ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম ভ্যাকসিন নিয়ে টিভিতে সম্প্রচারের দাবি ডাঃ জাফরুল্লাহর

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ২৩ জানুয়ারি ২০২১

প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম ভ্যাকসিন নিয়ে টিভিতে সম্প্রচারের দাবি ডাঃ জাফরুল্লাহর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারত থেকে আসা করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ভয়ের কারণ নেই উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমার নাম আগে আসলে আমিও আগে ভ্যাকসিন নেব। শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে তিনি এ কথা জানান। ডাঃ জাফরুল্লাহ বলেন, ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের যে ভ্যাকসিন এসেছে, সে ভ্যাকসিনের বিষয়টি সোজা-সরলভাবে জাতির কাছে তুলে ধরতে চাই। সব ভ্যাকসিনেরই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। তবে এই ভ্যাকসিন নিয়ে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। মানুষের আস্থা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সবার আগে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও টেলিভিশনে তা সরাসরি সম্প্রচার করে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচী উদ্বোধনের দাবি জানাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে আগে ভ্যাকসিন নিয়ে সবাইকে আহ্বান করতে হবে যে, আমি নিয়েছি আপনারাও ভ্যাকসিন নেন। উনার প্রতি আমার আস্থা আছে। ডাঃ জাফরুল্লাহ বলেন, ভারত থেকে উপহারের ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে, এটি একটি সুখবর। আমরা আশা করি সবাই ভ্যাকসিন পাবেন। করোনাভাইরাসের রোগীদের সরাসরি চিকিসৎসায় জড়িত স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য মহামারী চলাকালে সম্মুখভাগে থেকে কাজ করছেন, তাদের সবার আগে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কৃষক ও শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষ যেন করোনা ভ্যাকসিন পায় তাও নিশ্চিত করতে হবে। ডাঃ জাফরুল্লাহ বলেন, সরকারী ব্যবস্থাপনায় ভ্যাকসিন কর্মসূচী শেষ না করে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ভ্যাকসিন বিক্রি করা ঠিক হবে না। এর ফলে সরকারী ভ্যাকসিন চুরি হয়ে বাজারে বিক্রি হবে। ভ্যাকসিন নকল হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হবে। দেশে দীর্ঘদিন ধরে মুরগির ভ্যাকসিন তৈরি হয়, তখন হয়তো কিছু অসাধু চক্র মুরগির ভ্যাকসিন করোনা ভ্যাকসিন হিসেবে চালিয়ে দিতে পারে। ডাঃ জাফরুল্লাহ বলেন, যেসব ভ্যাকসিন দেশে আসছে, নিয়ম মাফিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সেগুলো নিয়ে সরকারকে টিকাদান কর্মসূচী শুরু করতে হবে। আর এ কাজে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও গবেষকদের যুক্ত করতে হবে। কোন আমলাকে দিয়ে এসব কাজ করানো যাবে না। সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, এখন যে ভ্যাকসিন জনগণকে দেয়া হচ্ছে সেগুলোকে বলা হয় ফার্স্ট জেনারেশন ভ্যাকসিন। বৈজ্ঞানিকদের ভাষায় একে ভ্যাকসিনের ফোর্থ ট্রায়ালও বলা হয়। হাজার হাজার মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেয়ার পর আবার বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর সেকেন্ড জেনারেশন ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে সবাইকে ‘ইমোশনাল’ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার চেষ্টা করছে ভালভাবে এর প্রয়োগ যেন হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ জাকির হোসেন, বিএসএমএমইউর ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ সাজেদুর রহমান, গণস্বাস্থ্য মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মুহিব উল্লাহ খোন্দকার প্রমুখ।
×