ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর কমলাপুরে একটি তৈরী পোশাক কারখানায় অগ্নিকান্ড

প্রকাশিত: ১৮:৩৩, ২৪ জানুয়ারি ২০২১

রাজধানীর কমলাপুরে একটি তৈরী পোশাক কারখানায় অগ্নিকান্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর কমলাপুরে বিআরটিসি বাস টার্মিনালের কাছে ওলিও এ্যাপারেলস নামের একটি তৈরী পোশাক কারখানায় অগ্নিকান্ডে ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে চেষ্টা চালায়। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৯টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার কামরুল হাসান জানান, সকাল পৌনে আটটায় কমলাপুরের ওলিও গামের্ন্টসের ষষ্ঠ তলায় টিনশেড ঘরে তোলা হয়েছে। সেখানে আগুন লাগে। এলাকাটি কমলাপুর বাস ডিপোর কাছে। তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা সম্ভব হয়নি। তদন্তের পর জানানো হবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শ্রমিকরা ওই কারখানায় আসতে শুরু করেন। তখন তারা কারখানার ষষ্ঠতলা গোডাউনে ধোঁয়া দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর সেখানে থমথমে বিরাজ করছে। দুপুর তখনও কারখানা গোডাউন থেকে পোড়া গন্ধ বের হচ্ছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও কারখানাটি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়। তারপরও শ্রমিকরা গামের্ন্টস সামনে অবস্থা করেন। আগুন লাগার ঘটনা অনেকে মানতে পারছেন না। মালিকের ক্ষতিতে ব্যথিত শ্রমিকরা। ওলিও গামের্ন্টসের শ্রমিক হাসান জানান, স্টাফ-শ্রমিক মিলে ৩ হাজার মানুষ এই কারখানায় কাজ করি। মালিকের সাথে সবারই সুসম্পর্ক রয়েছে। নিয়মিত বেতন হচ্ছে। আজ (রবিবার) হঠাৎ কারখানাটির ৬ষ্ঠ তলায় গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনাটি মানতে পারছি না। আমাদের হাতের তৈরি পোশাক রফতানি হবে দেশের বাইরে। অথচ আগুনে পুড়ে সব ছারখার হয়ে গেছে। আরেক শ্রমিক শরিফুল জানান, সকাল পৌনে ৮টা থেকে কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশ করে। আজ (রবিবার) আগুনের ঘটনায় কারখানা বন্ধ হয়েছে। মালিক-শ্রমিকের কষ্টের ফসল ছিল ওই পোশাকগুলো। তারও এভাবে পুড়ে গেল। মালিক ক্ষতির মুখে পড়বে এটা আমরা কখনও চাইনি। গামের্ন্টসের শ্রমিকরা জানান, এ কারখানাটিতে ডেনিম (জিন্স) তৈরির পাশাপাশি ফতোয়া (মেয়েদের পোশাক) তৈরি হতো। ফতোয়াগুলো ফিনিশিং হয়েছে। এখন প্যাকিংয়ে যাবে। সেগুলো গোডাউনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ আগুনের ঘটনায় সেগুলো পুড়ে যায়। এ কারখানাটির ৫ম ও ৭ম তলায় বয়লার থাকলেও সেগুলো অক্ষত রয়েছে। বয়লারে আগুনের ঘটনা ঘটলে হয়তো আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো।
×