ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জলবায়ু অভিযোজন সামিটে শেখ হাসিনার ভাষণ

প্রকাশিত: ০০:২২, ২৬ জানুয়ারি ২০২১

জলবায়ু অভিযোজন সামিটে শেখ হাসিনার ভাষণ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ গ্রহণে ব্যর্থতার জন্য অর্থ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবই দায়ী। তিনি বলেন, ‘যে ক্ষতি হয়ে গেছে, ভবিষ্যতের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করার প্রক্রিয়াও অনুরূপ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অর্থ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বৈশ্বিক অভিযোজনমূলক পদক্ষেপগুলো ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে আদৌ সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’ তবে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিককালের কোভিড-১৯ এর অভিজ্ঞতা সকলের জন্য একতাবদ্ধ হওয়া এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে’। নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে সোমবার থেকে শুরু হওয়া দুইদিনের অনলাইন জলবায়ু অভিযোজন সামিট (সিএএস) ২০২১-এ প্রচারিত দুই মিনিটের রেকর্ড করা ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে সম্মেলনে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট স্বাগত বক্তৃতা দেন। খবর বাসসর। এই শীর্ষ সম্মেলন বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে প্রথমবারের মতো এমন একটি নিবেদিত প্লাটফর্ম তৈরি করেছে যার লক্ষ্য বিশ্বকে জলবায়ু অভিযোজন এবং স্থিতিস্থাপকতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের জন্য বাংলাদেশকে প্রায়শই ‘গ্রাউন্ড জিরো’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তিনি বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে গৃহীত অভিযোজনমূলক ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিশ্ব নেতৃত্ব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং নেদারল্যান্ডসের সহায়তায় আমরা বাংলাদেশ ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০ গ্রহণ করেছি।’ শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে তাঁর সরকার সারাদেশে সাড়ে ১১ মিলিয়ন গাছের চারা রোপণ করেছে এবং ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ নামে একটি কর্মসূচী চালু করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন বিনিয়োগ পরিকল্পনানুযায়ী বাংলাদেশ খসড়া জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ইউএনএফসিসিসি প্রক্রিয়ার মূল দলিল হবে । প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের গৃহীত স্থানীয় ব্যবস্থার ভিত্তিতে আমাদের নিজস্ব জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল থেকে ৪৪৩ মিলিয়ন ডলারের ৭৮৯টি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।’ অধিকন্তু, সিভিএফ (জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম)-এর সভাপতি এবং অভিযোজন সম্পর্কিত গ্লোবাল সেন্টারের দক্ষিণ এশীয় কার্যালয়ের হোস্ট হিসেবে ‘আমরা স্থানীয়ভাবে গৃহীত অভিযোজন পদক্ষেপগুলো প্রচার করছি যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের জন্য সুস্পষ্ট সমাধান দিতে পারে।’ একটি বিস্তৃত এ্যাডাপ্টেশন এ্যাকশন এজেন্ডা চালু করে সিএএস ২০২১, জলবায়ু-স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় বৈশ্বিক সহযোগিতা এবং বর্ধিত নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি রূপান্তর দশক শুরু করবে।
×