ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জন কেরির টেলিফোন

প্রকাশিত: ০০:২০, ২৭ জানুয়ারি ২০২১

পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জন কেরির টেলিফোন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনকে টেলিফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিনেটর জন কেরি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ড. মোমেনকে ফোন করেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ফোন করেন। খবর বাংলানিউজের। এ সময় তাদের মধ্যে ২৬ মিনিট আলাপ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি বিষয়ে বাংলাদেশ কিভাবে একযোগে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি বিষয়ে কাজ করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে। সম্পর্ক উন্নত করতে চাইলে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিন- যুক্তরাষ্ট্রকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ॥ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। মঙ্গলবার বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে এক ওয়েবিনারে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। আবদুল মোমেন বলেন, ‘এক দশক ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনী রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেয়ার বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমি আশা করি নতুন মার্কিন প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে। কারণ, আমরা উভয় দেশই বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাস করি। প্রকৃতপক্ষে রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে।’ তিনি বলেন, এ বিষয়টি সমাধানে প্রত্যর্পণ চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ এবং এটি যুক্তরাষ্ট্র ঝুলিয়ে রেখেছে। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর মোট পাঁচজন খুনী বিদেশে পালিয়ে আছে। এর মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে ও নুর চৌধুরী কানাডায় ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যায় রাশেদ চৌধুরী। পরবর্তীতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করলে ২০০৪ সালে অভিবাসন বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। ২০০৬ সালে ওই আপীল খারিজ হয়ে যায়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। ২০১৬ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এই আলোচনায় কোন অগ্রগতি হয়নি। ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পরে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়টি একাধিকবার বিবেচনা করার অনুরোধ করা হলে ২০২০-এর জুনে তৎকালীন এ্যাটর্নি জেনারেল তা পুনর্বিবেচনার জন্য নোটিস প্রদান করেন।
×