ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খুবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০১:৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২১

খুবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ

জবি সংবাদদাতা ॥ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ দফা দাবির আন্দোলনে যুক্ত দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদ। বুধবার রাতে জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিশুর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম মারফত আমরা জানতে পেরেছি ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বেতন ফি কমানো, আবাসিক সঙ্কটের সমাধান, দ্বিতীয় পরীক্ষণের ব্যবস্থা করা সহ পাঁচ দফা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনে নামে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় মিথ্যা অভিযোগে বাংলা ডিসিপ্লিনের মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান (১৮ ব্যাচ) এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুল ইসলামকে (১৭ ব্যাচ) বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে তারা বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের জন্য অনশন কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে সংযুক্ত থাকায় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অন্যায়। তাদের কিছু হলে ছাত্ররা কিছুতেই প্রশাসনকে ছাড় দেবে না এবং সেই দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে। পাশাপাশি ৩ জন শিক্ষক সেই আন্দোলনে সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করায় বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল ফজল, প্রভাষক শাকিলা আলম এবং ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরীকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে শিক্ষকের মর্যাদাহানি করা হয়েছে। শিক্ষকদের এভাবে মর্যাদাহানি করা হলে ভবিষ্যত প্রজন্ম অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নৈতিকতার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে বলে আমরা মনে করি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধের এই ঘৃণ্য প্রচেষ্টা থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছে ছাত্র অধিকার পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। তা না হলে অবিলম্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামা হবে। অধিকার আদায়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুক্ত যে কোন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীর পাশে দাঁড়াতে ছাত্র অধিকার পরিষদ সবসময় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
×