ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার ৫০ লাখ টিকা এখন টঙ্গীর বেক্সিমকো কারখানায়

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ২৫ জানুয়ারি ২০২১

করোনার ৫০ লাখ টিকা এখন টঙ্গীর বেক্সিমকো কারখানায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী ॥ বাংলাদেশের বহু আকাংক্ষিত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের ৫০ লাখ ডোজ টিকা সোমবার ঢাকা বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী চেরাগআলী বেক্সিমকো ওষুধ কারখানায় এসে পৌঁছেছে।ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভাইরাসের টিকা ফ্রিজার ভ্যানে করে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালের ওয়ার হাউসে এনে বিশেষ তাপমাত্রায় সংরক্ষণের ব্যবস্হা করা হয়েছে। টঙ্গী থানা পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্হায় ভ্যাকসিনগুলো সংরক্ষণে থাকবে। ভ্যাকসিনবাহী এয়ার এ্যাম্বুলেন্সটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসলে বেক্সিমকো র্কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব ফ্রিজার ভ্যানে করে টঙ্গীতে ভ্যাকসিনগুলো নিয়ে আসে। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ম্যানেজার লুৎফর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, এই ভ্যাকসিনের সবগুলো ৪/৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সব জেলায় পৌছে দেয়ার ব্যবস্হা নেয়া হয়েছে। এসব ভ্যাকসিনের মধ্যে কোনটায় যদি কোন সমস্যা থাকে সেগুলো বেক্সিমকো ফার্মা কর্তৃপক্ষ নিজেদের জিম্মায় রেখে তা ধ্বংস করে ফেলবে। তিনি আরো জানান, ভারত থেকে ৩ কোটি ডোজ করোনার টিকা আসার কথা রয়েছে। প্রথম ধাপে ৫০ লাখ করোনা টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বেক্সিমকোর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসবে। আর এ জন্য ভ্যাকসিন পরিবহণের জন্য কয়েকটি ফ্রিজার কাভার্ড ভ্যান কেনা হয়েছে। যা এ কোম্পানীতে আগে ছিল না। টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশের ওসি শাহ্ আলম জনকণ্ঠকে জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারত থেকে আসা ৫০ লাখ ভ্যাকসিন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিকেল লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহন করেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ টঙ্গী বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানায় টিকাগুলো নিয়ে আসেন। আগামী ২৭ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বলে জানা গেছে। বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে গুদামের প্রধান অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা জনকণ্ঠকে জানান, বিমানবন্দর থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা ৭ টি গাড়িতে করে আনা হয়। এর জন্য নতুন করে দুটি ওয়্যারহাউজও নির্মাণ করা হয়েছে। ওয়্যারহাউজ ১ এ ৬ মিলিয়ন ডোজ এবং ২ এ ৮ মিলিয়ন ডোজ রাখা হবে। ১৫ মিলিয়ন ডোজ এখানে সংরক্ষন করা যাবে। ৫০ লাখ ডোজ তিনটি ব্যাচ থেকে এসেছে। এই তিনটি ব্যাচের স্যাম্পল ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটিতে পাঠানো হবে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ড্রাগ রেগুলেটরি থেকে রিলিজ পাওয়ার পর দেশের ৬৪ টি জেলায় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পাঠানো যাবে বলে আশা করছেন তিনি। তিনি আরো জানান, প্রতিটি কার্টনের মধ্যে ১২ শ' ভায়াল অর্থাৎ ১২ হাজার ডোজ টিকা থাকে। ১২ শ' ভায়াল মাল্টিপল ডোজ হিসেবে টিকাগুলো পর্যায়ক্রমে যাবে বিভিন্ন জেলায়।
×