ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম নেবেন এক সিনিয়র নার্স ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণপ্রয়োগ বিভিন্ন পেশার ২৫ জনকে ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে

টিকা শুরু আজ ॥ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:০০, ২৭ জানুয়ারি ২০২১

টিকা শুরু আজ ॥ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

নিখিল মানখিন/ফিরোজ মান্না ॥ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম চালানে আসা ৫০ লাখ অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। আজ শুরু হচ্ছে এই টিকাদান কর্মসূচী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করবেন। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সফটওয়ার ‘সুরক্ষা’ এখন প্রস্তুত। এর কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা দূর করে মঙ্গলবারই তুলে দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাতে। উদ্বোধনের পর নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম খুলে দেয়া হবে। দেশের প্রথম টিকা গ্রহণ করবেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরোনিকা কস্তা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশের পাঁচটি হাসপাতালে (কুর্মিটোলাসহ) সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেয়া হবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সর্বসাধারণের মধ্যে দেয়া শুরু হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশব্যাপী ব্যাপক করোনা টিকাদান কর্মসূচী শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। মঙ্গলবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার ২৫ জনকে ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হবে। বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম খুলে দেয়া হবে। যারা নিবন্ধন করতে পারবেন না, তারা ভ্যাকসিন কেন্দ্রে গিয়েও নিবন্ধন করতে পারবেন। সেই ব্যবস্থা আমরা রেখেছি। দেশব্যাপী ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য আমরা নানা ব্যবস্থা নিয়েছি। আশা করি ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ব্যাপকহারে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করতে পারব। দেশে বর্তমানে রয়েছে ৭০ লাখ করোনা টিকা। সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভারত থেকে ৫০ লাখ টিকা দেশে পৌঁছায়। অক্সফোর্ড ও এ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড-১৯-এর এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এই ভ্যাকসিনের নাম দেয়া হয়েছে ‘কোভিশিল্ড’। এর আগে ভারত সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে কোভিশিল্ডের ২০ লাখ ডোজ পেয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে করোনার টিকাদানে প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদন ॥ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম চালানে আসা অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫০ লাখ টিকা মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এ কথা জানান। মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত (বুধবার) সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, টিকার প্রতিটি লটের নমুনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। আগামীকাল এই টিকা দিয়েই শুরু হবে করোনাভাইরাসের টিকাদান। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইট টিকার ওই চালান নিয়ে সোমবার ঢাকা পৌঁছায়। পরে তা নিয়ে যাওয়া হয় টঙ্গীতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়্যারহাউজে। সেখান থেকে প্রতিটি লটের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে পাঠানো হয়েছিল। বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস সরকারকে এই টিকা সরবরাহ করছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমতি পাওয়ায় বেক্সিমকো এখন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলায় জেলায় টিকা পৌঁছে দেবে। অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, এই ভ্যাকসিন অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি। যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ সংস্থা এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে এবং সেদেশে এটি প্রয়োগ করা হচ্ছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী বিশ্বামানের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছে। ভারতের সেই সব কাগজও পরীক্ষা করা হয়েছে। সফটয়্যার সুরক্ষা হস্তান্তর ॥ তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সফটয়্যার ‘সুরক্ষার’ ‘টেকনিক্যাল প্রভলেম’ দূর করে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরে হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। সুরক্ষার মাধ্যমে বুধবার থেকে অগ্রাধিকার প্রাপ্তরা রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নিতে পারবেন। মূলত টিকার সুষ্ঠু বণ্টনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ‘সুরক্ষা’ নামে সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে। গত কয়েকদিন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ল্যাবে এ্যাপটি ‘ট্রাইয়ালে’ ছিল। করোনা ভ্যাকসিনের অনলাইন নিবন্ধন ও যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণে এ্যাপটিতে বিশাল জায়গা রয়েছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষের সব তথ্যই সুরক্ষা সার্ভারে জায়গা পাবে। এত বড় সর্ভার এখন পর্যন্ত দেশে তৈরি হয়নি। সমস্ত মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা এবং তা সংরক্ষণ করার বিষয়ে কোন ধরনের অসুবিধা হবে না। টিকাদান কর্মসূচীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মীরাও কাজ করবেন। তারা সুরক্ষায় কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে দূর করবে। জনকণ্ঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। সচিব জিয়াউল আলম জনকণ্ঠকে বলেন, কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের টিকা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার বিষয়টি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। টিকার বণ্টন সুষ্ঠুভাবে করতে ইতোমধ্যে ‘সুরক্ষা’ নামক একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের তৈরি করা এই প্ল্যাটফর্মটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে হস্তান্তর করা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে। সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মানুষ রেজিস্ট্রেশন করে টিকা পাবেন। টিকা নিয়ে যাতে মানুষের মধ্যে কোন প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব না থাকে সেজন্য বিশ্বাস যোগ একটি প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন ছিল। সেই প্ল্যাটফর্মটি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ তৈরি করেছে। বুধবার থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে সুরক্ষার মাধ্যমে। আমরা আশা করছি সুরক্ষা টিকাদান কর্মসূচীকে বড় ধরনের সফলতা দেবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সুরক্ষার ট্রায়ালও শেষ করেছে। এরপরেও যদি কোন ধরনের সমস্যা তৈরি হয় তাহলে আমাদের কারিগরি সহযোগিতা থাকবে। আমরা একটি কারিগরি টিম স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে কাজ করবে। সচিব জিয়াউল আলম বলেন, সুরক্ষা মূলত একটা ওয়েব এ্যাপ্লিকেশন। ভ্যাকসিন বণ্টনের ‘ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’। এই এ্যাপটি তৈরি করেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রোগ্রামারদের একটি দল। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ সফটওয়্যারটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে দেয়া হয়েছে। সিস্টেমটির উন্নয়ন এবং পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, তথ্যপ্রযুক্তিবিভাগ, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), এটুআই এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর একসঙ্গে সুরক্ষা নিয়ে কাজ করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, সুরক্ষায় ‘সেলফ রেজিস্ট্রেশন’র মাধ্যমে এতে অনলাইনে নিবন্ধন ও ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোডের ব্যবস্থা রয়েছে। ভ্যাকসিন নিতে সব তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে যাচাই ও মনিটরিং করা হবে। ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ সম্পন্ন হওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুরক্ষা সিস্টেম হতে অনলাইনের মাধ্যমে টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের গেটওয়ে ‘পরিচয়’র মাধ্যমে নিবন্ধনকৃত ব্যক্তির পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হবে। নিরাপদ নিবন্ধন নিশ্চিতকল্পে নিবন্ধনকৃত ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) পাঠানোর সিস্টেম রাখা হয়েছে। আবার এসএমএস’র মাধ্যমে নিবন্ধনকৃত ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেয়ার তারিখ ও তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে। ভ্যাকসিন ডোজ গ্রহণ সম্পর্কিত সব তথ্য কিউ আর কোর্ডে স্ক্যান করে তা সংরক্ষণ করা হবে। মানুষের টিকা দেয়ার যাবতীয় তথ্য জমা থাকবে সুরক্ষায়। সুরক্ষায় রেজিস্ট্রেশন যেভাবে ॥ সুরক্ষার ওয়েবসাইট িি.ি ংঁৎড়শশযধ.মড়া.নফ গিয়ে ‘নিবন্ধন’ বাটনে ক্লিক করে নাগরিক শ্রেণী সিলেক্ট করে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং জন্মতারিখ দিতে হবে। এরপর যাচাই বাটনে ক্লিক করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। পরিচয় যথাযথ হলে বাংলা ও ইংরেজিতে নাম ফর্মে দেখা যাবে। দীর্ঘমেয়াদী কোন রোগ আছে কিনা হ্যাঁ অথবা না সিলেক্ট করতে হবে। নিবন্ধনকারী নাগরিকের পেশা এবং সরাসরি কোভিড-১৯ কাজের সঙ্গে জড়িত কিনা তা নির্বাচন করতে হবে। মোবাইলে ভ্যাকসিনের তথ্য ও ভেরিফিকেশন এসএমএস পেতে চান তা নিবন্ধনের সময় দিতে হবে। ফর্মে বর্তমান ঠিকানা ও টিকা কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে। সব শেষে মোবাইলে প্রাপ্ত ঙঞচ দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। নিবন্ধন সম্পন্ন হয়ে গেলে ‘টিকা কার্ডসংগ্রহ’ বাটনে ক্লিক করে কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে নির্ধারিত সময়ে এমএমএসের মাধ্যমে টিকা দেয়ার তারিখ ও কেন্দ্র জানানো হবে। টিকা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় প্রিন্টেড টিকা কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সঙ্গে নিতে হবে। কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের টিকা জনগণের কাছে পৌঁছে যাওয়া আর সময়ের ব্যাপার মাত্র। টিকার বণ্টন সুষ্ঠুভাবে করতে ইতোমধ্যে ‘সুরক্ষা’ নামক একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। এর আগে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সফটয়্যারটি ভ্যাকসিন বণ্টনের ‘ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’। করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘সুরক্ষা’ তৈরি করা হয়েছে। ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই কার্যক্রম চালু করা হয়। সুরক্ষা স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর আজ বুধবার থেকে শুরু করবে ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম। সুরক্ষা এ্যাপটি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ‘সফটওয়্যার এ্যাসুরেন্স ল্যাবে’ মান যাচাই-বাছাই করেই এটি হস্তান্তর করা হয়। টিকা কাযক্রম যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় তার জন্য সুরক্ষা পুরোপুরি প্রস্তুত করেই আমরা স্বাস্থ্য বিভাগকে হস্তান্তর করেছি। দেশে প্রথম টিকা নেবেন নার্স রুনু বেরোনিকা কস্কা ॥ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রথম একজন নার্সের শরীরে প্রয়োগের মধ্য দিয়ে দেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। প্রথম ভ্যাকসিন নেবেন এ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরোনিকা কস্তা। তার সঙ্গে আরও দুজন সিনিয়র স্টাফ নার্স মুন্নী খাতুন ও রিনা সরকারও টিকা নেবেন। চিকিৎসক হিসেবে প্রথম ভ্যাকসিন নেবেন মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডাঃ আহমেদ লুৎফর মবিন। এছাড়া আরো দুই চিকিৎসক এই তালিকায় রয়েছেন। ভ্যাকসিনেটর হিসেবে ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার ও দীপালি ইয়াসমিনের নাম রয়েছে।
×