স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় বুধবারও সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। এদিন সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত তারিখে বেলা ১১টায় সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মোহিতুল হকের আদালতে মামলার ৮ আসামিকে হাজির করা হলেও আসেননি কোন সাক্ষী। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখেও সাক্ষীরা হাজির হননি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পিপি রাশিদা সাঈদা খানম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, মামলার প্রথমে বাদীপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা। তবে দুই তারিখেই বাদীপক্ষ সাক্ষীদের হাজির করেনি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জানান, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি আদালতে এ দুটি মামলা একসঙ্গে বিচার কাজ শুরু করার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু বিচারক আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর আমরা এই আবেদন নিয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। উচ্চ আদালতে বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় আজ সাক্ষীদের হাজির করা হয়নি। তিনি জানান, ছাত্রাবাসে তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের আগে তার স্বামীকে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়। ধর্ষণ মামলার আট আসামিই এই মামলার আসামি। এতে ধর্ষণ মামলার সাক্ষীদেরও সাক্ষী রাখা হয়। একই ঘটনার পৃথক দুটি মামলা দুই আদালতে চললে বিচারকার্য বিলম্বিত হতে পারে। এছাড়া সাক্ষীদের দুই জায়গায় সাক্ষ্য দিতে হবে এবং বিচারও প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। তাই আমরা দুই মামলা একই আদালতে একইসঙ্গে চালানোর আবেদন করেছি। জানা গেছে, আজ বিচারক বাদীপক্ষের আইনজীবীকে হাইকোর্টের আদেশ দ্রুত নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেন। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় মোট ৫১ জনকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি ধর্ষণ মামলার অভিযোগ গঠন করে আদালত। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবুল কাশেমের আদালতে ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
এতে সাইফুর রহমানকে প্রধান করে ছয়জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণে জড়িত থাকা এবং অপর দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।