ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

টেকসই নির্মাণ কাজের জন্য প্রশিক্ষিত শ্রমিক ও প্রকৌশলীর প্রয়োজন ॥ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৮:৫৯, ২৬ জানুয়ারি ২০২১

টেকসই নির্মাণ কাজের জন্য প্রশিক্ষিত শ্রমিক ও প্রকৌশলীর প্রয়োজন ॥ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, টেকসই নির্মাণ কাজ করার জন্য প্রশিক্ষিত শ্রমিক ও প্রকৌশলী প্রয়োজন। প্রকৌশলীদের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ থাকলেও শ্রমিকদের প্রাতিষ্ঠানিক কোন প্রশিক্ষণ থাকে না। সেজন্য গুণগত মাণ নিয়ন্ত্রণ এবং কাজের পরিমাণ বেশী করা তাদের পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হয়ে উঠে না। এ বিষয়টিকে চিহ্নিত করে গাজীপুরে প্রশিক্ষণ ইউনিট কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এখানে সাধারণ লোকজনকে রাজমিস্ত্রি ও রড মিস্ত্রিসহ কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য দক্ষ মিস্ত্রি হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদেরকে সনদ দেওয়া হবে। এতে তারা যেমন চাকুরি ও কাজের সুযোগ পাবে, তাদের কাজের মানও ভাল হবে। তেমনি তারা বিদেশেও কর্মসংস্থানের সুযোগে পাবে। তিনি বলেন, যেসব ঠিকাদার বছরের পর বছর কাজ ঝুলিয়ে রেখেছে, সেই কাজ শেষ না করে নতুন কাজ করছে, এবং কাজের মান খারাপ করছে। আবার কালো তালিকাভুক্ত অনেক ঠিকাদারও কাজ পাচ্ছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদেও বিরুদ্ধে সকল প্রকার আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর যে ঠিকাদার সঠিকভাবে কাজ করছে, তাদেরকে আগামীতে আরো বর্ধিত কাজ দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে প্রশংসিত ও উৎসাহিত করা হবে। মন্ত্রী মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরের রাজেন্দ্রপুর গজারিয়াপাড়া এলাকায় ‘নির্মাণ দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, এলজিইডি’র সারা বাংলাদেশে কম ব্যায়ে অধিক কাজ করার দায়িত্বটি বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কম খরচে ব্রিজ ও রাস্তা করা হয়েছে। একসময়ে আমাদের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল সেকারণে এটা করা হলেও আমি মন্ত্রী হওয়ার পরে এ বিষয়টি চিহ্নিত করেছি যে টেকসই রাস্তা করার জন্য এখন আমরা ইস্টিমেট ও ডিজাইনগুলোর পরিবর্তন করেছি। ইস্টিমেট ও ডিজাইন পরিবর্তন করে এখন থেকে গুণগতমান সম্পন্ন কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে। যেহেতু ইস্টিমেট বেশী, তাই টেকসইভাবে কাজ করার জন্য সকল প্রকৌশলীরাও এখন থেকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবে। অনেক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও এলজিইডি’র সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী বা কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেন না এমন প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কিছু ব্যর্থতা তো আছেই, আমাদের দুর্বলতা আছে। এ ব্যার্থতা ও দুর্বলতাকে কাটিয়ে উঠতে আমি মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রকৌশলীসহ সকলকে নিয়ে একযোগে কাজ করছি। তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অনেকগুলো রাস্তায় নির্মাণ কাজ চলছে। এখানকার জনগণের সঙ্গে কথা বলে ও পরামর্শ নিয়ে এবং তাদের সহযোগিতায় রাস্তা প্রশস্ত করে নির্মাণ কাজ চলছে। এতোগুলো রাস্তার কাজ একসঙ্গে চলছে দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। দায়িত্ব পালনে এধরনের জনপ্রতিনিধির আন্তরিকতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এজন্য গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে ধন্যবাদ। এটা অব্যাহত থাকতে হবে। এর আগে মন্ত্রী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সড়ক, ড্রেন নির্মাণসহ নানা উন্নয়ণকাজ ঘুরে দেখেন। এসময় মন্ত্রীর কর্মসুচীতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) মেজবাহ উদ্দিন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ খান ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো: মোসলে উদ্দীন, গাজীপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল বাকের, গাজীপুর মেট্রাপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হাসানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
×