ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন ফখরুল ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:১৮, ২৬ জানুয়ারি ২০২১

ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন ফখরুল ॥ তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমার সন্দেহ হচ্ছে, মানুষ বুড়ো হয়ে গেলে একটা রোগ হয়। সেই রোগ হচ্ছে ডিমেনশিয়া। অর্থাৎ আবোল-তাবোল বলা। সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম বক্তব্য দিয়েছেন যে, এই টিকার ওপর নাকি তাদের আস্থা নেই। এই টিকার ওপর পুরো পৃথিবী আস্থা স্থাপন করেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আস্থা স্থাপন করেছে, ভারতের কোটি কোটি মানুষকে এই টিকা দেয়া হচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও এই টিকা কিনে তাদের জনগণকে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য বলেছেন, এই টিকার ওপর জনগণের আস্থা নেই। তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি (মির্জা ফখরুল) আরও বালখিল্যের মতো বলেছেন, এই টিকা প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হোক। আমার সন্দেহ হচ্ছে, মানুষ বুড়ো হয়ে গেলে একটা রোগ হয়, সেই রোগ হচ্ছে ডিমেনশিয়া, অর্থাৎ আবোল-তাবোল বলে। এই রোগটা শুধু মানুষের হয় তা নয়, এটি মানবগোত্রীয় অন্যান্য প্রাণী যেমন- বানর-হনুমানেরও হয়। বানর-হনুমানও যখন বুড়ো হয়ে যায় তখন ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হলে তারা উল্টাপাল্টা অনেক কাজ করতে থাকে, উল্টাপাল্টা অনেক চিৎকার করতে থাকে। মানুষের (ডিমেনশিয়া) হলেও মানুষ বুড়ো বয়সে অপ্রাসঙ্গিক, অবান্তর নানা ধরনের কথা বলে। আমার সন্দেহ হচ্ছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই ডিমেনশিয়া রোগ হয়েছে কিনা! না হলে তিনি যেভাবে কালকে ইয়ার্কি করার মতো কথা বলেছেন, একজন দায়িত্বশীল নেতার মুখ থেকে এমন বক্তব্য আশা করা যায় না। হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আমি মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করব জনগণকে বিভ্রান্ত করার যে নোংরা খেলায় নেমেছেন; এটি দেশ, জাতি ও জনগণের সঙ্গে প্রতারণা- আপনারা দয়া করে সেই প্রতারণাটা করবেন না। দৈব-দুর্বিপাকের সময় বিএনপি, তার মিত্ররা এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহল সবসময় অপপ্রচারে লিপ্ত হয় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালায়। এই করোনাভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি। শুধুমাত্র সংবাদ সম্মেলন ও মাঝেমধ্যে দু-একটি মানববন্ধনের মধ্যেই তারা সীমাবদ্ধ ছিল। ইতোমধ্যে ২০ লাখ ডোজ করোনার টিকা এসেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, আজকে আরও ৫০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। বিএনপি আশা করেছিল সঠিক সময়ে টিকা আনা সম্ভব হবে না। যখন সঠিক সময়ে টিকা এলো তখন এই টিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার আরেক অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। পৃথিবীতে আবিষ্কৃত কার্যকর টিকার মধ্যে এটি হচ্ছে অন্যতম। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিরোধীদের নির্মূল করতে তথ্যমন্ত্রী প্রথমে বিএনপিকে টিকা দেয়ার কথা বলেছেন- এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, যখন টিকা চলে আসল তখন বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হলো এই টিকা নিয়ে লুটপাট হবে। এই টিকা যারা ক্ষমতাবান শুধু তাদের দেয়া হবে। তাদের সেই কথা পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলাম, বিএনপি যদি চায় তবে আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাব বিএনপিকে আগে টিকা দেয়ার জন্য। রিজভী সাহেবের কথা মনে হচ্ছে তারা আদৌ টিকা নিতে চায় কিনা, তারা হয়তো টিকা নিতে চায় না। জনপ্রতিনিধিদের কবে টিকা দেয়া হবে, এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি প্রথমে টিকা পাওয়ার অধিকার রাখেন স্বাস্থ্যকর্মীসহ যারা করোনার মধ্যে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করেছেন তারা। সরকার সেভাবেই একটি রোডম্যাপ তৈরি করছে। করোনার সময় জনপ্রতিনিধিরা জনগণের পাশে ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমার অধিকারটা আগে নয়। তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করে পথ দেখানোর জন্য আমাদের আগে টিকা নিতে হবে, সেক্ষেত্রে ভলান্টিয়ার করতে আমদের কোন আপত্তি নেই।
×