ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তাদের ব্লকবাস্টার সিনেমা

প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ২৮ জানুয়ারি ২০২১

তাদের ব্লকবাস্টার সিনেমা

হলিউড যেন সারাবিশ্বের সিনেমার ইঞ্জিন। খ্যাতি, গ্ল্যামার, চাকচিক্য আর অর্থের ঝনঝনানি সবখানেই হলিউড অন্য যে কোন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। হলিউডের তারকা অভিনেতারা একটা সিনেমায় এত পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন যে সেটা ছোট কোন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তারকা ক্যারিয়ারের সমস্ত পারিশ্রমিক এর চাইতে বেশি। ‘সেভিং প্রাইভেট রায়ান’ ছবিটির জন্য টম হ্যাঙ্কস নিয়েছেন ৪০ মিলিয়ন ডলার। পরিচালক স্পিলবার্গ সব মিলে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার তুলে নিয়েছেন সিনেমা থেকে। টাইটানিক সিনেমাটি দেখেনি এ রকম মানুষ পাওয়া কঠিন। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটির জন্য লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও পারিশ্রমিক আর লভ্যাংশ মিলে পান ৪০ মিলিয়ন ডলার। টাইটানিক পরে এযাবতকালের সব থেকে আয় করা সিনেমার খেতাব পায় যদিও এই রেকর্ড বর্তমানে টাইটানিকের নেই। হালের জনপ্রিয় সিরিজ এ্যাভেঞ্জার্সের এজ অব আলট্রন সিনেমায় আয়রনম্যান চরিত্রে অভিনয় করা রবার্ট ডাউনি জুনিয়র পারিশ্রমিক নিয়েছেন ৪০ মিলিয়ন ডলার। এলিস ইন দ্য ওয়ান্ডারল্যান্ড সিনেমায় একই অভিনেতা নিয়েছিলেন ৪০ মিলিয়ন ডলার। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া দ্য এ্যাভেঞ্জার্স সিনেমা থেকে ডাউনি কামান ৫০ মিলিয়ন ডলার। ক্রিস্টোফার নোলানের আরেক কালজয়ী সিনেমা ইনসেপশন ইনফেকশনের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করার নিয়ম ডি ক্যাপ্রিও ৫৯ মিলিয়ন ডলার পেয়ে ছিলেন পারিশ্রমিক এবং লভ্যাংশ থেকে। একুশ শতকের বিগ বাজেট সিনেমায় পারিশ্রমিক ৪০-৫০ মিলিয়ন ডলার হরহামেশাই হয়ে থাকে কিন্তু আশির দশকের ৫০ মিলিয়ন ডলার একটু অবিশ্বাস্যই বটে। ১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া ব্যাটম্যান সিনেমায় অভিনয় করে জ্যাক নিকলসন পকেটে পুরেন ৬০ মিলিয়ন ডলার। নির্মাতাদের সঙ্গে ৬ মিলিয়ন ডলারের যুক্তি থাকলেও সিনেমার লভ্যাংশ থেকে ৬০ মিলিয়ন ডলার বাগিয়ে নেন এই অভিনেতা। ২০০৮ সালে ইন্ডিয়ানা জোন্স অন্ড দ্য কিংডম অব ক্রিস্টাল স্কাল সিনেমার অভিনেতা করে হ্যারিসন ফোর্ড বাগিয়ে নেন ৭০ মিলিয়ন ডলার। মহাকাশের মহাশূন্যতা এবং ভয়াবহতা দেখানো সিনেমা গ্রাভিটি ছবিটিতে অভিনয় করে ৬৫ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক নেন চামড়া সান্দ্র বুল্ক। আলাভোলা টম হ্যাঙ্কসের অভিনয়ে মন জুড়িয়েছিল সারা বিশ্বের। এই সিনেমায় অভিনয় করে খেতে চূড়ায় পৌঁছে যান টম। সব মিলিয়ে সিনেমা থেকে ৭০ মিলিয়ন ডলার আয় করেন তিনি। ১৯৯৬ সালে থিয়েটার কাঁপানো সিনেমা মিশন ইম্পসিবল থেকে টম ক্রুজ ৭০ মিলিয়ন আয় করেন। আইরন ম্যান থ্রি এবং এ্যাভেঞ্জার্স ইনফিনিটি ওয়ার দুটি সিনেমাতেই রবার্ট ডাউনি জুনিয়র পেয়েছেন ৭৫ মিলিয়ন ডলার। দ্য সিক্স সেন্স সিনেমা ব্রুস উইলিস লভ্যাংশসহ ১০০ মিলিয়ন কামিয়ে নেন। ১৪ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি থাকলেও সিনেমা প্রথম থেকে এই অঙ্ক ১০০ মিলিয়ন এ পৌঁছায়। মিশন ইম্পসিবল ব্যাপক সাফল্যের পর ২০০০ সালে আবার পর্দা কাঁপাতে আসে মিশন ইম্পসিবল-২। এখানেও টম ক্রুজ ১০০ মিলিয়ন ডলার পকেটে পোরেন। সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক অর্জন করার তালিকায় তিন নম্বরে আছে টম ক্রুজ। ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ড সিনেমা থেকে তিনি ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্জন করেন। এই তালিকায় দুইয়ে আছেন ম্যান মেন ইন ব্ল্যাক সিনেমায় অভিনয় করে উইল স্মিথ। সর্বমোট ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্জন করেন তিনি। এযাবতকালে একক সিনেমা থেকে সব থেকে বেশি আয়ের রেকর্ড গডেছেন কেয়ানু রিভস। ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয় ম্যাট্রিক্স রিলোডেড থেকে তিনি ১৫৬ মিলিয়ন ডলার। হয়ত একদিন এই রেকর্ডও ভেঙ্গে যাবে। রেকর্ড যে গড়েই ভাঙ্গার জন্য!
×