ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে উদ্বোধনের অপেক্ষায় ভূমিহীনদের ৩৩৮ বাড়ি

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ২১ জানুয়ারি ২০২১

বাগেরহাটে উদ্বোধনের অপেক্ষায় ভূমিহীনদের ৩৩৮ বাড়ি

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ “জমিসহ দুই কক্ষের সেমিপাকা স্থায়ী বাসস্থান প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হবে। এত দ্রুত, এত সুদৃশ্য, এত কমব্যয়ে, এত অধিক পরিবারকে, এত সচ্ছতার সাথে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কোথাও এমন পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। এমন আশ্রয়ণ বিশ্বে অনন্য।” আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ.ন.ম ফয়জুল হক এ কথা বলেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে বাগেরহাটে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ইতোমধ্যে নির্মিত ৩৩৮ টি ঘর হস্থান্তর উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা জমি ও গৃহ আনুষ্টানিকভাবে হস্থান্তর কার্য়ক্রমের উদ্বোধন করবেন। এদিকে এ খবরে আশ্রয়হীন পরিবার গুলোর মধ্যে উচ্ছাস তৈরী হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে বসবাস করতে চান। “আশ্রয়নের অধিকার-শেখ হাসিনার উপহার” এই স্লোগান নিয়ে আশ্র্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলায় ৪৩৩টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৫২, কচুয়ায় ৩০, চিতলমারী ১৭, মোল্লাহাটে ৩৫, ফকিরহাটে ৩০, রামপালে ১০, মোংলায় ৫০, মোরেলগঞ্জে ৬ এবং শরণখোলা উপজেলায় ১৯৭টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৩৮ টি ঘর ইতোমধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ঘরগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে নির্মাণ শেষ হবে এবং গৃহহীনদের অনুরূপ হস্থান্তর করা হবে বলে জেলা প্রশাসক জানান। ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রতিটি বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। ৪৩৫ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুটি বেড রুম, টয়লেট, রান্নাঘর, নামাজের জায়গা ও একটি বারান্দা। ঘর ও আশপাশের জমি মিলিয়ে দুই শতক জমি দেওয়া হবে গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে। টিনসেডের পাকা এই ঘরে একটি পরিবার স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতে পারবেন। ইতোমধ্যে এই উপকারভোগীদের নামে জমির দলিল সম্পন্ করা হয়েছে। উদ্বোধনের পরপরই নির্বাচিত ভূমিহীনদের কাছে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে বলে জেলা প্রশাসক উল্লেখ করেন। ভূমিহীনরা ঘর পাওয়ায় খুশি স্থানীয়রাও। স্থানীয় শহিদুল ইসলাম, দিদারুল ইসলাম, শেখ নওশের আল, শেখ শাহিনসহ কয়েকজন বলেন, এখানে যারা ঘর পেয়েছে, তাদের কোনো ঘর ছিল না। ঠিকানা ছিল না। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে ও মানুষের বাড়িতে ছিন্নমূল হিসেবে বসবাস করতেন। তারা এখন শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। এই ভেবে আমরাও খুশি। মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিকদার উজির আলী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন শেখ ও জুয়েল শেখ সকলেই অনুরূপ সন্তোষ প্রকাষ করেন। এদিকে, বাগেরহাট সদর উপজেলার শ্রীঘাট এলাকায় ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ৫২টি ঘর। এই ঘরগুলোও রয়েছে উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ হয়েছে বলে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোছাব্বেরুল ইসলাম জানান। তার ভাষায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পরপরই নির্বাচিত ভূমিহীনদের কাছে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা
×