ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রকিবুল হাসান- কিংবদন্তি ক্রিকেটারের গল্প

প্রকাশিত: ০০:৪৯, ২৭ জানুয়ারি ২০২১

রকিবুল হাসান- কিংবদন্তি ক্রিকেটারের গল্প

রকিবুল হাসান বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক কিংবদন্তির নাম। ক্রিকেট তো বটেই দেশের সব খেলাধুলারও সর্বকালের সেরাদের একজন তিনি। দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে একটি বড় নাম রকিবুল হাসান। বাংলাদেশের ক্রিকেটের তিনি সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। দেশের খেলাধুলার অন্য অনেক তারকাদের ছাড়িয়ে তিনি অনেক বড় উচ্চতায়। কারণ মাতৃভূমির ভালবাসার টানে তিনি যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন তা নজিরবিহীন। আমাদের খেলাধুলার ইতিহাসে আর এমন কেউ নেই যিনি তার মতো করতে পেরেছেন। সেটা ছিল ১৯৭১ সলের ২৬ ফেব্রুয়ারি যা রকিবুলের জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। সেদিন পাকিস্তানের সঙ্গে সফরকারী সম্মিলিত বিশ্বএকাদশের সঙ্গে একটা টেস্ট ম্যাচ ছিল। আর সেই ম্যাচ খেলতে গিয়েই রকিবুল এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সে সময় পাকিস্তানের রাজনীতিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। সারা বাংলায় তখন স্বাধিকার আন্দোলনে ‘জয় বাংলা’ সেøাগানে রাস্তায় নেমেছিল অগণিত মানুষ। রকিবুল নিজ মুখে সেই অসাধারণ সাহসিকতার গল্প শোনালেন- ’৭১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের ম্যাচ বিশ্বএকাদশের সঙ্গে। তখনও উত্তাল মার্চ মাস আসেনি। নির্বাচনে জেতার পর আমরা বাঙালীরা সেবকের ভূমিকায় যাব। কিন্তু পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া ও ভুট্টো ষড়যন্ত্র এবং তালবাহানা করছিল বাঙালীদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার জন্য। তখন আমি ১৮ বছরের টগবগে যুবক, পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নবীনতম সদস্য। তখন সবাইকে বোর্ডের তরফ থেকে খেলার সরঞ্জাম দেয়া হতো। সকালে মাঠে এসে দেখলাম পাকিস্তানী প্রত্যেক খেলোয়াড়কে দেয়া হলো ক্যামিকেলস ব্যাট- মার্কা হলো সোর্ড। আমাকে দেয়া হলো গানানমুর ব্যাট- যা ঠিকমতো গ্রিফ করা যেত না। তাৎক্ষণিকভাবে আমার মাথায় খেলে গেল একটা বুদ্ধি- কারণ তখন তো বেশি সজাগ ছিলাম। স্বাধীনতার আন্দোলন, ওদিকে পাকিস্তানীদের অনাকাক্সিক্ষত কর্মকাণ্ডে চারদিকে ‘জয় বাংলা’ সেøাগানে প্রকম্পিত। তখনই ঠিক করে নিলাম এই ষড়যন্ত্র আর টালবাহানার বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ করতে হবে। এটা আমার জন্য বিরাট সুযোগ, যা দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়বে। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমার ব্যাটে জয় বাংলা স্টিকার লাগাব। পাকিস্তানীদের ব্যাটের স্টিকার ছিল তলোয়ার যা ভুট্টোর নির্বাচনী মার্কা। বাঙালীদের মার্কা ছিল নৌকা। আমি ‘জয় বাংলা’ স্টিকার আমার ব্যাটে লাগিয়ে খেলতে গেলাম। সেই পরিকল্পনাটা হলো ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে হোটেল পূর্বাণীতে। আমি সম্ভবত ৭১০নং কক্ষে থাকতাম। আমার বন্ধু বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামাল রাতে আমাকে শুভেচ্ছা ও উৎসাহ দেয়ার জন্য হোটেলে এলেন। আমি আমার পরিকল্পনার কথা বললাম, আমি একটি জয় বাংলা স্টিকার চাই। আমার কথা শুনে কামাল এবং তার সঙ্গী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন রাজি হলেন। আমার একদম স্কুল ফ্রেন্ড এক লাফে বলে উঠলেন হোয়াট এ্যা ফ্যান্টাসটিক আইডিয়া। ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যেই মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন ‘জয় বাংলা’ স্টিকার নিয়ে আসল। আর নিজ হাতে স্টিকারটি আমার ব্যাটে লাগিয়ে দিল। পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা বাজার পাঁচ মিনিট আগে ‘জয় বাংলা’ স্টিকারযুক্ত ব্যাট নিয়ে একজন পাকিস্তানী ওপেনারের সঙ্গে মাঠে প্রবেশ করলাম। তারপর তো সব ইতিহাস- পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ দেশের সব পত্র-পত্রিকা এবং অনেক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ছবি ছাপা হলো। সেটা ছিল আমার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রতিবাদের ভাষা। তখন তো বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়নি। কিন্তু আমি তো রীতিমতো বঞ্চনার শিকার হচ্ছিলাম ক্রিকেট খেলতে গিয়ে। শুধু আমি নই- জুয়েল ও আরও দু’চারজন প্রতিভাবানও বঞ্চিত হয়েছে, যাদের খেলার যথেষ্ট যোগ্যতা ছিল। কিন্তু ঐ যে বৈষম্যের কারণে সুযোগ হয়নি। ১৯৬৯ সালেই আমার ১০০ পার্সেন্ট অফিসিয়াল টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা ছিল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঢাকা টেস্ট। আমরা ১২ জন লাহোর, পিন্ডি হয়ে ঢাকা আসলাম। আমি জানি আমি খেলব। কিন্তু সকালে মাঠে এসে দেখি আমি দ্বাদশ ব্যক্তি। তখন পাকিস্তান দল করাচী টেস্ট হেরে লাহোর টেস্টে ড্র করে ঢাকা এসেছে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে। ‘জাস্ট ইউসি’ তাদের কত হীনম্মন্যতা- আমাকে নেয়া হলো না। কারণ আমার হোম ভেন্যুতে যদি আমি ভাল রান করে ফেলি এবং পাকিস্তান জিতে যায়, আমাকে সে কৃতিত্ব দিতে হবে। যেহেতু আমি বাঙালী সে সুযোগ আমাকে দেয়া হবে না এবং যাতে পাকিস্তানী কোন ওপেনারের স্থান দখল না হয়ে যায়। অঙ্কুরেই প্রতিভা বিনষ্ট করার মতো।’ যে কারোরই বিখ্যাত হওয়ার জন্য ঐ কৃতিত্বটুকু যথেষ্ট। কারণ মাতৃভূমির জন্য যিনি এমন সাহসিকতা দেখাতে পারেন নিজের যে কোন বিপদ বা কষ্টের কথা না ভেবে- তিনিই তো বীর। ক্রিকেটে দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় কি তার ভালবাসা বা দায়বদ্ধতা থেকে এ নিয়েও রকিবুল প্রাণ খুলে বলেছেন- ‘পরিপূর্ণভাবে আমি একজন আবেগপ্রবণ লোক। ক্রিকেট আমাকে বহু দিয়েছে। আবার অনেক নিয়েছেও। বড় কিছু পেতে গেলে, দেশাত্মবোধ থেকে কিছু অর্জনের জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করতে হবে। আজ স্বাধীন বাংলাদেশে- কিন্তু তারজন্য লক্ষ প্রাণ আত্মত্যাগ করেছে, আরও অনেক কিছু হারাতে হয়েছে। কিছু কিছু লোক পৃথিবীতে আসবে তারা সবকিছু পাবে না। কিন্তু তারা সান্ত্বনা নিয়ে যাবে। আমার মধ্যে যে সান্ত্বনাটা কাজ করে কি পেলাম আর কি পেলাম না। সে হিসেব করাটাই আমার কাছে অর্থহীন। একটা সময় মনে হতো নিজের জীবনটা সঠিকভাবে গড়লাম না, চাকরিটা ঠিকমতো করতে গিয়ে ব্যাহত হয়েছে, আর পারিবারিকভাবেই ব্যবসা আমাদের মধ্যে নেই। কিন্তু দীর্ঘপথ পরিক্রমায় এখন আমি মনে করি এই খেলাটা খেলে আমি ভুল করিনি। কারণ ৫০ বছর আগে যে খেলাটাকে আমরা প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম, সে খেলাটা আজ জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, জাতীয় সত্তা এবং বিদেশে আমার দেশের বড় ব্র্যান্ড। তারপরও নিজের ব্যক্তিগত পাওয়া অনেক মানুষের ভালবাসা, সরকারীভাবে স্বীকৃতি, মিডিয়াও অনেক সম্মান দেয়- যে কোন সমস্যায় ভালবেসে এগিয়ে আসে। তাই সমালোচনাকেও আমি মূল্য দেই। তবে সেটা যদি বস্তুনিষ্ঠ হয়। বলতে হচ্ছে- কিছু কিছু মিডিয়া প্রায় সম্পূর্ণভাবে নেগেটিভ প্রচারণা করে, দেখা গেল একজন সম্মানী লোক সম্পর্কে মিথ্যা এবং মানহানিকর খবর পরিবেশন করে নিজের গুরুত্ব বোঝাতে চায়। এটা ঠিক নয়। তবে ক্রিকেট আমার অনেক পারিবারিক সময় নিয়ে গেছে। বিয়ের পর থেকে আমার পরিবারকে ঠিকমতো সময় দিতে পারিনি। এ নিয়ে তাদের কিছুটা দুঃখবোধ আছে- আবার তৃপ্তিও আছে যে আমি তো খেলা নিয়ে ছিলাম, দেশের জন্য খেলেছি। না পাওয়া বা অপূর্র্ণতার কথা বললে, নির্দ্বিধায় আত্মসমালোচনা করেই বলতে হয়- আমার আজ এই জায়গায় থাকার কথা না। আরও বড় জায়গায় থাকার কথা। তবে এটা শুধু আমার কথা না। অনেকেই বলে এবং আমি সেটা বিশ্বাস করি। মাঝে মাঝে এ ব্যাপারটা আমাকে পীড়া দিতে চায়। কিন্তু আমি দমন করে রাখি। কারণ আমি যা পেয়েছি তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চাই। একজন ক্রিকেট অধিনায়ক মুক্তিযোদ্ধা রকিবুলকে নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি বেশ সন্তুষ্ট। তবে তিনি চান কোন সত্যের অপলাপ যেন না হয়। কল্পনার ডানা যেন সত্যকে ছাপিয়ে বা আড়াল করা না হয়। এটা তারজন্য অনেক সম্মানের ব্যাপারই মনে করেন, যেখানে আর্থিক ব্যাপারটা মুখ্য নয়। ‘আমি এটাকে অনুমতি দিয়েছি। সেখানে সত্যের অপলাপ করা যাবে না। স্ক্রিপটা দেখে ফাইনাল করব।’ রকিবুলের ক্রিকেটের হাতে খড়িটাও একেবারে শিশুকাল থেকেই- ‘আমি তখন ৩/৪ বছরের শিশু, দেখতাম বাবা রেডিওতে ক্রিকেট খেলার ধারাভাষ্য শুনতেন। মধ্যরাতে রেডিওতে খেলার ধারাভাষ্য শুনতেন, আমি ভাবতাম আব্বা হয়তো রেডিও অন করেই ঘুমিয়ে পড়েছেন। কিন্তু না, পরে শুনতাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ নামে একটা দেশ আছে। সময়ের ব্যবধানে সে দেশে দিন আর আমাদের রাত। খেলা চলছে- এভাবেই আমার অস্থিমজ্জায় খেলা ঢুকে গেছে। ধীরে ধীর বড় হলাম, বুঝতে শিখলাম এবং এই খেলাটার প্রেমে পড়ে গেলাম- একসময় নিজেও ব্যাট বল নিয়ে মাঠে নেমে পড়লাম। এর মধ্যে পেপার কাটিং (খেলার পাতার) সংগ্রহ করে রাখতাম আর স্বপ্ন বুনতাম খবরের কাগজের ছবির মানুষগুলোর মতো যদি বড় হতে পারতাম। তারপর তো স্কুল জীবন থেকেই শুরু করে দিলাম। শুধু ক্রিকেট খেলা নয়- ক্রিকেট নিয়ে প্রচুর লেখালেখিও করেছি বিভিন্ন পত্রিকায়। কলাম লিখেছি- ক্রীড়া সাংবাদিকতাও আমাকে বেশ টানে। আমি বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। একসময় চারবার ঐ সংগঠনের সভাপতি ছিলাম- এশিয়ান স্পোর্টস এ্যাসোশিয়ানের সহসভাপতিাও ছিলাম। ‘আমি ভাল বন্ধু চাই যারা আমাকে বিনা কারণে ভুল বুঝবে না। আমাকে ভালবাসবে এবং আশাকরি তারা আমার পাশে দাঁড়াবে। আমি চ্যালেঞ্জ করি এবং গর্ব করি যে আমি সম্পূর্ণভাবে একজন সৎলোক সেটা আর্থিক বিবেচনায় হউক আর খেলাধুলার দিক থেকেই হউক।’ নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস নিয়ে রফিবুল বলছিলেন প্রসঙ্গক্রমে। পাঁচবছর পর ক্রিকেটকে কোথায় দেখতে চান-এমন প্রশ্নের উত্তরে এই জীবন্ত কিংবদন্তি বললেন- প্রায় ৪০ বছর আগে ক্রিকেট যখন এদেশে অতটা সমাদৃত বা জনপ্রিয় নয়, তখন ফুটবল আমি অন্তঃপ্রাণ। আমি বলেছিলাম-ক্রিকেট হলো মাইন্ড গেম আর ফুটবল হলো পাওয়ার নির্ভর খেলা। সুতরাং আমাদের আবহাওয়া, জলবায়ু, খাদ্যাভ্যাস সবমিলিয়ে আমরা এশিয়ার অন্যান্য ফুটবল নেশন দেশগুলোর সঙ্গে পেরে উঠব না। কিন্তু ক্রিকেট যেহেতু মনোসংযোগ নির্ভর খেলা তাই আমরা অনেক এগিয়ে যাব। আমার ৪০ বছর আগের ভবিষ্যদ্বাণী আজ কতটা বাস্তব সবাই দেখছেন। যা-ই হউক- আমি আশাকরি এবং একান্তভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশ পাঁচ বছর পর ৬/৭ নম্বর টেস্ট নেশন হয়ে যাবে এবং আগামী ৬ বছরের মধ্যে একটা ওয়ানডে বিশ্বকাপ আমরা পেয়ে যাব। এটাও আমার বিশ্বাস, যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে। আমাদের একটা পরিপূর্ণ টিম হয়ে যাবে মেন্টালি এবং ফিজিক্যালি। শুরু হয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশের মধ্যকার টেস্ট ও একদিনের ম্যাচগুলোতে স্বাগতিকদেরই ফেবারিট ভাবছেন রফিকুল। তিনি বলেন, আমি মনে করি আমরাই ফেবারিট। তা দুটো কারণে- প্রথমত ঘরের মাঠে খেলবো। ঘরের মাঠে খেলার মনোবলই অন্যরকম। আমাদের দলে লঙ্গার ভার্সনে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়ের সংখ্যাই বেশি, যাদের মধ্যে জয়েন সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটারও আছেন-২/৩ জন। নতুন জায়গা পাওয়া খেলোয়াড়রাও বেশ ভাল। তাই দল হিসেবে বলব বাংলাদেশ এগিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পূর্ণশক্তির দল নিয়ে আসে নাই তা ঠিক। কিন্তু তাদের ফাস্ট বোলিং শক্তিকে সমীহ করতে হবে। এ শক্তিবলেই তারা পজিটিভ কিছু করার চেষ্টা করবে। ‘কিন্তু তার জবাবে আমাদের স্পিন আক্রমণ বেশ ধারালো। তারাও শিকার করেছে। সেটা আমাদের ভরসার জায়গা।’ রকিকুল হাসান মাঠে যতই একজন সিরিয়াস খেলোয়াড়, ক্রিকেট আলোচনায় সেরা, ক্রিকেটের বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে কঠোর, তার রসবোধও দারুণ- যেমন ‘১৯৭৭ সালে এমসিসি দলের সঙ্গে খেলার সময় রকিবুলের স্ত্রীও মাঠে যান- কিন্তু মাত্র ৯ রান করে তিনি আউট হয়ে ফিরে আসছেন দেখে তার নতুন বউয়ের মুখ লজ্জায় লাল। রকিবুল বউকে বললেন দেখ চাইলেই আমি দীর্ঘসময় ধরে ক্রিজে থাকতাম, আরও রান করতে পারতাম- তুমি এখানে একা তাই তোমাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য তাড়াতাড়ি চলে এলাম।
×