমন কমানো, যা হাস্যকর একটি প্রস্তাব। তাছাড়া এটি কৃষি খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কার্বন নির্গমন কমাতে গিয়ে কোনভাবেই কৃষি খাতের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। তিনি বলেন, চূড়ান্ত আকারে বর্ধিত এনডিসি প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশের হাতে আরও দুই মাস সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে বিজ্ঞানী ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে কার্বন নির্গমন কমানোর খাত চিহ্নিত করা উচিত।
×