স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর নতুন জেলার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন রীতেশ চাকমা। সোমবার সকালে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এদিকে কারা কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্ত কাজে এদিন কারাগারে আসেন।
নতুন জেলার রীতেশ চাকমা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ কারাগারের জেল সুপার রতœা রায়কে প্রত্যাহারের পর তার দায়িত্ব কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোঃ গিয়াস উদ্দিনকে দেওয়া হয়েছে।
হল মার্কের অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় বন্দি হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদের সঙ্গে কারাগারে কর্মকর্তাদের কক্ষে নারীর সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলে রবিবার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার রতœা রায় ও জেলার নুর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়াও একই ঘটনায় ওই দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের আগে কারাগারের ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমানকেও প্রত্যাহার করা হয়। তাদেরকে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
এদিকে ওই ঘটনা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি প্রিজন (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।
কারা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে তদন্ত কমিটির সদস্যরা কারাগারে যান। তারা দিনভর তদন্ত কার্যক্রম চালান। এসময় তদন্ত কমিটির সদস্যরা সংশ্লিষ্ট কারারক্ষী ও অভিযুক্ত বন্দির সঙ্গে কথা বলেন। তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত কারা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া এ ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামকে প্রধান করা হয়েছে। অপর সদস্যরা হলেন- গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী।
উল্লেখ্য, অর্থ কেলেঙ্কারীর মামলায় হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদের সঙ্গে গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ বহিরাগত এক নারীর সাক্ষাতের ঘটনার সিসিটিভি’র ফুটেজ ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় কারাকর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন দু’টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠণ করে।
