ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে

প্রকাশিত: ২৩:০৩, ২৪ জানুয়ারি ২০২১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে

বিভাষ বাড়ৈ ॥ করোনার ছোবলে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর সংশ্লিষ্ট সকলের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়িয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ খোলার প্রস্তুতি নিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশ অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠাকে খোলার উপযোগী বা প্রস্তুত করার কাজ শুরু হচ্ছে। তবে কিভাবে, কবে খুলতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান? খুললেই বা কিভাবে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিমুক্ত রেখে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হবে-তা ঠিক করতে কাজ করছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, প্রস্তুতি শেষ হলেও তখনকার করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে খোলার ভবিষ্যত। পরিস্থিতি ইতিবাচক হলে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুসারে অন্তত ১০ দিন সময় দিয়ে খোলা হতে পারে প্রতিষ্ঠান। তবে খুললেও উপস্থিতি প্রথমেই হবেনা বাধ্যতামূলক, প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের আসতে হবেনা। দুই মাসের মধ্যে নেয়া যাবেনা কোন পরীক্ষা। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে খোলা প্রতিষ্ঠানে সকল শ্রেণীতেই দুরত্ব বজায় রেখে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীকে নিয়ে হবে শ্রেণী পাঠদান। দেশের সকল মাধ্যমিক, স্কুল ও কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরযুক্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে খোলার প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানকে এজন্য শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বৃহস্পতিবার শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে শুক্রবার রাতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুক প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, ‘এখন আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। আপনারা জানেন কোভিড-১৯ অতিমারী চলাকালীন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা। সেই লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে প্রস্তুত করার জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে এ গাইডলাইন অনুযায়ী আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তাদের শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পাওয়া মাত্র প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া যায়।’ মহাপরিবচালক আরও বলেছেন, শুধু করোনাকালীন সমস্যা মোকাবেলা নয়, বরং মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমাদের এখনই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ ও আনন্দময় প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিতে হবে। বিষয়টি অতি জরুরী উল্লেখ করে সকল মাধ্যমিক, স্কুল ও কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরযুক্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে মাউশি। কিন্তু কিভাবে ও কবে খুলতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান? খুললেই বা বিভাবে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিমুক্ত রেখে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হবে? জানা গেছে, চার ফেব্রুয়ারি প্রস্তুতি শেষ হলে তখনকার করোনা পরিস্থিতি দেখে খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সরকার কোটি কোটি শিক্ষার্থী. শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তাকেই সবার আগে গুরুত্ব দিতে চায়। তবে একই সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে হলেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেলার পথ বেরও করতে চায়। দুই মন্ত্রণালয়েরই উর্ধতন কর্মকর্তারা বলছেন, খোলার কোন দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। ৪ ফেব্রুয়ারির পর করোনা পরিস্থিতি ইতিবাচক হলে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুসারে অন্তত ১০ দিন সময় দিয়ে খোলা হতে পারে প্রতিষ্ঠান। খুললে কিভাবে শিক্ষার্থীসহ সকলের স্বাস্থ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে? শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধতন কর্মকর্তা শনিবার জনকণ্ঠকে বলছিলেন, ‘কোন সিদ্ধান্তই এখানও চূড়ান্ত নয়। তবে সরকারের ওপর প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য বিভিন্ন মহলের একটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সব কিছু খোলা, তাহলে স্কুল-কলেজ বন্ধ কেন-এমন কথা সরকারকে শুনতে হচ্ছে।’ আবার আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে করোনার প্রভাবও একটা কমছে। তাই সময় দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হচ্ছে, যদি কিছুদিন পর পরিস্থিতি ভাল হয় তবে সীমিত পরিসরে খোলা যাবে। সীমিত পরিসরে খোলার ব্যাখ্যা দিয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, ‘ খুললেও উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হবেনা, প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের আসতেও হবেনা। দুই মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানে নেয়া যাবেনা কোন পরীক্ষা। প্রথম ১৫ দিন হতে পারে সহশিক্ষা কার্যক্রম। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে খোলা প্রতিষ্ঠানে সকল শ্রেণীতেই দূরত্ব বজায় রেখে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থীকে নিয়ে হবে শ্রেণী পাঠদান। শিক্ষার্থীর চাপ কমাতে প্রতিটি শ্রেণীতে একাধিক শিফট করা হতে পারে। যাতে একেকদিন একেক শিফটের ক্লাস হয়। এক কথায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সীমিত রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুক বলেছেন, ‘এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে খোলা প্রতিষ্ঠানে সকল শ্রেণীতেই দূরত্ব বজায় রেখে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীকে নিয়ে হবে শ্রেণী পাঠদান। প্রতিদিন কারও ক্লাস হবেনা। একটা বেঞ্চ যদি ৫ ফুট হয় তবে সেখানে একজন শিক্ষার্থী বসবে। যদি ছয় ফুট হয় তবে দুজন বসতে পারবে।’ প্রতিষ্ঠানে প্রত্যেককেই মাস্ক পরতে হবে। নো মাস্ক নো স্কুল। স্বাস্থ্যনিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি দেশের সকল প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নেয়া সম্ভব কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আসলে সব কিছু নির্ভর করছে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার ওপর। আর প্রস্তুতি শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুসারে খোলা হবে প্রতিষ্ঠান’। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রি-ওপেনিং পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। করোনাকালীন স্কুল কিভাবে খুলতে পারি, সংসদে সংসদ সদস্য, শিক্ষকরা বলছেন স্কুল খোলা দরকার। শিক্ষার্থীরাও বলছে আমরাও আর পারি না, স্কুলে যাওয়া দরকার। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কোন নির্ধারিত তারিখ ঠিক হয়নি। আমরা সামনে বসে তারিখ ঠিক করব, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিলে আমরা যে কোন সময় খুলব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে খোলা যায় সেই চিন্তা-ভাবনা করছি। এদিকে ইতোমধ্যেই সকল মাধ্যমিক, স্কুল ও কলেজ, উচ্চমাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছে মাউশি। নির্দেশিকায় স্কুল-কলেজ খোলার আগে পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আকর্ষণীয় করাসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিফটিং করে নিরাপদ দূরত্বে ক্লাসে বসা, প্রথম ১৫ দিন সহ-শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি এবং দুই মাসের মধ্যে কোন পরীক্ষা না নেয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশনায়। ৩৮ পৃষ্ঠার নির্দেশনাটি ইউনিসেফের সহযোগিতায় প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মাউশি। নির্দেশিকায় বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে থেকে পুনরায় চালু হবে তা কেন্দ্রীয়ভাবে সরকার ঘোষণা করবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালুর আগে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক এবং প্রতিষ্ঠান এলাকার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হলে সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেবে কিনা তা পর্যালোচনা করতে হবে। চালু করতে হলে কী কী পদক্ষেপ, তাও জানতে হবে। কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের সময় সবার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, শিক্ষার্থীরা যাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলাফেরা করতে পারে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থারও পরিকল্পনা নিতে হবে। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতির সংখ্যা নিরূপণ করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কতজনকে একই শিফটে এনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে তা পরিকল্পনা করা হবে। সেক্ষেত্রে বসাতে হবে তিন ফুট দূরত্ব নিশ্চিত করে। শিক্ষার্থীর চাহিদা ও অভিভাবকের মতামতের ভিত্তিতে এবং প্রতিষ্ঠানের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করতে হবে। খোলার প্রথম ১৫ দিন কোন একটি শ্রেণী কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সব শিক্ষা কার্যক্রম একই সঙ্গে চালু করতে হলে কতটি শিফট প্রয়োজন হতে পারে এবং প্রতিটি শিফটের জন্য কর্মঘণ্টা কতটুকু হবে তা নির্ধারণের পরিকল্পনাও নিতে হবে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে তা থেকে মুক্ত করার জন্য নিরাপদ ও আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রথম ১৫ দিন শিক্ষা কার্যক্রম কেমন হবে, কতটা সময় শিখন কার্যক্রম এবং কতটা সময় মনোসামাজিক কার্যক্রমের ব্যবস্থা থাকবে তার পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। প্রথম এক বা দুই সপ্তাহ পাঠ্যক্রমভিত্তিক শিখনের ওপর গুরুত্ব না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মনোসামাজিক সহায়তা এবং মানসিক ও শারীরিক কার্যক্রমের মধ্যে খেলাধুলা, মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, গাছ লাগানো ও পরিচর্যা, সঙ্গীতচর্চা, ছবি আঁকা, সামাজিক সেবামূলক কাজ করতে নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর প্রথম দুই মাসের মধ্যে এমন কোন আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা বা মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখা যাবে না, যা শিক্ষার্থীর ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। পরিকল্পনামাফিক প্রয়োজনীয় জীবাণুনাশক প্রয়োগসহ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের দায়িত্ব বণ্টন, নির্দিষ্ট সময় পর পর ২০ সেকেন্ড ধরে সঠিকভাবে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা এবং দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে এ সংক্রান্ত পোস্টার। এক্ষেত্রে কন্টাক্টলেস থার্মোমিটার স্থাপন এবং তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বাড়িতে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের পথে ও অভিভাবকদের বসার স্থানে ৩ ফুট দূরত্বে করতে হবে মার্কিং। সবার জন্য মাস্কের ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে কোন শিক্ষার্থী মাস্কের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত না থাকেন। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে হটলাইন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে টাঙ্গিয়ে রাখতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আগেই স্কুলের পক্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে প্রচারের জন্য শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে লিফলেট বিতরণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান স্থানে ‘নো মাস্ক নো স্কুল’ লিখে তা সবাইকে মানার নির্দেশ দিতে হবে।
×