স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। দশ হাজার ৯৬৪ জন পাশ করেছেন। মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি। বুধবার প্রকাশিত ফল কমিশনের ওয়েবসাইটে (িি.িনঢ়ংপ.মড়া.নফ) পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া টেলিটক মোবাইল বাংলাদেশ লিমিটেড এর মাধ্যমে যে কোন মোবাইল থেকে এমএমএস পাঠিয়েও ফল জানা যাচ্ছে। এদিকে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৬ আগস্ট। এ বিসিএসের আবেদনের সময়ও বৃদ্ধি করা হয়েছে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেছেন, বুধবার কমিশনের সভায় ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরই ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট দশ হাজার ৯৬৪ জন পাস করেছেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পরীক্ষা শুরু করা হবে।
৪০ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন রেকর্ড সংখ্যক ৪চারলাখ ১২ হাজার ৫৩২ জন চাকরি প্রার্থী। এর মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছেন তিন লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ২৭৭ জন। ২০১৮ সালের আগস্টে ৪০ তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।
এই বিসিএসে মোট এক হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেয়া হবে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্যাডার অনুসারে প্রশাসনে ২০০, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, করে ২৪, শুল্ক আবগারিতে ৩২ ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ৮০০ জন নিয়োগ দেয়ার কথা।
এর আগে বিসিএসে রেকর্ড আবেদন ছিল ৩৮ বিসিএসে। যেখানে আবেদন করেছিলেন তিন লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ জন প্রার্থী। পিএসসির তৎকালীর চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক তরুন প্রজন্মের বিসিএসে আগ্রহ বাড়ার কারন হিসেবে তখন বলেছিলেন, এর পেছানে বেশ কিছু কারন আছে। প্রথমত, বিসিএস পরীক্ষা হচ্ছে এখন শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে। যেখানে স্বাধীনভাবে পিএসসি সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে। কারন সরকার কমিশনকে সেই স্বাধীনতা দিয়েছে। কোন বিতর্ক নেই বিসিএস পরীক্ষায়। ফলে চাকরি প্রার্থীদের মাঝে বিসিএসে আস্থা বেড়েছে শতভাগ।
দ্বিতীয় কারন হচ্ছে, তরুনরা বিসিএসে আসছে আস্থার কারনে। তারা এখন দেখেছে বিসিএসে চাকরি হচ্ছে স্বচ্ছতার সঙ্গে। সরকার চাকরিজীবীদের সুযোগ সুবিধাও বাড়িয়েছে। মেধাবীরা এখন এ পরীক্ষার মাধ্যমে চাকরি নিয়ে অনেক ভাল করতে পারছে। এছাড়া বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ভাল একটি চাকরি নিয়ে দেশসেবার মানষিকতাও এখন তরুনদের মাঝে প্রবল।
এদিকে ইউজিসি ও পরীক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষার জন্য অনলাইন আবেদনপত্র (ইচঝঈ ঋড়ৎস-১) জমা দেয়ার তারিখ বাড়ানো হয়েছে। পিএসসি জানিয়েছে, ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার পরিবর্তে ৩১ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া এ বিসিএসের প্রিলিমিনারী পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ছয় আাগস্ট।
সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কারণে আসন্ন ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে পিএসসিকে চিঠি দিয়েছিলো ইউজিসি। পিএসসি চেয়ারম্যান বরাবর ইউজিসির পক্ষে কমিশনের সচিব স্বাক্ষরিত চিঠিতে আবেদনের সময় বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে মাত্র এক সপ্তাহ সময় থাকলেও এখনো আবেদনকারীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।