ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুশফিক-সাকিবদের দেখে অনুপ্রাণিত ইয়াসির

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২১

মুশফিক-সাকিবদের দেখে অনুপ্রাণিত ইয়াসির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের মধ্যে সবচেয়ে পরিশ্রমী মুশফিকুর রহিম। বিশেষ করে অনুশীলনের জন্য তার যে গভীর মনোনিবেশ, কঠোর নিবেদন তা সবার জন্যই অনুসরণীয়। তরুন ক্রিকেটাররা তাকে দেখে এই ভেবে অনুপ্রাণিত হতে পারেন যে,‘পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি!’ তরুন উদীয়মান ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বিও মুশফিকের দীর্ঘ সময় মাঠে কাটানো ও কঠোর অনুশীলন দেখে অনুপ্রাণিত। এছাড়া দলের সিনিয়র দুই ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের কার্যক্রমও দেখে শিখছেন তিনি। সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ টেস্টের সিরিজ শুরু হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। প্রথম টেস্ট ৩ ফেব্রুয়ারি। আজ শুধু টেস্ট দলের সদস্যরা প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর অধীনে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। বিকেলে সাগরিকায় টেস্ট দলের প্রথম দিনের অনুশীলন বেলা ২টায় শুরু হয়। অনুশীলন শুরুর পর ইয়াসির গণমাধ্যমকে এমন কথা বলেন। জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হলে চোখে লাগার মতো পরিশ্রম করেন মুশফিক। সূচী মোতাবেক দলের অনুশীলন শুরুর আগে থেকেই মাঠে নেমে পড়েন তিনি। আবার অনুশীলন শেষে সবাই মাঠ ছাড়লেও মুশফিক নিজের মতো চালিয়ে যান অনুশীলন। যখন জাতীয় দলের ক্যাম্প থাকেনা তখনও ঐচ্ছিক অনুশীলনে একাকী দীর্ঘ সময় মাঠে ঘাম ঝরান। সিনিয়র ৩ ক্রিকেটার- মুশফিক, তামিম, সাকিব গত এক যুগ ধরেই জাতীয় দলে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছেন। এজন্য নিজস্ব কিছু কার্যক্রম শৃঙ্খলার সাথেই পালন করে গেছেন তারা। এই বিষয়টি ভেবেই মুগ্ধ ইয়াসির। তিনি বলেন,‘আমি যতই দেখি সিনিয়র ভাইদেরকে ততই অবাক হই। এই পর্যায়ে এসেও উনারা যে কঠোর পরিশ্রমটা করেন- সাকিব ভাই, তামিম ভাই, মুশফিক ভাই। মুশফিক ভাইয়ের কথা তো আমরা সবাই জানি কিন্তু বিশেষ করে তামিম ভাই, সাকিব ভাই যেভাবে নিজেদেরকে ধরে রাখেন এখন তাঁদের সঙ্গে আমি সবসময় কথা বলি ওই সব বিষয় নিয়ে।’ তিনজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে আবার একসাথে পেয়ে তাই উৎফুল্ল ইয়াসির। তিনি বলেন,‘হ্যাঁ, সত্যিই আমি রোমাঞ্চিত। সত্যি বলতে যেহেতু তামিম ভাই, সাকিব ভাই- এনাদেরকে ছোট থেকে দেখেই বড় হয়েছি ক্রিকেটে।’ জাতীয় দলে এখন দারুন প্রতিযোগিতা। সেখানে ফিটনেসের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষতা ধরে রেখে ধারাবাহিক পারফর্মেন্স করে যাওয়াটা জরুরী। নয়তো ছিটকে যেতে হবে। এ বিষয়ে ইয়াসির বলেন,‘এখন আসলে যে যুগ, যে প্রতিযোগিতা, তো নিজেকে ওই রকমভাবে মেইন্টেইন না করলে খেলাটা খুব কঠিন হয়ে যায়। তো সবাইকে দেখেই সবার কাছে থেকে ভাল ভাল জিনিস নেওয়ার চেষ্টা করছি।’ টেস্ট দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে আছেন এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলা ইয়াসির। চট্টগ্রামের এ ২৪ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান বলেন,‘ভাল একটি অনুভূতি কারণ আমরা প্রায় ১ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছি সেটা যদি হয় চট্টগ্রাম থেকে, আমার হোম টাউন তো অন্য রকম এক রোমাঞ্চ কাজ করছে। জানি না হয়তো একাদশে থাকার সুযোগ হবে কি, হবে না! কিন্তু এটা একটা ভাল লাগার বিষয় যে আমি দলের সঙ্গে আছি।’
×