ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচন সামনে রেখে চট্টগ্রামে প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্ট

প্রকাশিত: ২২:৩৯, ২৩ জানুয়ারি ২০২১

নির্বাচন সামনে রেখে চট্টগ্রামে প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্ট

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ সড়কে ট্রাফিক পুলিশের নির্বাচনী তৎপরতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। কেননা, ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে একতরফাভাবে মোটরসাইকেলের ডকুমেন্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে নগরীর সিটিগেট এলাকায় সিটিগেট পুলিশ বক্সের সামনে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার থামিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির ডকুমেন্ট পরীক্ষা করেছে পুলিশ। এদিকে নগরীর আমবাগান কেন্টিনগেট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের একাধিক টিম শুধু মোটরসাইকেল থামিয়ে ডকুমেন্ট পরীক্ষা- নিরীক্ষা করতে দেখা গেছে। জানা গেছে, আসন্ন ষষ্ঠ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে সারপ্রাইজ চেকিংয়ের নামে নগরব্যাপী চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এসব চেকপোস্ট স্বল্প সময়ের জন্য স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে নগরব্যাপী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গত বুধবার থেকে পুরোদমে চেকপোস্ট পরিচালনার কথা থাকলেও তা শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। এর আগে হাতে গোনা কয়েকটি স্পটে সারপ্রাইজ চেকিং করা হয়েছিল। নগরীর পাহাড়তলী বাজারের ব্যবসায়ী মনজুর হোসেন জানিয়েছেন, নির্বাচন উপলক্ষে নগরীতে যে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে তা শুধু মোটরসাইকেলের ওপরই অভিযান চালাচ্ছে। তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে আকবর শাহ মাজার এলাকা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরত্বে থাকা পাহাড়তলী বাজারে যাওয়ার পথেই পুলিশের সারপ্রাইজ চেকিংয়ের কবলে পড়ে। এ সময় গাড়ির অন্যান্য ডকুমেন্ট দেখাতে পারলেও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে না পারায় তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে গেছে পুলিশ। এক্ষেত্রে তাকে একটি স্লিপ ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ২৮ জানুয়ারি সকাল ১০টায় মনসুরাবাদ ডিসি ট্রাফিকের দফতর থেকে ওই স্লিপের মাধ্যমে মোটরসাইকেল ছাড়িয়ে নিতে বলা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে নগরীর সিটিগেট এলাকায় প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল থামিয়ে সারপ্রাইজ চেকিং অব্যাহত রেখেছিল ট্রাফিক পুলিশ। সিটিগেট ট্রাফিক বক্সের সামনেই রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে নগরমুখী যানবাহনের ডকুমেন্ট পরীক্ষা করা হচ্ছিল। এক্ষেত্রে তল্লাশি সংক্ষিপ্ত করতে পুলিশ শুধু ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেই গাড়ি বা মোটরসাইকেল ছেড়ে দিয়েছে। নগরীর প্রবেশদ্বারে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় সিটিগেট এলাকায়। এছাড়া এলোপাতাড়ি অনেকটা ইংরেজী ‘এস’ অক্ষরের মতো ব্যারিকেড দেয়ায় যেকোন পরিবহন খুবই ধীরগতিতে চলাচল করতে বাধ্য হয়েছে। তবে ছোট পরিবহনগুলো চলাচলে তেমন অসুবিধা না হলেও বড় পরিবহন বিশেষ করে ট্রাক, বাস, লরি পারাপারে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে চালকদের। এমন পরিস্থিতিতে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সিটিগেটের একটু আগে একটি কাভার্ডভ্যান উল্টে যায়। ফলে যানজটের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
×