ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাঘের পর এবার ১৯ হরিণের চামড়াসহ ২ পাচারকারী আটক

প্রকাশিত: ১৭:৩৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২১

বাঘের পর এবার ১৯ হরিণের চামড়াসহ ২ পাচারকারী আটক

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চামড়া উদ্ধারের মাত্র দু’দিন পরেই উদ্ধার হলো বিরল প্রজাতির হরিনের সবচেয়ে বড় মজুদ। শুক্রবার রাতে বাগেরহাট ডিবি পুলিশের একটি দল সুন্দরবনসংলগ্ন শরণখোলা থেকে ১৯ টি হরিণের চামড়াসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে। আজ শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হরিণের চামড়াসহ ২ জনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেন। শরণখোলা উপজেলা সদরের ব্রাক অফিসের সামনে থেকে সুন্দরবনের শিকার করা বিরল প্রজাতির হরিণের চামড়াসহ দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো, শরণখোলার রাজৈর গ্রামের মতিন হাওলার ওরফে মতি কাজীর ছেলে ইলিয়াস হাওলাদার (৩৫) এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার ভদ্রপাড়া গ্রামের মোশারেফ শেখের ছেলে মনিরুল ইসলাম শেখ (৪৮)। মনিরুল ইসলাম বর্তমানে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাসস্টান্ড এলাকায় বসবাস করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলার রায়েন্দা পাঁচ রাস্তার মোড়ের বাসস্ট্যান্ড থেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের চামড়াসহ এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব ও বন বিভাগ। জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়-সহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ ও মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে একত্রে এত বেশী হরিণের চামড়া কখনো উদ্ধার হয়নি। এটাই হচ্ছে হরিণের চামড়ার সবচেয়ে বড় চালান বলে জানান পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়। তবে পুলিশের উদ্ধার করা হরিণের চামড়া সুন্দরবনের কোন এলাকা থেকে পাচারকারী চক্রটি কত দিন আগে শিকার করেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ। সুন্দরবন থেকে শিকার করে আনা হরিণের চামড়াগুলো লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াকরণ করা ছিল। উদ্ধার হওয়া হরিণের চামড়াগুলো বিভিন্ন বয়সী হরিণের। মামলা দায়ের পূর্বক আটককৃতদের শনিবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, একটি পাচারকারী চক্র সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে চামড়া পাচারের উদ্দেশ্যে সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলায় জড়ো করেছে। গোপন এ সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টীম শুক্রবার গভীর রাতে মনিরের বাসায় অভিযান চালায়। মনিরুলের বাসার পাটাতন তল্লাশী করে দুইটি ব্যাগ থেকে ১৯টি চামড়া উদ্ধার করা হয়। এসময় ইলিয়াস হাওলাদার ও মনিরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। তখন অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের সাথে আর কে কে জড়িত আছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বণ্যপ্রানী রক্ষায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
×