ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আলুর আবাদ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ॥ কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৩:৩৫, ২৭ জানুয়ারি ২০২১

আলুর আবাদ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ॥ কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন বর্তমানে বছরে ১ কোটি টনের বেশী উন্নতজাতের আলু উৎপাদন হয়। দেশে চাহিদা রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ লাখ মেট্রিক টনের মতো। দেশে উৎপাদিত আলুতে পানির পরিমান বেশী হওয়ায় বিদেশে চাহিদা কম। সে জন্য বিদেশে চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রফতানি ও শিল্পে ব্যবহারযোগ্য আলুর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ জন্য এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২৯-২০৩০ সালের মধ্যে বীজ আলু উৎপাদন ৬০ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। কৃষি মন্ত্রনালয় সে লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মন্ত্রী আজ বুধবার সকাল ১০টায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) বীজ আলু উৎপাদন খামার উৎপাদন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। মন্ত্রী এ দিন রফতানি ও শিল্পে ব্যবহারযোগ্য আলুর প্লট, আলু ফসলের মিউজিয়াম,ড্রাগন ও খেজুর বাগান প্রভৃতি পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার তিস্তাপাড়ায় কাজু বাদাম, মিষ্টি আলু, কফি চাষ প্রসেসিং ও কৃষকদের প্রশিক্ষন কর্মশালা, বাড়ির বীজ বর্ধন খামার, গম ও ভুট্টাবীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শন করেন। এ সময় কৃষি সচিব মোঃ মেজবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান মোঃ সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতরের মহা পরিচালক মোঃ আসাদুল্লাহ, বারীর মহাপরিচালক নাজেরুল ইসলাম,গম ও ভুট্টা গবেষনা ইনস্টিটিউটের মহা পরিচালক ড. মোঃ এছরাইল হোসেন, নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কৃষিবিদ দেওয়ান কামাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন । মন্ত্রী জানান, “মুজিববর্ষে” আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনার কৃষি বিপ্লবে এবার বিএনডিসির ” মান সম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদন ও সংরক্ষন এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরন জোড়দার করণ” প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর আওতায় এই ডোমার খামারে ভিত্ত্বিবীজ আলু উৎপাদন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নতুনজাতের উপযোগীতা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষামূলক স্থাপন ও পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের ২৮টি জোনে চ্যুক্তিবদ্ধ চাষীর মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ব্যবহৃত/প্রত্যায়িত বীজ আলু উৎপাদন করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন এই প্রকল্পের আওতায় উচ্চ ফলনশীল,রপ্তানী ও শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলুর জাত পরিচিতি ও জনপ্রিয়করণের জন্য বিএনডিসি আমদানীকৃত এবং বারী উদ্ভাবিত সম্ভাবনাময় ২০টি জাত নিয়ে এ বছর সারা দেশে তিনশটি প্রর্দশনী প্লট ও মাল্টিলোকেশন টেষ্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। ২০২০-২০২১ উৎপাদন বর্ষে বিভিন্নমানের ৩৭ হাজার ৫০০ মেট্রিকটনবীজ আলু এবং ৫ হাজার মেট্রিকটন রফতানি উপযোগী আলু সহ সর্বমোট ৪২ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন আলু উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মন্ত্রী বলেন,বীজআলুর বীজ মান অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বীজ আলু উৎপাদন,সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করণের নিমিত্ব আধুনক কৃষি যত্নপাতি যেমন বীজ আলু প্লানটার,গ্রেডার,ড্রায়ার ইত্যাদি যত্নের মাধ্যমে কার্যক্রম ও খামারে শুরু হয়েছে। চ্যুক্তিবদ্ধ চাষী, বেসরকারী বীজ উৎপাদনকারী ও ডিলারগণকে নিয়মিত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে বীজ আলুর উৎপাদন ও বিপণনে জ্ঞান বৃদ্ধি করা হচ্ছে। মন্ত্রী আরও জানান,আলু বীজ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সংরক্ষন ক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে ২৮টি জোনের ৩০টি হিমাগার রয়েছে। যার বর্তমান ধারন ক্ষমতা মোট ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন। এই প্রকল্পের মেয়াদে দুই হাজার মেট্রিকটন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন চারটি হিমাগার নির্মান করা হবে। ফলে বিএনডিসির বীজ আলুর সংরক্ষন ক্ষমতা উন্নত হবে ৫৩ হাজার ৫০০ মেট্রিকটনে। মন্ত্রী জানান,এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২৯-২০৩০ সালের মধ্যে বীজ আলু উৎপাদন ৬০ হাজার মেট্রিকটনে উন্নীত করা হবে।
×