ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী

ঐতিহাসিক দিন

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ২৮ জানুয়ারি ২০২১

ঐতিহাসিক দিন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের এক নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বহুল প্রতীক্ষিত করোনা টিকাদানের কার্যক্রম শুরু হলো। দেশের মানুষ যাতে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পায় সেজন্য শীঘ্রই সারাদেশে টিকা দেয়া শুরু হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে বাংলাদেশের জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক দিন। বিশে^র অনেক দেশ এখনও করোনা ভ্যাকসিন শুরু করতে পারেনি। সেখানে আমাদের মতো সীমিত অর্থনৈতিক শক্তি নিয়েই আমরা শুরু করলাম। আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করি, সেটাই আজকে প্রমাণ হলো। ভ্যাকসিন নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবকিছুতেই কিছু ভাল লাগে না নামে একটা রোগে তারা ভোগে। এই রোগের কি চিকিৎসা আছে আমি জানি না। এর জন্য কোন ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে কি না তাও আমি জানি না। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন আসার সঙ্গে সঙ্গে এগুলো টেস্ট করা হয়, তারপরই কিন্তু দেয়া হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য হলো যে, কিছু কিছু লোক থাকে, সবকিছুতেই তারা একটা নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। হয়তো তাদের কাছে মানুষ কোন সাহায্য পায় না। কিন্তু কোন কাজ করতে গেলে সেটা নিয়ে বিরূপ সমালোচনা, মানুষের ভিতরে সন্দেহ ঢোকানো, মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো; এ ধরনের কিছু কাজ করা কারো অভ্যাস আছে। যতই ভাল কাজ করেন, সবসময় কিছুই তাদের ভাল লাগে না, এরকম একটা রোগে তারা ভোগে। বুধবার বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বহুল প্রতীক্ষিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণাকালে প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, সবসময় এসব লোকের কিছুই ভাল লাগে না। কিছু ভাল লাগে নাÑ এ ধরনের একটা রোগ আপনারা পত্রিকা দেখলেই পাবেন। সেখানে সবকিছুর একটা দোষ ঢোকানো। এই ভ্যাকসিন আসবে কি আসবে না? আসলে পরে এত দাম হলো কেন? এটা চলবে কি না? দিলে কি হবে? তবে আমি চাই তারাও (সমালোচক) সাহস করে আসবেন। আমরা তাদের ভ্যাকসিন দিয়ে দেব। যাতে তারা সুরক্ষায় থাকেন। কারণ তাদের কিছু যদি হয়ে যায়, তাহলে আমাদের সমালোচনা করবে কে? সমালোচনার লোক থাকা দরকার। তার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, আমাদের কোন ভুল-ভ্রান্তি হলো কি না? সেজন্য তাদের সাধুবাদ দিচ্ছি। কারণ তাদের সমালোচনা যত হয়েছে, আমরা কিন্তু ততবেশি দ্রুত কাজ করার প্রেরণা পেয়েছি। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সসহ ২৬ জনকে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রথম পাঁচ জনের ওপর টিকার প্রয়োগ কার্যক্রম সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন। গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। আর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল প্রান্তে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আর প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে সুরক্ষা এ্যাপের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধন কার্যক্রমও চালু হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে চারশ’ থেকে পাঁচশ’ জনকে করোনার এই টিকা দেয়া হবে। সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। মহামারীতে মৃত্যু, শোক আর সঙ্কটের একটি বছর পেরিয়ে এসে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়েই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে সরকার আশা করছে। আনন্দঘন মুহূর্হে প্রথমে টিকা দেয়া হয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে। টিকা নিয়ে তিনি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে তিনি দেশবাসীকে সাহসী করে তোলেন। প্রথমে টিকা পাওয়া বাকি চারজন হলেন- এই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, মতিঝিল বিভাগের ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মোঃ দিদারুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ। এই পাঁচজনসহ মোট ২৬ জনকে প্রথম টিকা দেয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ রয়েছেন। টিকা নিতে ভয় পাচ্ছেন কি না সে বিষয়ে টিকাগ্রহণকারীদের কাছে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। তাদের সাহস জোগান এবং সশরীরে অনুষ্ঠানে থাকতে না পারায় দুঃখও প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে দেয়া হবে। সরকার সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে যে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনছে, তার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ গত সোমবার দেশে পৌঁছেছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর প্রথম চালানের টিকা মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতিও দিয়েছে। এছাড়া সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ। সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচী শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে টিকাদানের এই কার্যক্রম শুরু করাকে ‘ঐতিহাসিক’ উল্লেখ করে বলেন, আজকে বাংলাদেশের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। কারণ বিশ্বের অনেক দেশও এখনও শুরু করতে পারেনি। সেখানে আমাদের মতো একটি দেশ, ঘনবসতিপূর্ণ দেশ সীমিত অর্থনৈতিক শক্তি নিয়েই আমরা যে মানুষের কল্যাণে যে কাজ করি সেটাই আজকে প্রমাণ হলো। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনার পাশাপাশি সবাইকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সেই সঙ্গে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে, আল্লাহর কাছে এইটুকু শুকরিয়া আদায় করি যে, আমরা সময়মতো এই ভ্যাকসিনটা ক্রয় করতে পেরেছি, আনতে পেরেছি। তা আজকে প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের দেশের মানুষকে আমরা সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবো। এরপর সারাদেশে টিকা দেয়া শুরু হবে, যাতে দেশের মানুষ তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্য সুরক্ষা পায়।’ উপহার হিসেবে ২০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী, একইসঙ্গে টিকার সমস্যা হবে না বলেও দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা যে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ কিনেছি তার মধ্যে ৫০ লাখ এসে গেছে। আর বাকি এটা আমরা যখনই আসবে আমরা দিতে শুরু করে দেব। এরপর থেকে আরও আসতে থাকবে। কাজেই এ ব্যাপারে কোন সমস্যা হবে না। টিকা সংগ্রহ ও টিকাদান সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতাও প্রত্যাশ্যা করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী করোনা ভ্যাকসিন হিরোদের ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপনী বক্তব্যে বলেন, যারা এই কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন নিলেন তাদেরও সুস্বাস্থ্য কামনা করি, যারা দিলেন তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই। সবার ভাল ও সুস্থতা কামনা করে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ, এই অবস্থার থেকে আমরা উত্তরণ ঘটাব। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমাদের জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। আশা করছি আল্লাহর রহমতে আমরা এর মাধ্যমে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবো। মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ করা আমাদের কর্তব্য। আমরা চেষ্টা করি মানুষের সেবা করে যেতে। করোনা মহামারী সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এমন একটি ভাইরাস কী ধনী, কী গরিব কোন দেশকেই রেহাই দেয়নি। পুরো বিশ্বকেই স্থবির করে দিয়েছে। মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে শক্তিশালীই হচ্ছে এই ভাইরাস। তিনি বলেন, করোনার সময়ে মানুষ যাতে খাদ্য সঙ্কটে না ভোগে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা পায় সেজন্য প্রণোদনা ঘোষণাসহ সবকিছুই করেছি। ভ্যাকসিনের ব্যাপারেও আমার নির্দেশ ছিল- যেখানেই আগে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, সেটা যাতে আমরা প্রথম পাই সেজন্য সব ব্যবস্থা করতে। ভ্যাকসিনের ব্যাপারে আমরা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করেছি। ভ্যাকসিন কিনতে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিলাম। তিনি বলেন, এই করোনা মহামারী আমাদের দেশেও এমন এক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল যে, নিজের মায়ের লাশ আনতে সন্তানরা সাহস পায়নি, বাবার লাশ ফেলে রেখে চলে গেছে। ওই দুঃসময়ে আমাদের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনা-নৌ-বিমান বাহিনী, বিজিবিসহ আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সাহস নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দাফন-কাফনসহ মানুষের ঘরে ঘরে সাহায্য পৌঁছে দিতে কাজ করেছে। মানুষের জন্য মানুষ- দুঃসময়ে এটাই তারা প্রমাণ করেছেন। এজন্য সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানান। দেশের মানুষ করোনা থেকে মুক্তি পাবে আল্লাহর দরবারে এমন প্রার্থনা করে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতামত ও অনুশাসন মেনেই করোনা ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। যারা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবেন তাদের ট্রেনিং দেয়া, বজ্র সরানোর সব ব্যবস্থা আমরা করেছি। দেশের মানুষ করোনা থেকে মুক্তি পাক সেটাই কামনা করি। আর টিকা দান কর্মসূচীতে সবাই যেন আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন সেটাই চাই। দেশবাসীকেও ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানতে আমরা যখন যা অনুরোধ করেছি, দেশের মানুষ তা পালন করেছেন। দেশের মানুষের সমর্থন না পেলে এত একটা কঠিন কাজ করা আমাদের সম্ভব ছিল না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, এই মহামারী থেকেও বাংলাদেশ রক্ষা পাবে ইনশাআল্লাহ। আগে নিলে বলবে আগে নিল ॥ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদের টিকাগ্রহণ শেষে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে বলেন, ‘মন চাচ্ছে আমরা গিয়ে নিয়ে (টিকা) আসি। তবে আগে নিলে বলবে আগে নিজেই নিলো, কাউকে দিলো না। আগে সবাইকে দিয়ে নেই তারপরে। করোনার কারণে ইচ্ছা থাকলেও সশরীরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারছি না, এজন্য খারাপ লাগছে। অনেকটাই বন্দী অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। ইনশাল্লাহ এই অবস্থা থেকে আমরা অচিরেই মুক্তি পাব।’ প্রথমে ভ্যাকসিন গ্রহণকারী রুনু ভেরোনিকা কস্তা প্রধানমন্ত্রীকে সম্বোধন করে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শুভ অপরাহ্ন।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তোমার ভয় লাগছে না তো? ভয় পাচ্ছো না তো?’ তার জবাবে রুনু বলেন, ‘না ম্যাডাম’। এ সময় তাঁকে সাহস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুব সাহসী তুমি। তোমাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। তুমি ভাল থাকো, সুস্থ থাকো। আরও অনেক রোগীর সেবা করো সেই দোয়া করি।’ টিকাগ্রহণ শেষে সিনিয়র স্টাফ নার্স ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলে প্রধানমন্ত্রীও তাঁর জবাবে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান ধরেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীকে সালাম জানিয়ে টিকা দিতে আসেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা। প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘তুমি সুস্থ থাকো, ভাল থাকো দোয়া করি। সাহস করে নিতে টিকা নিতে এসেছো, নার্ভাস লাগছে না তো?’ জবাবে ডাঃ নাসিমা বলেন, ‘আপনি আমাদের সঙ্গে আছেন, জয় বাংলা’। ট্রাফিক পুলিশ দিদারুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে সালাম জানালে জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাকালে অনেক কাজ করেছো। এবার পুলিশ এত সার্ভিস দিয়েছে তা বলার মতো না। অনেক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে।’ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ সালাম দিয়ে টিকা নিতে গেল প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তুমি নিচ্ছো, ভয় পাচ্ছো না তো?’ জবাবে এই সামরিক কর্মকর্তা ‘না’ বললে প্রধানমন্ত্রী সবার সুস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
×