ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৪ ফিফটিতে রেকর্ড সংগ্রহ বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ১৫:৩৭, ২৫ জানুয়ারি ২০২১

৪ ফিফটিতে রেকর্ড সংগ্রহ বাংলাদেশের

স্পোর্টস রিপোর্টার॥ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। এরপর অধিনায়ক তামিম ইকবাল, বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, নির্ভরযোগ্য মুশফিকুর রহিম ও অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অর্ধশতকে বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিক দল। তামিম, সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ তিনজনই ৬৪ রান করে করেন। আর সাকিব করেন ৫১ রান। আগের দুই ম্যাচে ক্যারিবীয়রা আগে ব্যাট করে এবং মামুলী সংগ্রহে গুটিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ সহজেই জয় তুলে নেয় পরে ব্যাট করে। উইন্ডিজদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে আজ সাগরিকায় দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদ ও রুবেল হোসেনের জায়গায় সুযোগ পান তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এবার উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশকে। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই লিটন কুমার দাসকে হারিয়ে বাজে শুরু হয় বাংলাদেশের। লিটন শুন্য রানে ফিরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ধৈর্য্যশীল ব্যাটিং করেন অধিনায়ক তামিম। তবে এদিনও শান্ত দারুনভাবে শুরু করলেও বেশিদূর যেতে পারেননি। ৩০ বলে ২০ রান করেই সাজঘরে ফিরে গেছেন দলীয় ৩৮ রানের মাথায়। ক্রিজে সাকিব আসার পরই কাইল মেয়ার্সকে একটি কট এ্যান্ড বোল্ডের সুযোগ দিয়েছিলেন। সে যাত্রা বেঁচে যাওয়ার পর আর ঝুঁকি নেননি। সতর্ক ব্যাটিং করেছেন। ফলে তামিমের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে তার ৯৩ রানের বড় জুটি গড়ে ওঠে। এতেই শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ।তামিম ক্যারিয়ারের ৪৯তম ফিফটি পেয়ে যান। তিনি শেষ পর্যন্ত ৮০ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় ৬৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এই ইনিংসের মাধ্যমে তিনি একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে এই ভেন্যুতে ৫০০ রানের মাইলফলক পেরিয়েছেন। তামিমের বিদায়ের পর সাকিব-মুশফিক জুটিতে আরও ৪৮ রান পায় বাংলাদেশ। সাকিব ক্যারিয়ারের ৪৮তম এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর প্রথম হাফসেঞ্চুরি পেয়ে যান। তবে এরপরই মিস টাইমিংয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি। সাকিব ৮১ বলে ৩ চারে ৫১ রান করেন। ততোক্ষণে ভাল একটি অবস্থানে গেছে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ পেতে মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ জুটির ঝড়ো ব্যাটিং দারুন কার্যকর ভূমিকা রাখে। মুশফিকর ৫৫ বলে ৪ চার, ২ ছক্কায় ৬৪ রান করে সাজঘরে ফিরলেও মাহমুদুল্লাহ ছিলেন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত। তিনি ৪৩ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ ৫ ওভারে মাহমুদুল্লাহর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ওঠে ৫৭ রান। ফলে এই ভেন্যুতে নিজেদের সর্বোচ্চ ওয়ানডে সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ২টি করে উইকেট নেন দুই পেসার আলজারি জোসেফ ও রেমন রেইফার। অবশ্য এ মাঠে সার্বিকভাবে দলীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহে বাংলাদেশ এখন দুই নম্বরে। সফরকারী শ্রীলঙ্কা ২০০৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৭ উইকেটে ৩০৯ রান করেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেটিই এ ভেন্যুর সেরা, এরপরই বাংলাদেশের আজকের ইনিংস। সংক্ষিপ্ত স্কোর॥ বাংলাদেশ ইনিংস- ২৯৭/৬ (তামিম ৬৪, মুশফিক ৬৪, মাহমুদুল্লাহ ৬৪*, সাকিব ৫১, শান্ত ২০; আলজারি ২/৪৮, রেইফার ২/৬১)।
×