ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জার্মানিতে প্রথম চালু হলো ‘করোনা কারাগার’

প্রকাশিত: ১৩:১৮, ২৮ জানুয়ারি ২০২১

জার্মানিতে প্রথম চালু হলো ‘করোনা কারাগার’

অনলাইন ডেস্ক ॥উত্তর জার্মানির একটি ছোট শহর জুভেনাইলের ডিটেনশন সেন্টারের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে তৈরি হয়েছে ‘করোনা কারাগার’। ছয় ঘরের কারাগারে যারা করোনার কোয়ারেন্টাইন ভাঙবেন, তাদের রাখা হবে। খবর ডয়চে ভেলে। শ্লেসভিগ হলস্টাইন রাজ্যের নোয়েমুনস্টার ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের সদস্য শুলজ জানিয়েছেন, যারা করোনায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের বাড়িতে থাকার কথা। করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে এটা খুবই জরুরি। কেউ যদি এই নিয়ম না মানেন, তাহলে তারা অন্যদের ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবেন। তাই সেই নিয়ম না মানলে এই জেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানুয়ারিতে চালু হওয়া কারাগার চিরাচরিত কারাগারের মতো নয়। এখানে টিভি, ল্যাপটপ, ফোন এবং অন্য সকল সুবিধা পাওয়া যাবে। যাদের এখানে রাখা হবে, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ব্যবস্থা হবে। তাদের জন্য আরামদায়ক বিছানা থাকবে। হাঁটার জায়গা থাকবে। শুলজ জানিয়েছেন, নিজের বাড়ির সকল স্বাচ্ছন্দ্য মিলবে জেলের নিভৃতবাসে। তফাৎ একটাই। মানুষকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই জেলে ঢোকানো হবে এবং তারা রক্ষীদের কথা মানতে বাধ্য হবেন। ৪০ জন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারকে নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে, তারা রক্ষীর দায়িত্ব পালন করবেন। কেউ যদি নিজের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বারবার অস্বীকার করেন, তাহলেই তাকে জেলে রাখা হবে। তবে তার আগে দেখতে হবে, তারা নির্দেশ অমান্য করে বাইরে গিয়েছেন এবং তাদের থেকে অন্যদের করোনা হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে কিনা। তখন পুলিশ তাদের বাড়িতে যাবে এবং প্রথমে তাদের জরিমানা করা হবে। তারপর কোর্টের নির্দেশে তাদের করোনা কারাগারে পাঠানো হবে। তবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদসংস্থা ডিপিএ-কে জানিয়েছেন, খুব কম মানুষকেই এখানে রাখতে হবে। এখনো পর্যন্ত কোয়ারান্টিন ভেঙেছেন এমন কেউ নেই। কেউ ভাঙলে আদালতের নির্দেশেই তাকে ওখানে রাখা হবে। দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে। কিছু সমালোচকের মতে, এও এক ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন। কেউ বলছেন, এটা বেআইনি। অনেক রাজনৈতিক দলও এর বিরুদ্ধে। কতটা কার্যকর হবে এই ব্যবস্থা, এমন প্রশ্নের জবাবে শুলজ বলছেন, ‘এখনো একজনকেও করোনা কারাগারে রাখা হয়নি। থাকলে এর কার্যকারিতা বোঝা যাবে।’
×