ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অনুমোদন পেল দেশে উদ্ভাবিত কোভিড টেস্ট কিট

প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ২৪ জানুয়ারি ২০২১

অনুমোদন পেল দেশে উদ্ভাবিত কোভিড টেস্ট কিট

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে উদ্ভাবন চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় জনগণের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ভাইরাস শনাক্তকরণের কিট উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশী বায়োটেক কোম্পানি ওএমসি হেলথকেয়ার (প্রাঃ) লিমিটেড। খবর বাংলানিউজের। করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত নিয়ম শতভাগ মেনেই তৈরি করা হয়েছে এই আরটি-পিসিআরভিত্তিক শনাক্তকরণ কিট। বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন (ডিজিডিএ) থেকে গত ৩ জানুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন এবং সরবরাহ করার অনুমোদন পেয়েছে কিটটি। বাংলাদেশে এই প্রথম কোন প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের কিট উদ্ভাবন করে ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদন পেয়েছে। ভাইরাস শনাক্তকরণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউএস সিডিসি নির্দেশিকা অনুযায়ী নির্মিত ওএমসি হেলথকেয়ার-এর উদ্ভাবিত কিটটি কোভিড-১৯ ভাইরাসের মিউটেশনের ধরনটি শনাক্তকরণে সম্পূণরূপে সক্ষম, ফলে এই কিটটি কোভিড-১৯ এর কার্যকর শনাক্তকরণের এবং ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত করতে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার কোন বিকল্প নেই। তাই বাংলাদেশে সুলভ মূল্যে বিপুলসংখ্যক টেস্ট কিট প্রয়োজন। বিদেশ থেকে আনা কিট ভোক্তা পর্যায়ে যে পরিমাণ খরচ হয়, এর চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম খরচে ওএমসি হেলথকেয়ার-এর কিট দিয়ে টেস্ট করা যাবে। এ বিষয়ে ওএমসি হেলথকেয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল কবির বলেন, আমাদের প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে এবং প্রয়োজনে এই সক্ষমতা বাড়ানো যাবে। কিটের সর্বোচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করতে আমরা স্বয়ংক্রিয় অটোমেটিক প্রোডাকশন লাইন ব্যবহার করেছি। তিনি আরও বলেন, ঔষধ প্রশাসন এবং আইইডিসিআর-এর সর্বাত্মক সহযোগিতায় কিটটির অনুমোদন দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে।
×