ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্টারভিউ কল পেতে প্রফেশনাল সিভি

প্রকাশিত: ২০:৪০, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ইন্টারভিউ কল পেতে প্রফেশনাল সিভি

অন্যকে ইম্প্রেস করতে হলে নিজেকে এক্সপ্রেস করতে হবে, আর নিজেকে এক্সপ্রেস করতে হলে আপনার দরকার একটি সিভি/ রিজুমি। আপনি নিজে জীবনেও সেসব জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন না, যেখানে আপনার সিভি/ রিজুমি যাবে। আপনি যতই দক্ষ বা যোগ্য হন না কেন, আপনার সিভি দেখে যদি সেটা বোঝা না যায়, তাহলে আপনার সেই দক্ষতা বা যোগ্যতার কোন দাম নেই। যে কোন কোম্পানিতে আপনার আগে আপনার সিভি যাবে। সিভিতে যদি আপনার দক্ষতা বা যোগ্যতার যথাযথ উপস্থাপনা থাকে, তাহলেই কেবল আপনি ইন্টারভিউকল পাবেন এবং সে ক্ষেত্রে আপনি চিৎকার করে নিজেকে দক্ষ বা যোগ্য বলে গেলেও, তা থেকে ভাল ফল পাবেন না। আর আপনি যদি ইন্টারভিউ কলই না পান, তাহলে নিজেকে দক্ষ প্রমাণ করবেন কার কাছে? আমরা অনেকেই প্রতিনিয়ত অনেক সুযোগ হারাচ্ছি, কেবল মাত্র আমাদের কাজগুলোকে যথাযথভাবে উপস্থাপনা করতে না পারার কারণে। উন্নত বিশ্বের প্রতিটি দেশে এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও প্রফেশনাল রাইটারদের দিয়েই সিভি আপডেট করা হয়। একইভাবে আমাদের দেশেও এই সেবা চালু হয়েছে। আমাদের তরুণদের জন্য, এমনকি যারা জব করছেন, তাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় হচ্ছে প্রফেশনাল সিভি তৈরি করা। সিভি রাইটিং এর সময়ে একজন প্রফেশনাল ক্যারিয়ার কোচ আপনার সঙ্গে কথা বলবেন, আপনার সম্পর্কে খুটিনাটি জেনে নেবেন। আপনার অবজেকটিভ কি, কিংবা ক্যারিয়ারে আপনার এ্যাচিভমেন্ট কি সব কিছু জেনে নিয়ে তিনি সিভি তৈরি করে দেবেন। এতে করে আপনার উইকনেসগুলো কি সেটা জানতে পারবেন এবং কোথায় কোথায় আপনার দরকার তাও জানতে পারবেন। ২০১৬ সাল থেকে সিভি রাইটিং নিয়ে কাজ করছে কর্পোরেট আস্ক। এই প্রতিষ্ঠান থেকে এখন পর্যন্ত সিভি আপডেট করিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৮০০০ মানুষ। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ আহমেদ জানান, তারা প্রত্যেকের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান আলোচনার মাধ্যমে রিজুমি রাইট করেন। রিজুমি রাইটিং এর ক্ষেত্রে তারা ফর্মেটের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন কন্টেন্টের ওপর। দেশের নামী-দামী প্রায় সকল কর্পোরেট হাউজের উচ্চপদস্থ কর্ম কর্তারাও সিভি বানিয়ে নিয়েছেন কর্পোরেট আস্ক থেকে। এছাড়াও তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই সিভি রাইটিংয়ের ওপর ওয়ার্ক শপ পরিচালনা করেছেন। ভাল একটা সিভি না থাকার কারণে আর কেউ যেন কোন স্কোপ মিস না করেন, এটাই তাদের লক্ষ্য। প্রতিটা সিভি তৈরি করতে প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা সময় লাগে। বুকিং প্রসেস শেষ হওয়ার পর, প্রতিটি সিভি ইভ্যালুয়েশন করা হয়। সিভির প্রতিটা লাইন চেঞ্জ করা হয়। সেখানে পাওয়ারফুল শব্দ বসানো হয়। কিলার ফ্রেজ, ডাল ফ্রেজ, বোরিং ফ্রেজগুলোকে রিমুভ করে দেয়া হয়। এটিএস সফটওয়্যার ফ্রেন্ডলি সিভি বানিয়ে দেয়া হয়। এতে করে ক্যান্ডিডেটের ইন্টারভিউ কল পাওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণে বেড়ে যায়। সিভি লিখিয়ে নিলেই কি জব নিশ্চিত? এমন প্রশ্ন করায় নিয়াজ আহমেদ জানান, সিভি আসলে আপনার কাজের সেরা প্রেজেন্টেশন নিশ্চিত করবে। এর সঙ্গে জব পাওয়ার সরাসরি কোন সম্পর্ক নাই। তবে তাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কারও সিভিতে তার কাজগুলোর সাবলীল উপস্থাপনা, চাকরিপ্রার্থীর কল পাওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। মানুষের ক্যারিয়ারে ভূমিকা রাখার জন্য বিভিন্ন সময়ে নানা রকমের সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি। কর্পোরেট আস্ক থেকে নানান সময়ে বিভিন্ন রকমের অফার দেয়া হয়, যাতে আরও বেশি মানুষকে সিভি লিখিয়ে নেয়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা যায়। সিভি লেখার পাশাপাশি কভার লেটার, বিডিজবস প্রোফাইল, লিংকডইন প্রোফাইল তৈরির কাজও তারা করে থাকেন, যাতে সব মিলিয়ে একজন চাকরিপ্রার্থী পূর্ণাঙ্গ প্রিপারেশন নিতে পারে। ক্যাম্পাস ডেস্ক
×