স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ বিয়ের প্রলোভনে সপ্তম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৫) একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। ফলে ওই ছাত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেছে। পরবর্তীতে বিয়ের জন্য চাঁপ প্রয়োগ করা হলে ধর্ষক নানা তালবাহানা শুরু করে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বার্থী এলাকার।
এজাহারে জানা গেছে, ভুক্তভোগি ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের প্রস্তাবসহ যৌণ হয়রানী করে আসছিলো একই গ্রামের মৃত খসরু মাঝির পুত্র বাপ্পি মাঝি (২২)। এরই মধ্যে বাপ্পির সাথে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ছয় মাস পূর্বে বাপ্পি মাঝি ভুক্তভোগির বসতবাড়িতে এসে তাকে (ছাত্রী) জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। অতিসম্প্রতি ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পরে। পরবর্তীতে বিয়ের জন্য বাপ্পিকে চাঁপ প্রয়োগ করা হলে সে নানা তালবাহানাসহ ভুক্তভোগিকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
আজ শুক্রবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেন জানান, ভুক্তভোগিকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চলছে।
