ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিঠি

সম্মুখসারির কর্মী হিসেবে ১২ হাজার ভ্যাকসিন প্রয়োজন বেবিচকের

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ২৮ জানুয়ারি ২০২১

সম্মুখসারির কর্মী হিসেবে ১২ হাজার ভ্যাকসিন প্রয়োজন বেবিচকের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও জরুরী সেবায় নিয়োজিত সম্মুখসারির কর্মী বিবেচনায় ১২ হাজার টিকা চেয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সে কর্মরতদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ টিকার প্রয়োজন। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠিয়ে টিকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, টিকা শুধু বেবিচক’র জন্য চাওয়া হয়নি। গোটা দেশের এভিয়েশান খাতে কর্মরত সরকারী বেসরকারী কর্মীদের জন্যই একযোগে টিকা নিশ্চিত করা প্রয়োজন থেকেই আবেদন করা হয়েছে। কারণ গোটা পৃথিবী যখন করোনা মহামারীতে ঘরবন্দী- তখনও সব ধরনের ভয়ভীতি উপেক্ষা করেই বিমানবন্দরে সেবা নিশ্চিত করেছে তারা। তাদের অবদান টাকা দিয়ে মূল্যায়ন করা যাবে না। অনেক কর্মী করোনায় প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। তাই টিকার গণপ্রয়োগ কর্মসূচীতে এভিয়েশান খাতের এই ১২ হাজার কর্মীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন আশ্বাস বা সাড়া এখনও পায়নি বেবিচক। যদিও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মোহাম্মদ খোরশীদ আলম জানিয়েছেন, এভিয়েশান খাতের কর্মীদের সম্মুখ সারির বিবেচনায় প্রাধিকার দেয়া হবে। শুরুর দিকেই তাদের টিকা নিশ্চিত করা হবে। কারণ দেশে টিকার সঙ্কট হবে না। জানা গেছে, শুধু বেবিচক’র নিজস্ব কর্মী রয়েছে প্রায় চার হাজার। তাদের সহযোগী হিসেবে বিমানবন্দরে নিয়োজিত রয়েছে আনসার, এভসেক, এপিবিএন অন্যান্য সংস্থার আরও প্রায় দুই হাজার। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস বাংলা, নভো ও রিজেন্টের আরও প্রায় ৬ হাজার কর্মী বিমানবন্দরে কর্মরত। তাদের সবাই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সবগুলো বিমানবন্দরে কর্মরত। পালাক্রমে তিন শিফটে ডিউটি করেন। বিশ্বব্যাপী এভিয়েশান খাতের মতোই তারা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার অগ্রাধিকার কর্মী হিসেবে বিবেচিত। করোনা মহামারীতে এসব জনবলকে সার্বক্ষণিক ডিউটি করতে দেখা গেছে। চীনের উহানে করোনা শুরু হবার পর গত মার্চে যখন বিশ্বস্বাস্থ’্য সংস্থার পক্ষ থেকে এ রোগকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়-তখন থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একের পর এক দেশগুলোতে শুরু হয় লকডাডউন। বাংলাদেশেও ২৫ মার্চ থেকে ঘোষণা করা হয় লকডাউন। এতে রাজধানী থেকে এক কোটি মানুষ গ্রামে ফিরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ঢাকাসহ গোটা দেশের শহরগুলো জনমানবশূন্য ও ভুতুড়ে হয়ে পড়ে। এমন ভয়ঙ্কর ও কঠিন সময়েও কিন্তু বিমানবন্দর এক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। এপ্রিল থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একে একে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেলেও বিশেষ ব্যবস্থায় চার্টাড ও স্পেশাল ফ্লাইট চলাচল করেছে বিশ্বব্যাপী।
×