ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নেতাকর্মী ও স্বজনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে জন্মদিন পালন করেন ফখরুল

প্রকাশিত: ১৭:৫৯, ২৬ জানুয়ারি ২০২১

নেতাকর্মী ও স্বজনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে জন্মদিন পালন করেন ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মঙ্গলবার ছিল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৭৪তম জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে অন্যান্য বছরের মতো এবারও কোন আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। দিনভর দলের নেতাকর্মী ও স্বজনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের করে তিনি তাঁর জন্মদিন পালন করেন। বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেসউয়িং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কখনই আড়ম্বরপূর্ণভাবে জন্মদিন পালন করেন না। এদিন দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়া তিনি অন্যদিনের মতোই নিয়মিত কাজ চালিয়ে যান। তাই অন্যান্য বারের মতো এবারও ছিলনা জন্মদিনের বিশেষ কোন আয়োজন। শায়রুল কবির জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও মঙ্গলবার জন্মদিনের ভোরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘুম ভাঙ্গে অষ্ট্রেলিয়া থেকে বড় মেয়ে মির্জা সামারাহ ও ঢাকায় থাকা ছোট মেয়ে মির্জা সাফারাহ’র টেলিফোনে। তাঁরা বাবাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। বড় মেয়ে মির্জা সামারাহ অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন স্বামী-সন্তান নিয়ে। সেখানে সিডনির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরিয়াল ফেলোশিপ নিয়েছেন। বর্তমানে ক্যানবেরায় ফেডারেল মেডিকেল কাউন্সিলের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। আর ছোট মেয়ে মির্জা সাফারাহ ঢাকায় ধানমন্ডির সানি ডেল স্কুলে শিক্ষকতা করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্মদিনে দুই মেয়ের পর অন্য স্বজনরাও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ ছাড়া বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরাসরি উত্তরার বাসায় গিয়ে, আবার কেউ কেউ টেলিফোনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়া ক’জনজন বিদেশি বন্ধুও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ১৯৭৯ সালে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছাত্রজীবন শেষ করে ঢাকা কলেজে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৮৬ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। ১৯৮৮ সালে তিনি ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে তিনি ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি ও কৃষকদলের প্রথম সহ-সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন। পরে তিনি কৃষক দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে তিনি বিএনপির টিকিটে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে পরাজিত হন। তবে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি। এর পর কৃষি ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় প্রথমে সংস্কারের পক্ষে থাকলেও কিছুদিন পরই খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন মূল ধারার বিএনপিতে ফিরে আসেন। ২০১০ সালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হন এবং ২০১১ সালে তৎকালীন বিএনপি খোন্দকার তেলোয়ার হোসেন মারা যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের পর দলের মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হলেও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে শপথ নেননি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও তার দলের নির্বাচিত অন্য ৬ এমপি শপথনিয়ে সংসদে যোগ দেন।
×