ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দীর্ঘ প্রতীক্ষার ৫০ লাখ করোনা টিকা এলো ঢাকায়

প্রকাশিত: ২৩:০২, ২৬ জানুয়ারি ২০২১

দীর্ঘ প্রতীক্ষার ৫০ লাখ করোনা টিকা এলো ঢাকায়

আজাদ সুলায়মান ॥ মাঘের কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ ভেদ করে রানওয়েতে এয়ার ইন্ডিয়ার কার্গো ফ্লাইটটি অবতরণ করার সঙ্গে স্েঙ্গই করতালি দিয়ে স্বাগতম জানিয়েছেন অপেক্ষমাণ অতিথিরা। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ভ্যাকসিনের এই প্রথম চালানটি ঢাকায় আসে। সোমবার সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার ওই ফ্লাইট অবতরণ করে। ভারতীয় দূতাবাস, বেক্সিমকো, ঔষধ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের শ খানেক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ফ্লাইট থেকে দ্রুততম সময়ে বের করে আনা হয় দীর্ঘ প্রতীক্ষার টিকার চালানটি। এক এক করে মোট ১০টি পেলেটে (বাকেট) ছিল ৫০ লাখ টিকা। বিমানবন্দর থেকেই দুপুরের মধ্যেই সব সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় টঙ্গীতে বেক্সিমকোর নিজস্ব ওয়্যার হাউসে। এখান থেকেই আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে টিকাগুলো পাঠানো হবে জেলায় জেলায়। টিকার পরবর্তী চালানটি আসবে আগামী মাসে। সরেজমিনে দেখা যায়, টিকা আসার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল দেশের শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো। গোটা জাতির উন্মুখ দৃষ্টি ছিল টিকা আগমনের ওপর। বেলা এগারোটায় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি সুপরিসর কার্গো ফ্লাইটের সিডিউল থাকলেও রাজধানীর সব ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিরা সকাল নয়টার মধ্যেই হাজির হয়ে যান হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮নং হ্যাঙ্গার গেটের সামনে। প্রবেশাধিকার সংরক্ষণ থাকায় তাদের দীর্ঘ তিন ঘণ্টা সেখানেই অপেক্ষায় থাকতে হয় ভেতর থেকে আসা টিকা বহনকারী ফ্রিজিং ভ্যানের জন্য। বেলা পৌনে এগারোটায় ওই গেট দিয়ে রানওয়ের কাছাকাছি এয়ারসাইটে ছুটে যান বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন, বেক্সিমকোর সিইও ড. রাব্বুর রেজা, জিএম ইসমাইল হায়দার মল্লিক, বেক্সিমকো গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক আশীষ রায় চৌধুরি, ভারতীয় দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দে ও এ প্রতিনিধি। তারা সবাই সেখানে অপেক্ষায় থাকেন টিকার ফ্লাইট অবতরণের জন্য। নির্ধারিত সময়েই ওই ফ্লাইট অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে সবাই করতালি দিয়ে স্বাগত ও হর্ষধ্বনি প্রকাশ করেন। মুহূর্তেই ক্যাপ্টেন দরজা খুলে দেন এবং বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কর্মীরা সেখানে গিয়ে বের করে নিয়ে আসতে শুরু করেন টিকার পেলেট। নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বে উপস্থিত অর্ধ শত অতিথি টিকার চালান আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন। পেলেটগুলো বের করে তোলা হয় সারিবদ্বভাবে পার্কিং করে থাকা বেক্সিমকোর নিজস্ব ফ্রিজিং ভ্যানে।
×