ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসে শীত বেড়েছে

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ২৫ জানুয়ারি ২০২১

কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসে শীত বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে গত কয়েকদিন ধরে মাঝারি থেকে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আগামী তিন দিনে আবহাওয়ার এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বর্তমানে নেই কোন শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আর দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য হ্রাস পেয়েই চলেছে, যা শীতের তীব্রতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। রবিবার দিনভর রাজধানীর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন এবং কুয়াশার দখলে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব বেশি কমেনি বরং রবিবার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য হ্রাস পেয়েই চলেছে। তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়া অবস্থায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য যতই হ্রাস পাবে, তত বেশি শীত অনুভূত হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কুতুবদিয়ায় ২৭.৩ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ৯.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। এভাবে ঢাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ২২ ডিগ্রী সে. ও ১৩.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। দেশের সব সেন্টারের তাপমাত্রা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সব সেন্টারেই সর্বোচ্চ ও সবনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাচ্ছে। ঠাণ্ডা বাতাস ও কুয়াশার পাশাপাশি তাপমাত্রা হ্রাস পেলে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। রবিবারও সারাদেশে অনুভূত হয় মাঝারি থেকে তীব্র শীত। মূলত উত্তরবঙ্গ ও সীমান্ত এলাকাগুলোতে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। রাজধানীবাসীও মাঝারি ধরনের শীত থেকে রেহাই পাননি। রাজধানীতে দিনের অধিকাংশ সময় শীত অনুভূত হয়। সকাল ন’টার পর কিছুক্ষণের জন্য সূর্য উঠলেও তেমন তেজ ছিল না। হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা বিরাজ করে দিনভর। বিকেল সাড়ে তিনটার পর রাজধানীর আকাশ যেন কুয়াশার পুরো দখলে চলে যায়। পাশাপাশি বইতে থাকে ঠাণ্ডা বাতাস। অধিকাংশ লোকজনকে দিনভর গরম কাপড় ব্যবহার করতে দেখা গেছে। নগরীর শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। শীতবস্ত্রের দামও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। গরম কাপড় দোকানগুলোতে মানুষের ঢল নামে। এ সুযোগে বেড়ে যায় গরম কাপড়ের দাম।
×