ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাজু আহমেদ

নাট্যকার বিদ্যুৎ রায়

প্রকাশিত: ২৩:৪৬, ২৮ জানুয়ারি ২০২১

নাট্যকার বিদ্যুৎ রায়

বাংলাদেশের মিডিয়া অঙ্গনে অত্যন্ত প্রতিভাবাণ তরুণ নাট্যকার বিদ্যুৎ রায়। তার রচিত বেশ কিছু খণ্ড ও ধারাবাহিক নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হয়েছে। পাশাপাশি তার লেখা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হয়েছে। লিখেছেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের গল্পও। অভিনয় এবং নির্মাণের অভিজ্ঞতাও আছে। তার রচনায় দেশ মাটি ও মানুষের জীবন, জীবিকা ও অধিকার সংগ্রামের ছবি ফুটে ওঠে। জন্ম সুত্রে গোপালগঞ্জের সন্তান বিদ্যুৎ রায় এ পর্যন্ত শতাধিক নাটক রচনা করেছেন। যেগুলোর বেশ কিছু প্রচার হয়েছে। আরও কিছু প্রচারের অপেক্ষায়। বিদ্যুত রায় রচিত ‘পণ্ডিতের আখড়া’ ধারাবাহিকের ২৬পর্ব সম্প্রতি চানেল নাইনে প্রচার হয়েছে। ‘ডিভোর্স’ ধারাবাহিকের ৩৬ পর্ব শেষ হয়েছে। সম্পাদনা শেষে অচিরেই প্রচার শুরু হবে। ‘সানাই’, ‘স্পর্শহীন অনুভূতি’, ‘কসাই’, ‘বাসু পাগলা’, ‘খোলস বদল’, ‘বেঈমান গার্লফ্রেন্ড’, ‘ভাই রোমান্টিক হইতে চায়’, ‘শেষ অধ্যায়’, ‘ভাই কথা বলে কম’, ‘ভাইজান’, ‘জবানবন্দী’, ‘ভালবাসা এমনও হয়’সহ আরও কিছু এককের শূটিং শুরু হবে। এ ছাড়া ঈদের ৪টি ধারাবাহিক এবং ডজনখানেক একক নাটক রচনার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিদ্যুৎ রায়। বিদ্যুৎ রায় রচিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিচালক শেখ সেলিমের পরিচালনায় ‘টাইম ল্যাপস’,‘শূন্য হৃদয়’, ‘লক্ষ্মীসোনা, ‘নিশি রাতের গল্প’, ‘জোড়া ফুল ও ভ্রমরার গল্প’, ‘দায়িত্ববোধ’, জুয়েল ‘আহা প্রেম’, ‘রকেট ভাই’, ‘বড় জামাই‘, ‘বার ভোল্টের বারেক’ প্রভৃতি। এ ছাড়া ‘অন্তর্দহন’, ‘বুলেট’, ‘বহ্নিশিখা’, ‘বেখেয়ালী মন’, ‘বীরাঙ্গনা মা’ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, ‘পতিতা’, ‘ছোবল’, ‘প্রতিবাদী নীলিমা’, ‘বোধোদয়’ প্রভৃতি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের গল্প লিখেছেন। বিদ্যুৎ রায়ের লেখালেখির প্রেরণা তার বাবা পতিত পাবন রায়। পেশায় কৃষক হলেও স্বশিক্ষিত এবং সংস্কৃতিমনা বাবা। মা সবিতা রানী রায় গৃহিণী। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সবার ছোট বিদ্যুৎ রায়। এইচএসসি পাসের পর ঢাকায় আসেন। ঢাকা কলেজ থেকে পড়ালেখা শেষ করেন। বিদ্যুৎ রায় বলেন, ‘বাবা আমার কাছে একটা ম্যাজিকের মতো। স্বল্প শিক্ষিত হলেও হাজার হাজার দর্শকের মাঝে মঞ্চে দাঁড়িয়ে তার পারফরমেন্স আমাকে আকৃষ্ট করত। আমার লেখালেখির শুরু বাবার হাত ধরেই। পরবর্তীতে ঢাকায় থিয়েটার চর্চাও অন্যতম অনুপ্রেরণা। বর্তমানে যেমন তার অন্যতম প্রেরণা স্ত্রী নীপা দাশ রায়। ড. ইনামুল হকের সুপরামর্শে থিয়েটারে যুক্ত হয়ে প্রথমে নাগরিক নাট্যাঙ্গন এবং পরে প্রয়াত দীলিপ চক্রবর্তীর মাধ্যমে ‘দেশ নাটক’-এ যোগ দেন। এখনও এই দলে যুক্ত আছেন। এক কথায় থিয়েটার তার আত্মার সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা। লেখালেখির ক্ষেত্রে নাট্যকার মাসুম রেজা ও নাট্যকার অয়ন চৌধুরী তার আদর্শ। তবে বিদ্যুৎ রায় এও বলেন যে, মিডিয়ায় শুরুর দিকে পাওয়া তাচ্ছিল্য ও তিরস্কারকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ রায় জানান একান্ত নিজস্ব ভাবনার কিছু গল্প ফিল্মে রূপ দিতে চান তিনি। পাশাপাশি গল্পগুলো বই আকারে প্রকাশ করবেন। তবে নিয়মিত ভাল মানের নাটক বা গল্প রচনার মাধ্যমে লেখালেখির পাশাপাশি মিডিয়া সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় আজীবন ভাল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান বিদ্যুৎ রায়।
×