ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিদ্ধিরগঞ্জে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ১৮:০৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২১

সিদ্ধিরগঞ্জে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের বৌ-বাজার এলাকায় নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী (১৫) কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সজিব (২০) নামে এক যুবককে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গত ১৮ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এদিকে শনিবার বেলা ১১ টায় জালকুড়ি এলাকায় ৪র্থ শ্রেণীর এক শিশু ছাত্রী (১০)কে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে রবিবার সকালে মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন (৫১) নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, এক মাস ধরে অভিযুক্ত সজিব গোদনাইলের বৌ-বাজার এলাকার নবম শ্রেণীর ওই স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১৮ জানুয়ারি সোমবার দুপুর আড়াইটায় সজিব সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের বৌবাজার এলাকায় তার নিজ বাড়িতে কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনাটি ওই ছাত্রী তার মা-বাবাকে অবহিত করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শনিবার রাতে মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে শনিবার বেলা ১১ টায় নডুলস রান্না করার কথা বলে জালকুড়ি এলাকার ৪র্থ শ্রেণীর ওই শিশু ছাত্রীকে তার বান্ধবী উপজেলার জালকুড়িতে মোশাররফের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। পরে মোশাররফ ওই শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার করে রুম থেকে বের হয়ে নিজ বাসায় চলে যায়। পরে ঘটনাটি তার মা-বাবাকে অবহিত করলে রবিবার সকালে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতার করে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মশিউর রহমান বলেন, নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার পর ২২ ধারায় জবাবন্দী রেকর্ড করার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ৪র্থ শ্রেণীর শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে রবিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
×